পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८ङrछै। ১৯৩০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর দালাই লমার মৃত্যু ঘটিলে তিব্বতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নুতন সমস্তার উদ্ভব হইল । ১৯২৪ সালে পঞ্চান লামা তিববত হইতে বিতাড়িত হইলে তাহার পর হইতেই দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে দালাই লামা একছত্র অধিকার ভোগ করিয়া আসিতেছেন ; ইংরেজগণ কুড়ি বৎসর ধরিয়া ইহার সহিত গভীর সর্থ্যে আবদ্ধ ছিলেন । এই সময় পঞ্চনি লামা মাঞ্চ রিয়া ও আভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ায় বাস করিতেন এবং স্ত"কিং গভর্ণমেণ্টের নিকট হইতে বিস্তর অর্থ সাহায্য শোনা যায় বৎসরে ৪e e,• ০০ মেক্সিকান ডলার ) পাইতেন । দfলাই লমি'র মৃত্যু হওয়াতে পঞ্চীন লামার দেশে প্রত্যাবর্তন করিবার সূযোগ আসিয়াছে । দেশের অনেকেই দালাই ও $;হীর মন্ত্রীমণ্ডলীর অতি আধুনিকতা-দোষদুষ্ট রীতিনীতির মোটেই পক্ষপাতী ছিলেন না ঃ ইহাতে র্তাহার আনন্দে উল্লসিত হইয়া উঠিয়ছিলেন, কেননা, পঞ্চti লামার অধিনায়কত্বে তাহার। তিব্বতের অবস্থার অনেক স স্কার করিতে পরিবেন বলিয়া আশা করিয়াছিলেন। কিন্তু মাহাদিগকে নিরাশ হইতে হইয়াছে ; যেহেতু লাসায় ইংরেজ পক্ষপাতী দল, ৩৪ সনের জানুয়ারীতে দালাইয়ের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী স্থির করিয়া ফেলিয়াছেন। সুতরাং, অদূর ভবিষয়ুত পঞ্চান লমীর তিব্বতে ফিরিবার কোন আশা নাই। নিউইয়র্ক হেরাল্ড টিবিউন পত্রে ১৯৩৪ সালের জানুয়ারী মাসে মিঃ গিলবার্ট এক কৌতুহলোদ্দীপক বিবৃতি প্রদান করিয়ছেন—লামীর মৃত্যুর পর কে লামা হইবে তাহা নির্ণয় করিতে কয়েক বৎসর চলিয়া যায় ; কেননা যেমুহূৰ্ত্তে লামা মরিয়াছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে যে শিশু জন্মগ্রহণ করিবে, সে-ই লামা হইবে, ইহাই তিব্বতের সনাতন প্রথা। মুতের আত্মা সেই নবজাত শিশুর মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়াছে বলিয়া সকলের ধারণা । সুতরাং এইরূপ একটি নবজাত শিশু খুজিয়া বাহির করিতে সাধারণতঃ কয়েক বৎসরও অতিবাহিত হয় । কিন্তু বর্তমানক্ষেত্রে সমুদয় সনাতন রীতির ব্যতিক্রম করা হইয়াছে । পুরাতন লামার মৃত্যু হইতে না হইতেই অনতিবিলম্বে লাসার সন্নিকটবর্তী একস্থানে এই অপরূপ ভাগ্যবান শিশুর সন্ধান পাওয়া গিয়াছে এবং তঁাহাকে লামা বলিয়া স্বীকার করা হইয়াছে । অথচ లిఁ •ళాశాృతి छौन नाजांटऊँग्ब्र অঙ্গচ্ছেদ S్చలి বহুদূরবিস্তৃত লাম-শাসিত তিব্বতের কোনও অজ্ঞাত সুদূর সীমাস্তে লামীর অস্থিা-অম্লাষিত এই শিশুর জন্মগ্রহণ করা মোটেই ৰিচিত্র ছিল না !

  • সিঙ কিয়াং প্রদেশে বিদ্রোহ

খ্ৰীষ্টীয় শতকের গ্রারম্ভ হইতে, হান বংশীয়গণের রাজত্বকালে দিগন্তুবিস্তৃত চীন-তুৰ্কীস্থানের কোনও না কোন বিষয়ে চীনের সহিত সংযোগ ছিল । ১৮৭৭ হইতে ১৮৮৪ অব্দের বিখ্যাত মুসলমান-ফিদ্রেীক দমন করিবার পর মাঞ্চু শাসকগণ তুর্কীস্থানের পুনঃসংস্কার করিয়া ইহাকে বিশাল চীন-সাম্রাজ্যের উনবিংশ প্রদেশ বলিয়া ঘোষিত করেন। তদবধি ইহা লিঙ কিয়াং বা “নুতন সাম্রাজ্য” এই নামে বিভূষিত হইয়াছে। যদিও এই প্রদেশ তিববত ও বহির্মঙ্গোলিয়ার সন্নিকটবৰ্ত্তা, তবুও ইহা যে চীনের একটি স্বশাসিত অংশ ইহা নিরাপদে বলা যাইতে পারে । সিঙ কিয়াং চীন সান পৰ্ব্বতমালা দ্বারা উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে বিভক্ত হইয়াছে। দক্ষিণে খাসগড়— ভারত ও আফগানিস্থানের সহিত বণিকদলের ব্যবসাপথের একটি বড় কেন্দ্র । উত্তরে যুঙ্গারিয়া যুদ্ধোপযোগী অবস্থিতির জন্ত প্রসিদ্ধ। এখান হইতে চীন-রুশিয়ার বাণিজ্যপথ চলিয়া গিয়াছে । দক্ষিণে তুর্কীরা এবং উত্তরে তুঙ্গাং এবং কলাক লইয় গঠিত বিশাল মুসলমান জনসংখ্যা বর্তমান कौन-*lनtनव्र विक्रtझ श्रङिषांन कब्रिtउटझ् । हेइब्र অন্তর্বর্তী কানক্স প্রদেশেও একটি দুর্ধর্ষ মুসলমান উপজাতি আছে । রীতি-নীতি, কথা-বীৰ্ত্তা ও অচিার-ব্যবহারে এই মুসলমান সম্প্রদারগুলি সম্পূর্ণ বিভিন্ন ; কিন্তু এই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের চতুরতর নেতাদের মধ্যে চীনের পশ্চিম দিগস্তে সম্মিলিতভাবে এক সুবিশাল মুঘলান সাম্রাজ্য-স্থাপনের পরিকল্পনা জাগিয়া উঠিয়ছে । মুসলমানগণের এই চীন-বিদ্বেষ এতদঞ্চলে যথেষ্ট ভীতির সঞ্চার করিয়াছে, কেননা বৈদেশিকগণ এই সুযোগে মুসলমানগণের সহিত ধোগদান করিতে দ্বিধাবোধ করির না। কোনও মুসলমান বিদ্রোহ ঘটিলে কানস্থর পঞ্জে পরিচালিত হইয় তাহা চীনের যথেষ্ট ক্ষতি করিতে পারে। যাহা হউক, চীনে সাধারণ-তম্ব প্রচলিত হইবার