পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষাচ তথ্যগতের সাধনার একটি দিক \beas পূর্ণবিকাশের অবস্থা—কোনো negative কল্পনা নয়, কিন্তু একটি নিবিড়ভাবে positive বস্ত । এ-পর্য্যস্ত যাহা বলা হইল তাছাতে সহজেই উপলব্ধি করা যায় ষে শাক্যসিংহ ‘ধৰ্ম্ম"কে আগুবাক্য বা আয়ারşfs Revelation an Inspiration sa Botā vifs al of a staxfiegfe (human nature )so evia প্রতিষ্ঠিত করিলেন এবং সেই উদ্দেশ্যে মনোবিশ্লেষণ বা psychological analysis on atoto winto fosfre বৃত্তিগুলিকে শ্রেণীবদ্ধ করিয়া কোনগুলির চরম উৎকর্ষ সাধন করিতে হইবে তাহ বলিয়া দিলেন, অর্থাৎ মনোবিজ্ঞানকেই ‘ধৰ্ম্মেীর মূলভিত্তিরূপে গ্রহণ করিলেন। এস্থলে একটি আপত্তি উঠিতে পারে যে র্তাহার মনোবিশ্লেষণ fa¥• xi y£èa as, èei crude xi imperfect psychology এবং ইহাতে নানা ভ্রম-প্রমাদ অাছে। কিন্তু এ-অভিযোগ সত্য হইলেও তিনি যে-কথা বলিতে চাহিয়াছিলেন তাঁহাতে কোন ভ্রম আসে না, কেননা তাহার মূল কথা এই যে মানবচিত্ত-বিশ্লেষণের উপর—অন্ত কিছুর উপর নর—ধৰ্ম্মকে স্থাপিত করিতে হইবে, যেহেতু আমাদের চিত্তবৃত্তিগুলিই প্রমাণসম্ভব সত্য, এখানে কল্পনা বা ভাবুকতার স্থান নাই, বৃথা আড়ম্বর বা জaাল নাই। যেসকল বিষয় মামুষের সাক্ষাৎভাবে জানা সম্ভব নয়, যেগুলি merely speculative, ifosfits G-ato a for লইয়া তর্ক বা আলোচনার সম্পূর্ণ বিৰোধী ছিলেন। তাহার আবির্ভাবকাল পর্যন্ত সাধারণ ধারণা ছিল যে ধৰ্ম্ম স্বর্গ হইতে মর্ত্যে অবতরণ করে, কিন্তু সিদ্ধার্থ প্রচার করিলেন যে মর্ত্য হইতে স্বর্গে আরোহণ করা, পূর্ণতার আদর্শের . পথে ক্রমে ক্রমে অগ্রসর হওয়াই ‘ধৰ্ম্ম ; ইদয়বৃত্তিগুলির চরমবিকাশ, অর্থাৎ self-cultureই "ধৰ্ম্ম’ বা পূর্ণচরিত্রলাভের একমাত্র উপায় এবং পূর্ণচরিত্রলাভ ভিন্ন মানবজীবনের চরম পরিণতি, মোক্ষ বা ‘নিৰ্ব্বাণ' লাভের অন্ত কোনও পন্থা নাই । ভারতের ইতিহাসে শ্ৰীৰুদ্ধের পূৰ্ব্বে কেহ self-cultureএর বার্তা এমন স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন নাই এবং প্রকৃতপক্ষে ওঁ হাকে জগতের এক জন first apostle of self-culture w się wtrwts-rķstwa zęs পুরোহিত বা হোতা বলা যাইতে পারে। সিদ্ধার্থের এই সাধনপস্থা কেবল পণ্ডিত, জ্ঞানী বা शान्¢ि¢कब्र छछ नग्न ? देश जकtणब्र छछ, जर्स्नांथांब्रt*ब्र জন্ত এবং তিনি যে র্তাহার সকল শ্রোতাকেই এই পূর্ণচরিত্র লাভের আদর্শ দেখাইল উৎসাহিত এবং উদ্ধ করিতেন সে-বিষয়ে সন্দেহ নাই। সাৰ্দ্ধ সিহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে এই self-cultureএর বাণী ঘোষিত হইলেও এখনও ইহা সম্পূর্ণ আধুনিক, কেন-ন আধুনিক জগৎও এই self-cultureকে ধৰ্ম্মসাধনে প্রধান স্থান দিতে আরম্ভ করিয়াছে এবং এখনকার মনস্বিগণও ক্রমে ইহাকেই প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনের লক্ষ্য বলিয়া স্বীকার করিতেছেন। শাক্যসিংহ আরও বলিলেন যে পূর্ণচরিত্রসাধন প্রত্যেক ব্যক্তিরই লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং দেখাইলেন যে র্তাহীর প্রদর্শিত ‘ধৰ্ম্ম’ বা সাধন-পন্থা পুরুষকারের ধৰ্ম্ম, কেন-না কেহ কথনও অন্তের নিকট হইতে ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে পারে না, শাস্ত্র বা গুরুর নিকট হইতে কেহ ইহ লাভ করিতে পারে না ; প্রত্যেককে নিজের সাধন ও চেষ্টা দ্বারা ইহা অর্জন করিতে হইবে, ইহা স্বেীপার্জিত বস্তু। তাহার মতে পূর্ণচরিত্র, বুদ্ধত্ব, সকলেরই অর্জনীয় ; তিনি এ-বিষয়ে কোনও বিশেষত্ত্বের দাবি করেন নাই, বরং নিজেকে পূৰ্ব্ব বুদ্ধগণের অল্পবর্তী বলিয়। স্বীকার করিয়াছেন এবং পরে আরও বুদ্ধগণ আসিবেন তাহাও বলিয়াছেন। Self cultureএর পথে তিনি দৃষ্টান্তস্বরূপ, গুরু নয় ; পথপ্রদর্শক মাত্র, লক্ষ্য বা উপাস্ত নয়, এবং সেই জন্ত শেষপর্য্যস্ত র্তাহার শিষ্যবৰ্গকে বলিয়া গেলেন— “তোমরা আত্মদীপ হইয়া বিহার কর, আত্মশরণ হও, অনন্যশরণ হও ; ধৰ্ম্মদীপ হও, ধৰ্ম্মশরণ হও, অনন্তশরণ হও।” কিন্তু তাহার পারমিতা-তত্ত্ব—পূর্ণচরিত্রলাভ, আয়োৎকর্ষ ব1 self-cultureএর এই বাণী, যাহা পণ্ডিত-অপণ্ডিত, ধনীদরিদ্র সকলের জন্ত, তাহা ক্রম তাহার প্রবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মের झोर्धानिक छिडिङ्ग স্বল্প ও কুটবিচারে আচ্ছন্ন ও বিপৰ্য্যস্ত হইয় লোপ পাইল এবং যে-আদর্শ দিতে তিনি জগতে আসিয়াছিলেন, ষে বস্তু তাহার আদর্শের সার ছিল, অর্থাৎ পুর্ণচরিত্র-লাভ, তাহ অস্তৰ্হিত হইল। বলা বাহুল্য যে, যদি বুদ্ধ-প্রবর্তিত ধৰ্ম্মের কোনও তত্ত্ব আমরা আধুনিক সময়ে গ্রহণ করিতে প্রস্তুত থাকি, তবে তাহা বৌদ্ধধৰ্ম্মের স্বল্প মুম্বন্ম দার্শনিক তত্ত্ববিচার নয়, তাহা এই পরিমিতাতত্ত্ব, মানবপ্রকৃতির সর্বাঙ্গসুন্দর পূর্ণৰিকাশের তত্ব।