পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম-প্রবাসী বাঙালীও ৰাঙালী প্রতিষ্ঠান । ২১৭ বেসিনের ব্ৰহ্ম-প্রবাসী বাঙালী-মহিলাদের প্রতিষ্ঠান—“বঙ্গলক্ষ্মী সমিতি'র সদস্তাবৃন্দ অfজ লাথপতি হইয়াছেন । তাহার প্রতিষ্ঠিত চালের কলে এত ভাল ছাটাই কাজ হয় যে,(বি আই এস এস্ কোম্পানীর কৰ্ম্মচারী-বিশেষের নিকট শুনিয়াছি ), বিদেশের জাহাজ যখন চলি লইতে এদেশে আসে তখন অর্ডারের মধ্যে ম{লfকরের কলের ছাট চালের বিশেষ করিয়া উল্লেখ থাকে { মালকির মহাশয় লেখাপড়া অতি সামান্তই শিখিয়াছিলেন, কিন্তু অধ্যবসায় এবং চরিত্রের সততাগুণে এতখানি উন্নতিলাভ করিয়া দেশের গৌরবস্থল হইয়াছেন । গত বৎসর ব্রহ্মদেশের সরকার বাহাদুর র্তাহাকে স্থানীয় অনারারী ম্যাজিষ্ট্রেটের পদে নিযুক্ত করিয়া সম্মানিত করিয়াছেন। দরিদ্র অবস্থা হইতে এত বড় ধনী হইয়া, এত সম্মান লাভ করিয়াও তাহার সাদাসিদে জীবনযাত্রা একই *f:ব চলিয়:ছে । বিলাস-আড়ম্বরহীন চাল-চলন, অমায়িক, মিষ্ট ব্যবহার দ্বারা তিনি সকল জাতীয় লোকের নিকট ধ:দরণীয় হইয়াছেন । পরলোকগত ডাক্তার রঘুনাথ সিংহ মহাশয় ১৯০০ সালে শহরে জেলের ডাক্তার হইয়া আসেন । ক্রমশঃ সরকারী করিতে ইস্তফা দিয়া স্বাধীন ভাবে ডাক্তারী ব্যবসায় দ্বারা

  • স্তর অর্থ উপার্জন করেন । তিনিও স্থানীয় অনারারী

3-سیمbجد ম্যাজিষ্ট্রেটের পদ লাভ করিয়াছিলেন এবং মৃত্যুদিন পর্যন্ত ঐ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন । র্তাহার প্রতিষ্ঠিত “বেসিন ফারমেসি” এখনও চলিতেছে । তাহfর কতকগুলি পেটেণ্ট ঔষধের নাম এদেশে খুব পরিচিত । পরলোকগত ব্যাfরষ্টীর রমাপ্রসাদ সেন মহাশয় ১৯০১ সালে এখানে আসেন। তখনকার দিনে তিনি আইনব্যবসায়ে খুব খ্যাতি ও অর্থ লাভ করিয়াছিলেন। বাঙালীদের সকল অনুষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকিতেন। বাঙালী ও অবাঙালী সমাজে তাহার যথেষ্ট প্রতিপত্তি ছিল.। শ্রদ্ধেয় ব্যারিষ্টার প্রযুক্ত কেশবলাল মুখোপাধ্যায় মহাশয় আনুমানিক ১৯০৭ সালে এখানে আসিয়া ব বলা আরম্ভ করেন । তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের এক ভাগ্নীকে বিবাহ করিয়াছেন । তিনি বাঙালী সমাজে বিশেষ শ্রস্কেয় । এখনও বাঙালীদের সকল প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগ রাখিয়া উৎসাহ দান করেন । তিনি কিছুদিন বেসিন বার-লাইব্রেরীর সভাপতি ছিলেন । পরলোকগত প্রমথনাথ চৌধুরী মহাশয় এক জন খ্যাতনাম আইন-ব্যবসায়ী ছিলেন । এক সময়ে ধনে মানে খ্যাতিতে তিনি বাঙালীদের মধ্যে শীর্ষস্থান লাভ করিয়া