পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ —কেন, আজকের টাকাটা কি হ’ল ? —পথেই কলুমগীি ধরলে, ছ'-আসের দাম পাওনা । মুখ ছুটিয়ে আদায় করে নিলে । —সকালে ডাক্তারখানায় কিছু হয় নি ? —অষ্টরুম্ভা । লোকের রোগ হ’লে ভ আসবে। —তবে কি আমার চুড়ি কগাছা খুলে দেব ? -घमि मन्त्री ह्छ । বউ এইবার বিষম রাগিল । রাগিয়া ধাহা মুখে আসে তাহাই বলিতে লাগিল । পাশের বাড়ির জানালার কপাট খুলিতেই রবীন রণে ভঙ্গ দিয়া গৃহমধ্যে আত্মগোপন করিল। রোয়াকে পা ছড়াইয়া বসিয়া বউ মড়াকান্না কঁদিতে লাগিল । ঘরের মধ্য হইতে রুক্ষ গলায় রবীন বলিল—ভাল আপদ ! শোন এদিকে ! বউ রোয়াক হইতে ক্রনীনের মুরে ঝ"াবিয়া উঠিল— শুনব আবার কি ? তোমার হাতে যখন পড়েছি অদৃষ্টে বিস্তর দুঃখ আছে । হাতে মাল—তবু বক্‌ বক্‌ করে, শেনি না । বউয়ের কান্না সহসা থামিয়া গেল । দীপ্ত কণ্ঠে কহিল— কি ? শুনব আবার কি ? ধরের মধো যাই আর হাত মুচড়ে চুড়ি কগাছা কেড়ে নাও ! এ-কথায় রবীন স্তব্ধ হইয়া গেল । বহুক্ষণ কোন কথা কহিতে পারিল না । বুকের মধ্যে কায়ার সমুদ্র তোলপাড় করিয়া উঠিল। সেই বন্ধু—সেই ভালবাসা ! कांशंत्र खछ श्रांख उँौब्र झांख्रि *ांकडब्रा नशैrउ cन নামিয়াছে ! কাহার জন্ত দিনের পর দিন এই উদ্ধৃবৃত্তি ? বৃথাই কলঙ্কের মালা গলায় পরিয়া জনসমাজে' সে হেয় হইয়া রহিল ! রাগের মাথায় কথাটা অত্যন্ত রূঢ় হইয়া গিয়াছে বউ সে-কথা বুঝিল ! বুধিয়া ঘরের মধ্যে আসিয়া কোমল কণ্ঠে কছিল—কি ? কেন ডাকচো ? রবীন ধরাগলায় বলিল—তুমি ঠিকই বলেছ, অভাবের डांज्जनांद्र इब्रङ ८कांन नेिन cडमब्र श्रश्नांद्र शंष्ठ निष्ठ পারি। যাও, যাও, সামনে থেকে সরে যাও । xථ জাৰওঁ ১৭ বউ সরিয়া গেল না। আরও নিকটে আসিয়া রবীনের গায়ে একখানি হাত দিয়া বলিল—রাগের মুখে বেরিয়ে গেছে। দিনরাত কিটি-কিচি, এতে শরীর ৰে জলে পুড়ে থাক হ’য়ে যায়। বলিতে বলিতে সে কাদিয়া ফেলিল । ক্ষণপূৰ্ব্বের কান্নার চেয়ে এই কাল্পার কতই না প্রভেদ । 臺 橡 臺 影 স্বামী-স্ত্রীতে পরামর্শ করিয়া থানকয়েক বাসন বtধ রাখাই ঠিক করিল। সে টাকা ফুরাইলে রবীনের নজর পড়িল, বহুদিনকার অব্যবহৃত বাক্সবন্দী হারমোনিয়মটার উপর । সচ্ছল অবস্থার দিনে এটি কেনা, ছিল যাহার ঘরে অন্নপূর্ণ বিমুখ তাহাকে গান গাহিয়া দেবী বীণাপাণির বন্দন শোভা পাইবে কেন ? ভাল খাটখানি কেন ঘর জোড়া করিয়া আছে ? মেঝের খোয়৷ কোথাও উঠে নাই, মাকুর পাতিয়া উহাতেই শোওয়া চলে । এত ছোট ঘরে আবার শো-কেস ? কাপড়-জামা সাজাইয়া রাখিবার মত একথানিও নাই, আছে—কারিকরের হাতে-গড়া এক রাশ মাটির ফলমুল । যাহারা সাজাইয়া রাখিতে পারে তাহারীই রাখুক ; এ-বাড়িতে ওই একরাশ মাটি শিল্পনৈপুণ্যের জন্ত প্রশংসা পাইবে না, বরং উনুন গড়িলে কতকটা কাজে লাগিতে পারে। মস্ত বড় দাড়া আয়না ! সাজিয়া-গুজিয়া মুখ দেখিতে কে উহার সম্মুখে গিয়া দাড়াইবে ? যেমন কাপড়ের ঐ তেমনি দেহের । রান্নাঘরের মাচায় অনেকগুলি কোদাল, কুড়ুল, দা রহিয়াছে। যেন নুতন করিয়া একতলার উপর ধর উঠিবে উহার একখানি করিয়া থাকিলেই যথেষ্ট । দালানে থানকয়েক কাঠাল কাঠের তত্তল বহুদিন হইতে রাখা হইয়াছে। ও-গুলি রাখিবার খানিকটা জায়গা জোড়া করা বইত নয় । এই রূপে একে একে অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিষ সংসার হইতে বিদায় লইল । 聯 尊 聯 骨 সেদিন বাহিরের ডাক্তারখানায় বসিয়া আছে, এমন সময় পুলিনকে দেখিতে পাইয়া রবীন ডাকিল।