পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষাঢ় उछाiठनों*** ●¢ጫ ক’রে বন্দুকটা তুলে ছোড়বার পর—আপনি যেমন ক্যাবৃলা মেয়েটাকে পেয়ে সে কি না বলে বসতে পারত। কিন্তু —ও হরি, টোটাই ভরা হয় নি এবং ততক্ষণে হরিণ-দল বাক্-সংযমী যুব বললে শুধু পাজির কথা । ( বাঃ দিগন্তসীমায় বিলীয়মান । কেমন বোধ হয় ? ঠিক তেমন অবস্থা আমার । যত ক্ষণে চেচিয়ে উঠেছি—‘ঐ ত হেসেছেন, তত ক্ষণে শ্ৰীমতী হরিণী লম্বা বেণী দুলিয়ে একেবারে দোতলায় । ইনি আবার বনের হরিণী নন্‌— মনের হরিণী—তাই গতিটা বুঝি বা দ্রুততর। কত গ্যালন উৎসাহ নিয়ে মেয়েটির দিকে যাত্রা করেছিলুম তার অবশু ঠিক নিভুল হিসেব দিতে পারব না—কিন্তু তখনও সেই প্রাথমিক মোমেণ্টমূ নিঃশেষ হয় নি। গেয়ে উঠলুম। কোথায় যাবে ও ? বড়জোর দোতলায় । আরও জোর তেতলায় । আর বৃহত্তম জোর ছাদে ! যেখানেই থাকুক, আমায় এড়ানো যাবে না। সশরীরে না ঘাই শব্দভেদী আছে। পাশের বাড়ির পাঁচ বছরের ছেলেটা ভয়ানক কান্নাকাটি করে, তাই দয়া ক’রে গান গাই না । নইলে ঠেসে একবার গান ধরলে অীর বড়-একটা চালffক করবার জো নেই । শুনবেন, সেখানেই ব’সে পড়তে হবে । “সে কোন বনের হরিণ ছিল আমার মনে—” ঘেধীনে হঠাৎ থেমে যেতে হ’ল । সৰ্ব্বনাশ, দিদির সঙ্গে সুমি নেমে আসছে । * আবার চেচাতে সুরু করেছিস ?’ ব’লে এক তীব্র কটাক্ষ নিক্ষেপ ক’রে সুমিকে নিয়ে দিদির ংপ্রস্থান । আর কেউ সাক্ষী নেই, কিন্তু হে আমার আইবুড়োওহ, তুমি ত সবই দেখলে ! অবিদিত নেই। তুমি দেখলে, একটি সরলপ্রাণ যুবক তার যথাসাধ্য করলে । তুমি ত জান, যথন তোমার এ চৌকাঠ পেরিয়ে একটি আসল তরুণী এসে দাড়াল, তখন যুবকটির মনে সে কি এক হাজার অশ্বশক্তির আন্দোলন মুরু হয়েছিল ! তুমি জান সেই অতুলনীয় যুবক কি বীরবিক্রমে সেই হাজার অশ্বের বল্গা ধারণ করেছিল ? একবারও সে ভয়ানক চেচিয়ে ফেলে নি, উসখুস করে নি, হাত-পা ছোড়ে নি, মাথা চুলকোয় নি, গোফে তা দেয় নি, তা তুমি জান। একলা ঘরে ঐ عeسببیو3A কিছুই ত তোমার । কুমারসম্ভব-সম্বন্ধে তাকে দোষ দিলে চলবে কেন, সেটা ত ওদের পড়বার বই । ) ঐ একলা ঘরে হঠাৎ হাতটা ওর হাতে লাগিয়ে দিতে পারভ কিন্তু মহাপ্ৰাণ যুবক, ত্যাগশীল যুবক—সে এ-সব কিছুই করলে না । শুধু একটু এগিয়েছে, ঐ ত হেলেছেন বলে খুব একটু চেচিয়েছে, আর চেচিয়ে নয় গলাটা তুলে রবিবাবুর একটা গানের এক লাইন গেয়েছে । এই তার দোষ । তোমার কি মনে হয়, এই সামান্ত দোষে এক জন মেয়ের তোমাকে এবং আমাকে উপেক্ষা ক’রে পালন উচিত হয়েছে ? - আমার আইবুড়ে গুহা নীরব । অবশু আমি জানতুমই ঘে ওর কাছে উত্তর আশা করা ভুল, কিন্তু বোকের মাথায় ওকে মনের কথা বলে ফেললুম। কিন্তু দিদি । উঃ, মুখ দিয়ে যা বেরোয় যেন এক-একখানি বৃশ্চিক —“আবার চেচাতে মুরু করেছিস ! কথাগুলোকে ভেঙে ভেঙে নেওয়া যাক—বিশ্লেষণের সুবিধে হবে । ‘আবার’—অর্থাৎ আমি ধে'প্রায়ই এমনটা ক’রে থাকি, তা ঐ মুমি মেয়েটিকে জানান হ’ল । ‘চেচাতে –গানকে বলা হচ্ছে চেচানো । ভুল। চেঁচা ধাতু থেকে হয়েছে চেঁচানো । লোকে যখন গলা ফাটিয়ে চীৎকার করে, তখন গলায় যে ভাণ্ডা-ভাঙা আওয়াজ হয় সেই হচ্ছে চেচা ধাতু । আমার গলা কেউ কখনও ভাঙতে শুনেছে ? ‘সুর’—অর্থাৎ যেন অনেককাল ধ’রে এই চীৎকার আমি চালাবই । - ‘করেছিস-কথাটায় কোনও অর্থগত বা ব্যাকরণগত ভুল নেই । কিন্তু ঐ ‘ছিস-এর "ছ’ আর 'গ' টা এমনভাবে উচ্চারণ করলে যেন কে শুকনো ঝাটা দিয়ে শানের মেঝে বাট দিচ্ছে । —মোট কথা নিদারুণ অবজ্ঞা ও বিদ্রুপের ভাব । কেন ও ঐ মেয়েটিকে আটকে রাখতে পারত না ? বলতে পারভ নী—“ওর কাছে তুই পড়—তোর ভাল হবে। ওর রকম-সকম দেখে ভয় পাস নি, আসলে ও অতি উচু