পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় অণমার দেখা লেণক

নই, তাহার উপর দিয়া হারিসন রোড নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। বর্তমান হারিসন রোড ও মৃঙ্গাপুরের সংযোগ স্থলে, শ্রদ্ধানন্দ পার্কের ঈশান কোণে সেই বাড়ি ছিল । তখন শ্রদ্ধানন্দ পার্কের নাম ছিল “ছোট গোলদীঘি” । অক্ষয় বাবুর বাটীর ঠিক পূৰ্ব্ব দিকে রিপন কলেজ ছিল। আমি ১৮৮৭ খ্ৰীষ্টাব্দে এণ্ট,ান্স পরীক্ষণ দিয়া একবার তিন-চারি দিনের জন্ত কলিকতীয় আসিয়া অক্ষয় বাবুর সেই বাসাতে ছিলাম। অক্ষয় বাবু পরে যখন দেওঘরে থাকিতেন, তখন আমিও কিছু দিন দেওঘরে গিয়া বাস করিয়ffছলাম । দেওঘরে আমি অক্ষয় বাবুর বাটতে থাকিতাম না, আমার বাস তাহার বাটীর কাছেই ছিল, সুতরাং সেই অপরিচিত দেশে আমি যে প্রতাহই তঁহার কাছে যাইতাম, একথা বলা নিম্প্রয়োজন। কলিকাতায় যে সময় আমি অক্ষয় বাবুর বসাতে ছিলাম, সেই সময় এক দিন এক প্রৌঢ় ভদ্র লোক অক্ষয় বাবুর বাসাতে বেড়াইতে আসিয়ছিলেন। তিনি বোধ হয় কানে কম শুনিতেন। উভয়ে বোধ হয় সমবয়স্ক ছিলেন, অক্ষয় বাবু তাহার সঙ্গে কথা কহিবার সময় বেশ উচ্চ কণ্ঠে কথা কহিতে লাগিলেন, তাহীতেই আমি মনে করিলাম যে আগন্তুক বধির । আমি খুব নিম্নশ্বরে অক্ষয় বাবুকে সেই ভদ্রলে:কের পরিচয় জিজ্ঞাসা করাতে অক্ষয় বাৰু তেমনি মুহম্বরে বলিলেন বাবু রজনীকান্ত গুপ্ত আমি সশ্রদ্ধ দৃষ্টিতে সেই আগস্থকের প্রতি চাহিয়া রহিলাম । দ্বিতীয় শ্রেণীতে, মাত্র এক বৎসর পূৰ্ব্বে র্যাহার “সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস’ আমাদের পাঠ্য ছিল, আমাদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় যিনি বঙ্গল। ভাষার পরীক্ষক ছিলেন, তিনিই এই রজনীকান্ত গুপ্ত। আমার মনে হয়, রজনী বাবুর মুথ গালের কাছে একটা আঁচিল ছিল । চুচুড়ায় অক্ষয় বাবুর বাড়িতে আর এক জন বৃদ্ধ ভদ্র লোককে দেখিতে পাইতাম । তিনি বোধ হয় অক্ষয় বাবুর অপেক্ষা কিছু বড় ছিলেন। সেকালে তিনি এক জন অসাধারণ রিহাস-রসিক বলিয়া পরিচিত ছিলেন । র্তাহার নাম বাৰু দীননাথ ধর দ্বীন বাবু এক সময়ে ঢাকাতে গবৰ্ণমেণ্ট প্লীডার ছিলেন। পরে অবসর গ্রহণ করিয়া বাটীত বসিয়াছিলেন । আমার পিতার সঙ্গেও তাহার বেশ হৃদ্যতা ছিল । অক্ষয় বাবুর বাটতে তিনি আমার পরিচয় পাইয়া বলিয়াছিলেন, “তুমি ইন্দ্রকুমারের ছেলে ? অ’মি বলি বুঝি অক্ষয়ের কেউ হবে।” অামি যখন “হিতবাদী’তে কাৰ্য্য করিতাম, তখনও তিনি মধ্যে মধ্যে “হিতবাদী” আপিসে যাইতেন । পণ্ডিত চন্ত্ৰে:দয় বিদ্যাবিনোদ মহাশয় তখন “হিতবাদী’র সম্পাদক । দীন বাবু বিদ্যাবিনোদ মহাশয়ের সঙ্গে দেখা করিতে আদিয়াছিলেন । তিনি আমীকে দেখিয়াই বলিলেন, “যোগিন এখানে যে ?” বিদ্যাবিনোদ মহাশয় বলিলেন, “যোগিন বধুই “হিতবাদী’র সম্পাদক, আমি ত নামে " শুনিয়াই দীন বাৰু রজনীকান্ত গুগু বলিলেন, “বেশ, বেশ, শুনে বড় আনন্দ হ’ল যে আমাদের ঘরের ছেলে 'কলিকাতায় খবরের কাগজমহলে নাম কিনেছে।” দীন বাবুর গল্প করিবার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। আর একদিন তিনি আমাদের অffপসে আসিয়া কথাবার্তা কহিতেছিলেন, এমন সময় এক জন লোকের