পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

びリ丁壱 বর্তমান কৃষিসঙ্কট २०> উৎপাদন হ’লেই অত্যুৎপাদন হয়েছে বুঝতে হবে i* ১৯.৫ সালে সমগ্র পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ১৯• কোট ছিল । ১৯২৯ সালে প্রায় ২•• কোষ্ঠীতে দাড়িয়েছিল । * অর্থাৎ অর্থসঙ্কটের অব্যবহিত আগে লোকসংখ্যা প্রতিবৎসর শতকরা প্রায় দুই হিসাবে বেড়েছিল । ১৯২৪-২৬ সালের তুলনায় ১৯২৭-২৯ সালে চালের উৎপাদন মাত্র শতকরা দুই বেড়েছিল, পাটের উৎপাদন শতকরা তিন বেড়েছিল, সুতরাং এ দুটিতে অন্ততঃ অত্যুৎপাদন হয় নি । চায়ের উৎপাদন শতকরা বারো বেড়েছিল । তুলা ও শণের উৎপাদন প্রায় শতকরা পাচ কমেছিল । কেবল কফি, রবার ও চিনেবাদাম এই কয়টির উৎপাদন শতকরা ত্রিশ হিসাবে বেড়েছিল । কিন্তু এগুলিরও দীম শতকরা ক্লিশের চেয়ে বেশী অনুপাতে কমেছে । অত্যুৎপাদন যদি না হ’য়ে থাকে, তবে চাহিদা বা টান কমার জন্তই দাম কমেছে। চাহিদাই বা কমূল কেন ? অর্থসঙ্কটের ফলে সকলেই ব্যয়সঙ্কোচের চেষ্টা করে । জিনিষপত্র কম কেনে । কাপড় কম কিনৃলেই তুলা কম লাগে । কিন্তু দুটোর দাম ঠিক এক ভাবে কমে না । কাপড় কম বিক্রী হচ্ছে, কাপড়ের কল অল্প সময় চালানো হ’ল, কতকগুলি কল এবং তাত বন্ধ রাখা হ’ল । কাপড়ের উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হ’ল । কিন্তু ষে ভুল চাষ করা হ’য়ে গিয়েছে তা কমান অসম্ভব । এমন কি পরের বৎসরের চাষ কমানও এত সহজ নয় । নানা দেশের নানা অবস্থার লোকে নানা ভাবে তুল উৎপাদন করছে। তাদের একযোগে কাজ করা প্রায় অসম্ভব । নৈসর্গিক কারণ বশতঃ কুষিজাত দ্রব্যের বাড়া-কমার প্রতিবিধান করা মানুষের পক্ষে সহজসাধ্য নয় । শিল্প ও কৃষির পার্থক্যটি বেশ ভাল ক’রে বোঝা যায়

  • লোকসংখ্যা বাড়লেই কৃষিজাত দ্রব্য ঠিক সেই অনুপাতে বেশী দরকার হবে একৰ অবস্ত বলছি না । লোকের হাতে পয়সা বেশী এলে লোকে মোটর গাড়ী কেনে, গ্রামোফোন কেনে, থ্রেডিও কেনে, ভাত বেশী ক’ল্পে খায় না । যন্ত্রের উন্নতির ফলে যদি কারিক শ্রম रूप्म बाच्न, उ इ'प्ण थापा कम जाप्त्र । यूकब्र अछ वा अछ कोब्रप्१ ছেলেপুলেদের সংখ্য। যদি অপেক্ষাকৃত কম হয়, তা হ'লেও খাদ্য কম रॉब्लक झन्न ! अछ अरुइान्न नब्रिवर्डन नt झ'tब्न cजांकन१थाiब्र अपूनांप्ड শস্তেন্ত্র উৎপাদন নিয়মিত ওয়া উচিত একথা বলা যেতে পারে ।

+ League of Nations Momorandum on Production aud Trado for 1929 and 1930. శిఆ= পাটের বিষয় দিয়ে । ১৯২৯ সালের প্রথমে বৰ্ত্তমান অর্থসঙ্কট আরম্ভ হওয়ার প্রায় নয় মাস আগেই পাটের দাম কমা সুরু হয়েছিল । তার কারণ এই, সব জিনিষের দাম কমৃতির মুখে দেখে ব্যবসায়ীরা জিনিষ বিক্ৰী না ক’রে জমা করছিলেন । আমদানী, রপ্তানী, দেশে ক্রয় বিক্রয় সবই কমার দরুন পাটের ব্যবহার কমূছিল। কিন্তু পাটকলের মালিকের উৎপাদন নিয়ন্ত্রিত ক’রে থলি ও চটের দাম তত কমূতে দেন নি, যত পাটের দর কমেছে । সুতরাং দেখা যাচ্ছে বৰ্ত্তমান কৃষিসঙ্কট থেকে চাষীকে পরিত্রাপ করতে হ’লে তার শস্তের উৎপাদন নিয়ন্ত্রিত ক’রে বা শস্তের চাহিদা বাড়িয়ে দাম বাড়াতে হবে । এত বাড়াতে হৰে যে-সব জিনিষ সে কেনে বা তাকে যে খাজনা বা স্বদ দিতে হয় তার দরুন আগের অনুপাতে খুব বেশী পরিমাণে শস্ত না দিতে হয় । এর জন্তে নানা দেশে ননি। রকমের প্রচেষ্টা চলেছে। যে-সব দেশে শস্য আমদানী হয় তাদের পদ্ধতি এক ভাবের । আর যে-সব দেশ থেকে কৃষিজাত দ্রব্য রপ্তানী হয় তাদের প্রণালী আর এক রকমের । প্রথম শ্রেণীর cwto safe winnfo-ex (fixed import duty) বসান ছাড়া নানা পদ্ধতি অনুষ্ঠিত হয়েছে । ফ্রান্সে অনেক বৎসর থেকেই আমদানী-গুল্কের হার বাড়ান-কমান হয়, অর্থাৎ আমদানী শস্যের দাম কমূলে শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে দেশজ শস্যের দাম ঠিক রাখা হয় । সম্প্রতি জাৰ্ম্মেনী, চেকোশ্লোভাকিয়া এবং অন্তান্ত কয়েকটি দেশেও এই প্রথা প্রবর্তিত হয়েছে। এতে ক’রে দেশের কৃষিজীবীরা এই ভরসাঁতে চাষ করতে পারে যে শস্যের দাম বরাবরই এক ভাবে থাকবে। - আর একটা উপায় হচ্ছে অদল-বদল (quota system), অর্থাৎ কি না আমাদের দেশ থেকে তোমর। এই পরিমাণ ঞ্জিনিষ নাও, আমরাও তোমাদের দেশ থেকে এই পরিমাণ জিনিষ নেব । জাপানের কাপড়ের সঙ্গে আমাদের তুলার এই রকমের বন্দোবস্ত সম্প্রতি করা হয়েছে । কতখানি

  • “Indian Prices During the Depression” in Samkhya i Indian Journal of Statistics, Vol I, Part I.