পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় চালাবার চেষ্টা ক'রে সন্ধির আইনে ফাক স্বষ্টি করিলেন। গ্লাইডারের কথা পরে বলব । কুড়ি বছর পূৰ্ব্বে এয়ারোপ্লেন চলত সাধারণতঃ ঘণ্টায় পঞ্চাশ-যাট মাইলবেগে । আর আজ সে চলে সাধারণতঃ এক-শ দেড়-শ মাইল বেগে । আপাত দেথতে গেলে কুড়ি বছরে গতি-হিসাবে এয়ারোপ্লেনের খুব বেশী উন্নতি হয় নি। তবে উন্নতি হয়েছে অন্ত দিকে প্রচুর । আগে বিমানপোত চালনা করা এক অসমসাহসিকতার কাজ ছিল, কারণ যন্ত্র বিগড়ে যাবার সম্ভাবনা ও প্রাণ হারাবার সম্ভাবনা খুবই ছিল । অন্ত ক্রটিও যথেষ্ট ছিল। কিন্তু আজ ?—আজি দক্ষ চালকের হাতে পড়লে এয়ারোপ্লেনটি যে নিরাপদে চলবেই তাহার সম্ভাবনা শতকর। নব্বই ভাগ । বে দশ ভাগ বাদ দেওয়া হ’ল, সেটাকে এই ভাবে ভাগ করা যেতে পারে-=দশ ভাগের চার ভাগ নির্ভর করে চালকের সতর্কত ও সাহসের উপর, চার ভাগ নির্ভর করে আকাশের অবস্থার উপর ও বাকী দু-ভাগ নির্ভর করে দেশের প্রাকৃতিক সংস্থান ও নামা-ওঠার সুবিধার উপর । তা ছাড়া আধুনিক যুগের এয়ারোপ্লেনকে বিজ্ঞানের দিক থেকে একেবারে সর্বাঙ্গমুন্দর বলা যেতে পারে। দুটি বিষয়ে এখনও বহু উন্নতি করবার অাছে,—তা হচ্ছে জোরে চলা ও চট্‌ ক’রে ওঠা-নামার ব্যবস্থা করা । জোরে চলার উন্নতি সাধনের জষ্ঠ ষ্ট্র্যাটোস্ফীয়্যার যন্ত্রের পরীক্ষা চলেছে ; এই যন্ত্র ৫০০ থেকে ১০০০ মাইল জোরে ঘণ্টায় যেতে পারে। ওঠানামার উন্নতি নির্ভর করছে সাইক্লোজাইরে এবং অটোজাইরোর উৎকর্ষবিধানের উপর । ঘণ্টায় দেড়-শ থেকে দু-শ মাইল বেগে আমেরিকার কোন কোন বিমানপথে ( air-line) এবং জাৰ্ম্মেনীর লুফটু হানসা (এটি এক বিশ্ববিখ্যাত জৰ্ম্মান উড়ো জাহাজ কোম্পানীর নাম, অর্থ—উড়োপার্থী ) লাইনের কোন কোন বিভাগে ইতিমধ্যেই প্রচলিত হয়েছে। ঘণ্টায় দু-শ থেকে আড়াই-শ মাইলের উপর উড়তে পারে এমন উড়োজাহাজ যুদ্ধ-বিভাগের জন্ত সব দেশেই আজকাল ব্যবহার হচ্ছে । এই বেগ ও গতি সৰ্ব্বসাধারণের ব্যবহারযোগ্য উড়ো জাহাজে আমদানী করবার দ্রুত চেষ্টা চলেছে এবং আশা করা যায় যে অসুরভবিষ্যতে, অর্থাৎ পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যেই, এই চেষ্টা অণকাশের দেশে ළ8ම් সফল হবে । তথন সাধারণ গতিবেগ হবে মিনিটে চার মাইল, অর্থাৎ ঘণ্টায় আড়াইশ মাইলের কিছু কম। এই গতিবেগ বাড়াবার জন্ত দেশ-বিদেশে যা চেষ্টা চলেছে, তা অদ্ভুত। উড়ো জাহাজের চালকের অসীম সহশীলতার প্রয়োজন। তাকে দক্ষতাজ্ঞাপক মানপত্র দেবার পূৰ্ব্বে ষে পরীক্ষায় ফেলা হয়, তা-ও অদ্ভুত। কিন্তু তার মধ্যে भiब्रश्चिद ब! ट्टेिन बिभ्रुं cनं । इव बध्न श्रूं पृथन এক বিশিষ্ট প্রফেসর বন্ধুর সঙ্গে দমদমে প্রথমে একটি ছোট ● গ্রাভ, জেপেলিন প্লেনে সখের খেয়ালে চড়ি, তখন আমাদের ডাচ চালকটিকে দেখে মনে হয়েছিল—এ বুঝি ইত্রের পুপক-রথ-চালক । আর আজ মনে হয় যে ব্যাপারটি ডাঙার উপর মোটরগাড়ী চালানর চেয়েও সোজা । কারণ ডাঙায় আছে সহস্র বাধা, ট্রাফিক পুলিস ও চাপ দেওয়ার ভয় । কিন্তু বিপুল বিছায়স্থপ্রাঙ্গণের হাওয়া ও অবাধ মুক্তি প্রোণে এনে দেয় অসীম তৃপ্তি। দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফলে আজ মনে হয় যে বিমান-বীরদের