পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిరిచ్చి শস্ত বিদেশে কাটবে এটা জানা গেলে, কতখানি শস্ত উৎপন্ন করা দরকার সেটা নির্ণয় করা কঠিন নয়, কারণ স্বদেশের চাহিদা মোটামুটি জানা আছে। স্বতরাং যদি শস্তের উৎপাদন নিয়ন্ত্রিত করা প্রয়োজন হয় তবে এইরূপ অদল-বদলের বন্দোবস্ত সুবিধাজনক । যুদ্ধের সময়ে অনেক শস্তের আমদানী গবন্মেণ্ট থেকেই প্রায় দেশেই করা হ’ত । সেটা অবগু এই জন্তে হয়েছিল যাতে সবাই শস্য খেতে পায়। স্থইজারল্যাণ্ডে কিন্তু এই নীতি অনেক দিন থেকেই চলেছিল । নরওয়ে, সুইডেন, লিথুয়ানিয়া, ল্যাটভিয়া, এস্থোনিয়া এসব দেশে এর রকমফের প্রচলিত আছে । এর সুবিধা এই যে, আমদানী-শুষ্ক খুব চড়া হারে হ’লেও ঠিক সেই পরিমাণে দেশের শস্যের দাম বাড়ে না । ধরুন, যতখানি শস্য দেশে হয়, বিদেশ থেকেও ততখানিই আনা গেল । যিদেশী শস্ত দেশী শস্যের তুলনায় লিকি সস্তা ছিল, অর্থাৎ ৮০ রকম দামের ছিল যত দাম তত ট্যাক্স বসান হ’ল । তার ফলে বিদেশী শস্তের দাম দেশী শস্তের দেড়া হ'ল । যদি গবন্মেণ্ট সবটা একচেটিয়া না করেন, তবে এই দেড়াদামেই দেশী ফসলও বিক্রীত হ’তে পারে B কিন্তু যদি সরকার বাহাদুর সব ফসলের ভার নেন, তবে বিদেশী স্বদেশী সব শস্তই সিকি চড়া দামে বেচা যেতে পারে । শুল্ক বসিয়ে যত টীকা পাওয়া গেল তার কিয়দংশ দেশের চাষীদের মধ্যে ভাগ ক’রে দেওয়া যেতে পারে । এত সব হাঙ্গীমা না ক’রে চাষী যত শস্য উৎপন্ন করলে বা রপ্তানী করলে সেই অনুসারে কিছু কিছু “পুরস্কার” ( bounty ) তা’কে দেওয়ার প্রথাও আছে। ইউরোপে বিট চিনির দৃষ্টান্ত সকলেই জানেন। অন্তান্ত নানা ফসল সম্বন্ধে ও ইউরোপের নানা দেশে এই নীতি অনুষ্ঠিত হয়েছে । এর আবার একটি রকমফের অাছে । কোনও কোনও স্থলে সরাসরি “পুরস্কার” না • দিয়ে একখানি “staatst ofềi” ( Import bond ) gtsmi sa i এতে ক’রে সব চেয়ে কম হারে শুল্ক দিয়ে বিদেশ থেকে

  • প্রকৃত প্রস্তাৰে সেটি আবস্তক হয় না। কারণ দেশের সব চাষী একযোগে সমান ভাৰে দাম ৰাড়ীতে পারে না । জাৰায় কোনও ফসলের দাম ৰেলী চ’ড়লে চাহিদ। সমান খাৰুৰে ন', লোকে সেই ফসলের পৰিপ্তে অঙ্ক জিনিষ খাৰে ।

.৫ প্ৰবাসনা ট $N98R পাট্টার লিখিত পরিমাণ জিনিষ আন ধেতে পারে। যদি চাষী নিজে কোনা জিনিষ আমদানী ক’রতে না চায়, ঐ পাট্ট অন্ত লোককে বেচতে পারে। সবচেয়ে পাকা বন্দোবস্ত হচ্ছে বিদেশী শস্যের আমদানী একেবারে রোক ( embargo ), এটির উদ্ভব হয়েছিল পশু ও শস্যের সংক্রামক বাধি দেশে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেই জঙ্ক । বর্তমানে রাশিয়াতে প্রায় সব শস্তের আমদানীই বন্ধ আছে । যে-সব দেশে শস্ত আমদানী হয় তাদের জন্তও যেমন নানা ব্যবস্থা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেসব দেশ থেকে শস্ত রপ্তানী হয় তাদের সম্বন্ধেও নানা প্রথা প্রবর্তিত হয়েছে। ব্ৰেজিলে কফির মূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা সকলেই জানেন । চিনি, রবার, গম, ভুল এ সকলেরই দাম ঠিক রাখার জন্তে নানা চেষ্টা করা হয়েছে,—এমন কি আস্তর্জাতিক সম্মিলনীও বাদ যায় নি । কিন্তু ফলে যে বিশেষ কিছু হয়েছে এমন বলা যায় না | এতক্ষণ নানা দেশের নানা কথা বলা হ’ল । এখন একটু দেশের কথা বলা যাক। বিদেশ থেকে আমাদের দেশে যে গম বা আটা-ময়দা আসে ১৯৩১ সাল থেকে সেগুলির উপরে শুল্ক বসান হয়েছে। গমের চাষীরা কিছু পরিমাণে লাভবান হয়েছে । কিন্তু যে শুল্ক আদায় হচ্ছে বিলাতের মত আমাদের দেশে সেটা গমের চাষীদের মধ্যে বিতরিত হচ্ছে না । রপ্তানীর জিনিষের উপরে শুষ্ক খুব কম দেশেই আছে, আমাদের দেশে কিন্তু এই রকমের ট্যাক্স কয়েকটি আছে । চালের উপরে মণকরা তিন আনা শুল্ক ছিল । সম্প্রতি সেটি কমিয়ে ন-পয়সা করা হয়েছে। ব্ৰহ্মদেশ থেকেই চাল বেশী রপ্তানী হয়। ওটা ত ভারতবর্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েই যাচ্ছে । সুতরাং ও-বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা নিম্প্রয়োজন । ভেড়ার ও ছাগলের কাচা চামড়ার রপ্তানীর উপরে শুল্ক ব্ৰহ্মদেশে কম এবং ভারতবর্ষে তার চেয়ে কিছু বেশী হারে আছে। গবন্মেণ্ট সেটি তুলে দিতে চান। আমাদের দেশের কাচ চামড়া থেকে পাক চামড়া ( tanned skin ) তৈরি করার শিল্প এতে ক’রে ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে