পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষা-মন্দিরে ঐনিরুপমা দেবী আজিকার দিনের এই নারীশিক্ষণ-প্রতিষ্ঠানগুলি, এই কস্তাবিদ্যাপীঠগুলি আমাদের মনে অনেক কথাই ভাগ;ইয়া দেয়। এগুলি আমাদর দেশে সম্পূর্ণ নুতন বস্তু। অতীত যুগে আমাদের দেশে ঠিক এষ্ট বস্তুটির সম্বন্ধে কেন প্রমাণ পাওয়া যায় না । পুলি-বলিকার আলবালে জলসেচন, মুগ, পক্ষী তরুলত:র পরিচর্য্যা এবং অতিপিসেবা করিতেছেন, কিন্তু পাখি-বলকদিগের মত ঠাহরাও আচার্যের নিকটে পাঠ লইতেছেন এমন দৃষ্টাস্ত কোথাও দেখা গিয়াছে বলিয়া মনে হয় না। অথচ ত:হীরা নে অশিক্ষিত থাকিতেন না তহী ও শাস্ত্রে এবং সহিত্যে, কাবো, নাটকে বেথানেই তঁহদের দর্শন পাওয়া গিয়াছে সেথানেই অল্পবিস্তর অনুভূত হইয়ছে। তবে ইহা ঋযিভূমির কথা । যেখানে সৰ্ব্বদা তত্ত্বালোচনা হয় সেখানকার অধিবাসীদের ঘtহা সুলভ হইতে পরে জনসাধারণ ত;হার ফলভাগী হইতে পারে না । সেই জন্ত ঘে-কয়টি গরীয়সী। নারী আমাদের আঁধার ঘরের মণিক, র্যহীদের নাম যখনতথন উচ্চারণ করিয়া আমরা নিজেদের মন বাঁচ:ই, সেই বেদম্বক্ত-রচয়িত্ৰী ঋধি-পদবাচ্য ব'গাম্ভণী, বিশ্ববর, ব্রহ্মবাদিনী ব:চপী গাগাঁ, অমুভতবনসন্ধিনী মৈত্রেয়ী —ইহাদের কথাও এস্থলে তুলীয় বলিয়া মনে হয় না । এই দৈবায়ত্ত প্রতিভাগুলি আমাদের ও দৈবায়ত্তপ্রাপ্ত বলিয়াই মনে হয় । কেননা, এই পরা বিদ্যা লাভের জন্তও নরের চিরকাল যেরূপ ব্যবস্থা ছিল এবং আছে নারীদের জন্ত তাহা এদেশে কেন ক’লেই ছিল না । অপরা বিদ্যা শিক্ষার ত কথাই নাই । সে-যুগের রাজকন্তাগণ বা সমাজের শীর্ষস্থানীয়গণের অন্ত:পুর-শিক্ষার কথাও এ হিসবের মধ্যে গণ্য নয়, সেজন্ত আমাদের সাবিত্ৰী-আদি দেশপুঙ্যাগণের শিক্ষার বিষয়ও ধৰ্ত্তব্য হইবে না । A. মহাভারতীয় যুগেও দ্রৌপদী ব্যতীত (ইনি'-ত অগ্নিসম্ভব, সৰ্ব্ববিদ্যায়ও হয়ত স্বয়ংসিদ্ধা ) অন্তান্ত রাজকন্ত এবং অন্তঃপুরিকাদিগের চতুর্মাষ্ঠী কলাবিদ্যার মধ্যে মৃত্যগীত এবং চিত্রকলা শিক্ষার দিকের প্রমণই বেশী পাওয়া যায়। কাব্য-যুগের নায়িকার ইহতে যথেষ্টভাবেই শিক্ষিত হইতেন এবং তাহারা ছাড়াও আর একদল নারী এই চতুঃযষ্ঠ কলাবিদ্যার সঙ্গে রাজনীতি, সমাজনীতি, এমন কি ধৰ্ম্মতত্ত্বও কলা-হিসাবে লোকরঞ্জনার্থ শিক্ষা করিত, কিন্তু তাহীদের কথাও আমাদের আলোচনার উদ্বেশু নয়। সৰ্ব্বসাধারণ অর্থাৎ গৃহস্থ সমাজ ত সৰ্ব্বকলেই আছে, তাহীদের কল্পীগণের বিদ্যাশিক্ষার কি ব্যবস্থা তথন ছিল জানিতে ইচ্ছা হয় । যেন মনে হয় পিতা ভ্রাতা স্বামী অষ্ট্ৰীয়স্বজনের ইচ্ছা ও রুচি অনুসারে তাহার যাহা কিছু বিদ্যালtভ করিতে পাইতেন অথবা পাইতেন না । লীলাবতী নামে গণিতশাস্ত্রখনিতে ভাস্করাচার্ষ তাহার কস্তার নামটি মাত্র স্মরণীয় করিয়া রাথিয়া গিয়াছেন কিংবা কস্তাকেই এই বিদ্যার অধিকারিণী করিয়াছিলেন কে বলিবে । এমনি বাংলার জ্যোতিষশাস্ত্রের কতকগুলি প্রবাদবচনও খনার নামে অভিহিত হয় । এই খনাও কাল্পনিক নারী কিনা তাহার প্রেমণ নাই! কিংবদন্তী ছাড়া খনার কাহিনীতে যদি কিছু থাকে তাহা হইলে এই সামুদ্রিক বিদ্যা যে তিনি আমাদের সমাজে লাভ করেন নাই একথাও মানিতে হয় । ইহা ছাড়া তাহার এ বিদ্যার জন্ত ঘে লোমহর্ষক শাস্তি পাইতে হইয়াছিল তাহীও স্মরণীয়। বৌদ্ধ যুগের কতকগুলি নারী সংঘবদ্ধ হইয়া ধৰ্ম্মশিক্ষর কেন্দ্র গঠনে সাহায্য পাইয়াছিল বটে, কিন্তু তাহাও মঠের সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকায় অচিরেই বিলীন হইয়া গেল । এক সংঘমিত্রার দৃষ্টাস্তে বিশেষ কোন ফল ফলে নাই। আমাদের বঙ্গদেশে শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাবের পরবর্তী যুগে কয়েক জন গোস্বামিনীর উল্লেখও বৈষ্ণব-সাহিত্যে দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু র্তাহারাও পিতা স্বামী বা গুরু দ্বারা প্রভাবান্বিতা