পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टख्ञTछे কৃতজ্ঞতার বিড়ম্বন ২২৯ ব্যাধির স্বষ্টি করে । তাহাতে মানুষের স্বতঃই আর বাচিতে ইচ্ছা থাকে না । অতএব বিলক্ষণ বুঝা যায় ত্রিশ বৎসর বয়সের পর, অধিক পুষ্টিকর খাপ্তের পরিবর্তে, মলমুত্রনিঃসরিক পরিমিত খাদ্যদ্রব্যই হিতকর । তখন মৎস্ত, মাংস, ঘি, ক্ষীর, ছানা, সন্দেশ, রসগোল্লা প্রভৃতি মুখরোচক, কিন্তু ছপাচ্য খাদ্যের লোভ হইতে নিবৃত্ত হওয়াই শ্রেয় । শরীররক্ষার অনুকূল থাপ্তের সহিত উপযুক্ত আবহাওয়া পাইলে মানুষ অনায়াসে সুস্থ শরীরে এক শত বৎসর জীবিত থাকিতে পারে । স্বাস্থ্যরক্ষণ-উপযোগী নিম্নলিখিত কয়েকটি নিয়ম পালন করিলে সুস্থ শরীরে দীর্ঘজীবন লাভ করা যায় । ১ । প্রচুর নিৰ্ম্মল উন্মুক্ত বায়ু সেবন । ২ । স্বষ্টির কারণ ও জীবনীশক্তির আধার স্বৰ্য্যালোক ভোগ । ৩ । উপযুক্ত খাপ্ত ও পানীয় ব্যবহার । ৪ । স্নানাদি ও মলমুত্র ত্যাগ দ্বারা শরীর ক্লেদশূন্ত রথি । - ৫ । শরীরের স্বাভাবিক তাপ রক্ষা করু। অর্থাৎ উপযুক্ত পরিচ্ছদ ও আচ্ছাদন দ্বারা শীত বর্ষা গ্রীষ্ম হইতে আত্মরক্ষণ করা । ৬ । নিত্য নিয়মের সহিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চালনা ও বিশ্রাম করা । ৭ । ব্যাধি উৎপাদনকারী বিষাক্ত দ্রব্য বা রোগবীজাণু হইতে সৰ্ব্বদা শরীর রক্ষা করা । ৮ । এই সমস্ত পালনের উপযুক্ত শিক্ষণ বিস্তার । কৃতজ্ঞতার বিড়ম্বন৷ শ্ৰীসরোজকুমার রায় চৌধুরী পরের শনিবার সুহৃৎ বাড়ি ফিরে এল। গৃহিণীর টুকিüiक् िदब्राठि छिनिषखणि बूखिcब्र क्रिद्र श्रांशtब्रब्र गमब्र জিজ্ঞাসা করলে—জার কামারদের সেই কাণ্ডটার কি হ’ল বঙ্গ ত? মিটে গেছে ? গৃহিণী চুমকুড়ি কেটে বললেন—মেটবার জালা ! দিনরাত্রি হৈ হৈ হচ্ছে। পঞ্চু কামার তো নালিশ ক’রে এসেছে । —বল কি ? পঞ্চু কামারের সাহস এত বেড়েছে ? —সাহস আর বাড়বে না কেন ? মুখুয্যেদের ছোট তরফ যে তলে তলে উস্কে দিচ্ছে । নইলে••• হহৎ ব্যাপারটা বুঝলে । মাথা নেড়ে বললে—হ । তাই ত বলি, পঞ্চু কামার--- o গৃহিণী ফিসফিস ক’রে বললেন—টীকাও নাকি ছোট তরফই দিচ্ছে । আমার বাপু শোনা-কথা, সত্যি মিথ্যে জানি না । ও-সব কথায় আমি থাকিও না, থাকতে ভলিও লাগে না । আমি বলে নিজের ঝঞ্চtট নিয়েই ব্যস্ত । . একটু থেমে সুহৃৎ বললে-বড় তরফকে তখনই বললাম, পঞ্চুকে কিছু দিয়ে মিটমাট ক’রে নিতে। কাজটা ত আর সত্যিই ভাল হয় নি। তবে রাগের মাথায় হয়ে গেছে এই যা । বলে, রাগ না চণ্ডাল । গৃহিণী আবার ফিসফিস ক'রে বললেন,—বড় তরফ ত মিটমাট করতে চেয়েছিল, ছোট তরফ দিলে কই । নিজে দাড়িয়ে থেকে পেয়াদার সঙ্গে দিলে ভুলি ক’রে সদরে পাঠিয়ে । মুহৎ মাথা নেড়ে বললে—সে-বারের দ’য়ের মাছ ধরার শোধ নিলে আর কি। ছোট তরফ তঙ্কে-তকেই ছিল কি না । তবে আর বলেছে কেন, ভায়াদ বড় শক্র । আর কেউ হ’লে পারত ?