পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৬ সার্থকতা দেখাইয়া ব্যাধিগ্রস্ত ও মৃত্যুমুখে পতিত इन । বন্ধুবর স্বৰ্গীয় ইন্দুমাধব মল্লিক মহাশয় বাঙালীর খাদ্যের উৎকর্ষ ও সুলভতা সম্পাদন জন্ত যে ‘ইক্ৰমিক কুকার’ উপহার দিয়া গিয়াছেন, যাহাতে রন্ধন করিলে ভাতের ফেন ষ্ণেfলতে হয় না এবং অন্তাষ্ঠ খাদ্যের ভিটামিন নষ্ট হয় না, তfহার কদর কত জন করেন ? ভারতের নানা দেশবাসীর মধ্যে বাঙালীর খাদ্যেই ভাজtভুজির প্রচলন অত্যন্ত অধিক । ভাজিতে হইলে খাদ্যদ্রবাকে স্বতে কি তৈলে পঙ্ক করিতে হয়। পক্ক তৈল বা ঘিরের উত্তাপ অত্যন্ত অধিক, তিন শত হইতে চার শত ডিগ্রি, উহাতে খাদ্যের ভিটামিন নষ্ট হইয়া যায়। জলে সিদ্ধ হইলে এক শত ডিগ্রির অধিক ভাপ উঠে না, ভিটামিন তত নষ্ট হয় না। কাজেই ভাজা অপেক্ষ সিদ্ধ জিনিষ ভাল এবং বাম্পে ( জলীয় বাপে ) পক্ক হইলে খাদ্যের ভিটামিন আদৌ নষ্ট হয় না এবং তাছা সহজপাচ্য ও উপাদেয় । যে খাদ্যদ্রব্য র্কাচা, অর্থাৎ যাহা রন্ধন করিয়া খাওয়া যায়, তাহ আরও ভাল । তাহাতে ভিটামিন অধিকৃত ও প্রচুর পরিমাণে থাকে ও সেই জন্ত অধিক স্বাস্থ্যপ্রদ। দরিদ্র হইলেও স্বাস্থ্যপ্রদ ভিটামিনযুক্ত খাদ্যপ্রাপ্তির কাহারও অভাব হয় না । অবাঙালীরা কোনও পঞ্জীতে বাঙালীর প্রতিবেশী হইয়া থাকিলেও বেরিবেরি রোগে প্রায়ই আক্রাস্ত হন না । ইহাতে প্রতিপন্ন হয় যে বাঙালীর খাদ্যের ক্রটি হেতু এই রোগ দেখা যায়। অবাঙালীরা খাদ্যের ভিটামিন নষ্ট করেন না ; বাঙালীরা তাহা নষ্ট করেন। ভেজাল ঘি, সরিষার তৈল, ফেনহীন ভাত, সাদা ময়দার লুচি প্রভৃতি খাদ্যদ্রব্য যে অনিষ্টকর তাহা অবাঙালীর বুঝেন, বাঙালীরা বুঝিলেও সম্পূর্ণ নিরুপাম, কেননা তাহাদের গৃহকত্রীর কিংবা পাচক ব্ৰক্ষিণেরণ ভাতের ফেন রাখার হাঙ্গাম করিতে পারেন না। গৃহিণীরা ত নানান ঝঞ্চাটে সংসার দেখাশুনার হাল ছাড়িয়া দেওয়ায় তাহদের অসহায় স্বামী পুত্র ভ্রাতারা নিরুপায় হইয়া হোটেল বা চায়ের ক্যাবিনের শরণাগত হন এবং নিকৃষ্ট টোষ্ট প্রভৃতি খাইয়া নিজ নিজ কৰ্ম্মে ৰাইতে বtধ্য হন । এরূপ করিলে অচিরেই যে ব্যাধি

  • eeাত্রা ১০

HNOOH. গ্রস্ত সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়া মৃত্যুর ও সমাজের দুঃখের হার বাড়াইতে হয় তাহা চিন্তা করেন না । জঘন্ত চা টোষ্টের ক্যাবিনের পরিবর্তে যদি আমাদের আসল বাঙালীর ভিটামিনযুক্ত খাদ্যের কিংবা এদেশের মত লাল ভূষিমৃদ্ধ আটার রুটি ও ডালের দোকানের প্রচলন হয় তাহ বাঞ্ছনীয়। টাটকা দুধ, ঘি, গুড়জল, সরবৎ,ডাবের জল প্রভৃতি ভিটামিনপূর্ণ পানীর সহজপ্রাপ্য হইলেও স্তাকারিন-মিষ্টতাযুক্ত সোডা, লেমনেড চ'-ই বাঙালীর তৃপ্তিসাধন করে। ভিটামিনপূর্ণ সস্তা ফলমুল যাহা আমাদের দেশেই উৎপন্ন হয়—যাহা সুদূর কোয়েট, কাবুল প্রভৃতি দেশ হইতে আনীত নয়, এরূপ ফলমূলের অভাব নাই। এরূপ সস্ত ফল—কলা শণ। মুলা গাজর প্রভৃতি কঁচা মুগ, ছোলা, গুড়, নারিকেলের পরিবর্তে, ময়রার দোকানের জলা ( burnt ) ঘিয়ে প্রস্তুত বা বাসী ছানায় তৈরি স্তাকারীনে সিক্ত মহর্বি সন্দেশ-রসগোল্লা খাইয়া পিত্তরক্ষণ না করিয়া পিত্তধ্বংস করাই হয় । কথায় আছে, ‘টেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে, পশ্চিমারা বাংলা দেশে গেলেও তাদের স্ত্রীলোকেরা অতি প্রতুষে উঠিয়া জাতাতে গম ভাঙিতে ভাঙিতে মন খুলিয়া গান গাহিয়া ইহকাল ও পরকালের শুভানুষ্ঠান করে । তাহীদের জ7তার মেঘঘর্ঘর শব্দে ও উচ্চকণ্ঠের তানে পুরুষদিগকে এলাম-ধ্বনির মত সতর্ক করিয়া কর্যে মনোনিবেশ করায় এবং পরে এই সদ্যভাঙা আটার রুটি ও ডাল খাইয়া তাহারা সন্ধ্যাকাল পর্য্যন্ত পরিশ্রম করিয়া সুস্থ শরীরে থাকিয়া লক্ষ্মী লাভ করেন—তাদের সোডা লেমনেড চা খাইয়া টিফিন করিবার দরকার হয় না । আবার ঐ প্রবাদবাক্যের মঙই বোধ হয় বাঙালীরা অধিক স্বাস্থ্যপ্রদ প্রবাসে বাস করিলে সে দেশবাসীর গুণগ্রাম অনুকরণ করা আত্মমৰ্য্যাদার বিরুদ্ধ মনে করিয়া তাহা অগ্রাহ করেন । তাহাদের স্ত্রী কণ্ঠ ভগিনী প্রভৃতির গৃহকার্য্যে অনভ্যস্ত হইয়া ডাক্তারবৈদোর হিসাবের বিল বাড়াইয়া খরচাস্ত হইয়া জেরবার হইয় পড়েন। নিজেদের অভ্যাসমত অর্থাৎ ফেনীন ভাত প্রভৃতি খাদ্য থাইয়া বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হইয়া পড়েন। উদাহরণস্বরূপ দেখান যায় সম্প্রতি আগ্ৰা-অষোধ্যার