পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ উড়িষ্যায় ক্রীচৈতন্ত্য & ফিরিলেন। কিন্তু শ্রীচৈতন্তচরিতামুতকার কৃষ্ণদাস গোস্বামী কবিরাজ মহাশয় লিখিয়াছেন যে তিনি রাঢ়ের পথে বৃন্দাবনে যাইতেছিলেন। বৃন্দাবনভাবে এত বিহবল ছিলেন যে নিত্যানন্দ প্রভু রাখাল-বালকদের সাহায্যে র্তাহাকে ভুল পথ ধরাইয়া একেবারে শাস্তিপুরের অপর পারে - গঙ্গাতীরে লইয়া গেলেন। বৃন্দাবন-ভাবোম্মত্ত গৌরচন্দ্র যমুনাক্রমে স্তবপাঠ করিতে করিতে গঙ্গায় অবগাহন করিতে লাগিলেন এবং অদ্বৈত গোস্বামী তাহাকে শাস্তিপুরে লইয়া যাইবার জন্ত নৌকযোগে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । গৌরচন্দ্রের তখনও ভাবের ঘোর কাটে নাই, তিনি নিত্যানন্দ ও অদ্বৈতকে জিজ্ঞাসা করিলেন,“তোমরা বৃন্দাবনে কবে আসিলে? আমি বৃন্দাবনে আছি, তুমি কেমন করিয়া জানিলে ?” ঐচৈতন্ত বুঝি:লন এই সব নিত্যানদের চক্রাস্তে হইয়াছে। প্রভু কহে নিতানন্দ আমার বঞ্চিল । গঙ্গাতীয়ে আনি মোরে যমুনা কহিলা ॥ আচার্য্য কহে—মিথ্যা নহে—শ্ৰীপাদ বচন যমুনাতে স্নান তুমি করিলা এখন। গঙ্গায় যমুনা বহে হঞা একধার। পশ্চিমে যমুনা বহে পূৰ্ব্বে গঙ্গাধর । চৈ, চ, মধ্যলীলা, তৃতীয় পরিচ্ছেদ সুতরাং নিত্যানন্দের কথা অন্তায় বা মিথ্যা হয় নাই এবং শ্রীচৈতন্তের যমুনাস্তব ও যমুনান্নান অনর্থক হয় নাই । অদ্বৈত বলেন— পশ্চিমে যমুনা বহে তাঁহা কৈলা স্নান । আর্ট কেপীন ছাড়ি কয় শুষ্ক পরিধান ॥ নুতন কেীপীন বহির্বাস অদ্বৈত প্ৰভু সঙ্গে করিয়া অনিয়াছেন কেন না তিনি শুনিয়াছিলেন যে “এক কেীপীন নাহি দ্বিতীয় পরিধান J”—পরে তিনি গ্রীকৃষ্ণচৈতন্তকে বলিলেন— প্রেমাবেশে তিন দিন আছ উপবাস ॥: আজি মোর স্বরে ভিক্ষ চল মোর বাস । একমুষ্টি অন্ন মুঞি করিয়াছে পাক। শুখী রুথ ব্যঞ্জন কৈল সুপ আর শাক । এত বলি নৌকায় চড়াএল নিল নিজ স্বয় । পাদপ্রক্ষালন কৈল আনন্দ অস্তুর । এৈ,চ, মধ্যলীল, তৃষ্ঠায় পরিচ্ছেদ এইরূপে শ্রীচৈতন্ত শাস্তিপুরে অদ্বৈত-গৃহে আসিলেন। দশ দিন তিনি তথায় থাকিলেন । আচার্যারত্ব নবীপ হইতে দোলীয় চড়াইয়। শচীমাতাকে লইয়া আসিলেন । নবদ্বীপের ভক্তবৃন্দও শচীমাতার অনুগমন করিলেন। শচীমাত নিমাইকে দেখিয়া বাৎসল্যে বিহবল হইয়া পড়িলেন । কিন্তু মাতার বৈরাগ্য দেখি প্রভুর ব্যগ্রমন : ভক্তগণে একত্র করি বলিল বচন ॥ তোমা সবাকার আজ্ঞা বিনে চলিলাম বৃন্দাবন । যাইতে নারিল বিস্ত্র কৈল নিবর্তন ॥ যদ্যপি সংস; আমি করিয়াছি সন্ন্যাস । তথাপি তোমা সব হৈতে নহিৰ উদাস ৷ তোমা সব ন; ছাড়িৰ যাবৎ আমি জীব । মাতারে তাবৎ আমি ছাড়িতে নারিব ৷ সন্ন্যাসার ধৰ্ম্ম নহে সন্ন্যfস করিয়া । নিজ জন্মস্থানে রহে কুটুম্ব লইয়া । কেহ যেন এই বোলে না করে নিন্দন। সেই যুক্তি কহ যাতে রহে দুই ধৰ্ম্ম । ইহার উত্তরে শচীমাত ভক্তবৃন্দকে জানাইলেন যে তিছে। যদি ইহঁ স্নহে তবে মোর সুখ । उाङ्ग निन्ग श्ध्न यनेि ठtष cभांद्र ५५ ॥ তাতে এই যুক্তি ভাল মোর মনে লয়। নীলাচলে রহে যদি দুই যুক্তি হয় । नौणा5tत्न नवघःt" cमझे झूई षञ्च । লোক গভাগতি বাৰ্ত্ত পাব নিরস্তর ॥ চৈ, চ, মধ্যলীলা, ৩য় পরিচ্ছেদ কিন্তু এই সময়ে নীলাচলের পথ এত সহজগম্য ছিল না । গৌড় ও উড়িয্যায় তখন ঘোরতর যুদ্ধ। ইহা ইতিহাসের কথা, শ্রীচৈতন্তভাগবতে বৃন্দাবন দাসও তাহার কিছু বর্ণনা করিয়াছেন । উড়িয্যা ও বাংলার রাজনৈতিক অবস্থা -বৃন্দাবন দাস চৈতষ্ঠভাগবতে লিখিয়াছেন ষে ঘেদিন প্রভাতে ঐচৈতন্ত তাহার ভক্তমণ্ডলীকে জানাইলেন বে তিনি নীলাচলে যাত্রা করিবেন এবং তথায় শ্ৰীজগন্নাথ জর্শন করিয়া পুনরায় গৌড়ে প্রত্যাগমন করিবেন তখন সকলে সমস্বরে যলিলেন,— তথাপিহ হইয়াছে দুর্ঘট সময় । সে রাজ্যে এখন কেহু পথ নাহি বয় ॥ দুই রাজায় হইয়াছে অত্যন্ত বিবাদ । মহাযুদ্ধ স্থানে স্থানে পরম প্রমাণ— যাবত উৎপাত কিছু উপশম হয় । ত!ষত বিশ্রাম কর যদি চিত্তে লয় ॥ এই সঙ্কটকালে শচীম'ত তাহার একমাত্র পুত্রকে নীলাচলে যাইতে যলিবেন কিনা ইহা সুধীগণের বিচাৰ্য্য । উড়িষ্যার প্রাচীন ইতিহাস কিছু মাদল পঞ্জিতে লিপিবদ্ধ