পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষণচ জন্মস্বত্ব ల\లN@ আর অত আত্তি দেখাতে হবে না । আমার জানা আছে । १िitग्न !” যামিনী চুপ করিয়া রছিলেন । এই সব অমুযোগঅভিযোগ ত বহু ঘৎসরই চলিতেছে, ইহা আর তঁহার কাছে নুতন ছিল না । এ সবের নূতন করিয়া উত্তর দিবারও কিছু ছিল না । মায়া বা তালবাসা কোনো পক্ষেই নাই, তবু তাহারা যপন সস্তানের জনক-জননী, একত্রে সংসারও করিতেছেন, তখন পরম্পরের মঙ্গল-অমঙ্গল সম্বন্ধে উদাসীন থাকিলেও ত চলে না ? যামিনীর স্বামীর কাছে নিজের জন্ত কোন দাবিই ছিল না, শুধু সামাজিক মানমর্য্যাদার হানি না ঘটিলেই তিনি সস্তুষ্ট ছিলেন । কিন্তু হরেশ্বরের সকল বিষয়েই সংযম ক্রমেই যেন কমিয়া আসিতেছিল ; লোকসমাঙ্কেও বেশী দিন তাহার স্বনাম অক্ষুণ্ণ থাকিযে না, এ ভয় ঘামিনীর জাগিয়; উঠিতেছিল । সুরেশ্বরের মনোভাবটা ছিল একটু অদ্ভুত রকমের । স্ত্রীকে তিনি ভালবাসিতেন না, শ্রদ্ধাও করিতেন না, কিন্তু যামিনী যে ইহা লইয়া দিনরাত মাথা কোটেন না, হা-হুতাশ করেন না, ইহা তিনি সহ করিতে পারিতেন না । তিনি ঘথনই স্ত্রীকে কাছে ডাকিবেন, সে যে বৰ্ত্তিয়া গিয়া তপনই আসিয়া জুটিবে না, ইহাও তাহার অসহ ছিল । তাহদের বনিয়াদী জমিদার-বংশ, এ বংশে স্ত্রীর মুল্য কোনদিনই ছিল না, কিন্তু স্ত্রীদের কাছে স্বামীদের মূল্য ছিল যথেষ্ট । যামিনী এই সনাতন নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটানোতে সুরেশ্বর কিছুমাত্র খুশী হইতে পারেন নাই । কিন্তু স্ত্রীর উপর জোর পাটাইবন্ত্রি ভরসা র্তাহার ছিল না । যামিনীর সম্বন্ধে আর কোনো মনোভাব তাছার থাক বা না-থাক, ভয় খানিকটা ছিল । সুতরাং কথা দিয়া বিধিবার যথtলtথ্য চেষ্টা করা ছাড়া আর কোনও শাস্তি স্ত্রীকে তিনি দিতে পারিতেন না । যামিনী মিনিট-পাচ বসিয়া থাকিয়া বলিলেন, "দুধ-টুধ একটু কিছু খেলে হ’ত না ? একেবারে সারাট রাত ন-খেয়ে থাকবে ?” সুরেশ্বরের রাগ ইহারই মধ্যে পড়িতে আরম্ভ করিয়াছিল। তিনি আবার বালিশ টানিয়া লইয়। গুইয়া পড়িলেন। go=t ময়া-মমতা যা সব যাও নিজে এখন ঘুমেও উদাসীন ভাবে বলিলেন, “তাই দাও গে পাঠিয়ে । একেবারে ঠাও জলের মত যেন নিয়ে না আসে।” যামিনী উঠিয়া গেলেন। বিদুকে ডাকিয়া সুরেশ্বরের জন্ত দুধ গরম করিয়া পাঠাইরা দিতে বলিলেন । তাহার পর নিজের শয়নকক্ষে গিয়া প্রবেশ করিলেন । রাত ঢের হইয়াছে, এখন শুইয়া পড়িলেই হয় । সুরেশ্বর যদি বেশী জহস্তুে হইয়া পড়েন, এই একটা আশঙ্কা তাহার হইতে লাগিল । তাহার ঘরে গিয়া থাকিবেন কিনা, যামিনী একবার ভাবিয়া দেখিলেন । কিন্তু পাছে আবার তর্কাতর্কি বাধিয়া গিয়া তাহার অসুস্থতা বাড়িয় ওঠে, সে ভয়ও ছিল । একটা চাকরকে ডাকিয়া সিড়ির মুখে শুইতে বলিয়া, যামিনী নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন । রাত্রে ঘুম হোক বা নাই হোক, সকালে তিনি উঠতেনই । আজি উঠিয়া একেবারে বাগানে চলিয়া গেলেন। নিত্য-বিকে বলিয়া গেলেন, আজ চা থাইতে তাহার বিলম্ব হইবে, সুতরাং এখনই গিয়া যেন ইাকডাক না বাধায় । সুরেশ্বর যদি জাগেন, তাহা হইলে যেন যামিনীকে খবর দেওয়া হয় । মুজিতের ঘরের দরজ খোলা । উ“কি মারিয়া দেখিলেন, সেখানে তখনও মাঝরাত্রি । বাগানটি প্রকাও বড়। মমতার বাগানটির প্রতি বড় টান । বাবাকে বলিয়া সে প্রায়ই নূতন গাছ আনায়, গাছ লাগায়, বাগানের যথারীতি যত্ন ন হইলে মাঙ্গীদের ঘথাসাধ্য বকুনি দেয় । এখানটি অত্যন্ত নিরিবিলি বলিয়া সামিনী স্থানটিকে খুবই পছন্দ করেন, তবে অতটা টান নাই । আজ চারি দিকে চাহিয়া দেখিতে লাগিলেন । এক দিনও হয় নাই, মমতা একটু চোখের আড়াল হইয়াছে, ইহাতেই তাহার কেমন বেন বুকের ভিতরটা খালি খালি বোধ হইতেছে । এই মেয়েকে চিরদিনের জন্ত সুরেশ্বর এখনই বিদায় করিয়া দিতে চান ? যামিনী তাহা হইলে আর কি এ সংসারে টিকিতে পরিবেন ? কিন্তু অন্ত কোথাও র্তাহার স্থান ত নাই ? এই ভাবে এইখানেই পড়িয়া থাকা ছাড়া তাহার আর গতি আছে কি ? কিন্তু-আজই না-হয় শুধু সুরেশ্বর মমতার বিবাহ দিতে চাহিতেছেন বলিয়া তিনি জোর করিয়া বাধা ৰিতেছেন । হয়ত এ বিবাহ তিনি বন্ধও করিতে পারিকেন । কিন্তু