পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণষণচ জীবনাক্সন 8ey নীলিমায় স্বৰ্য্যালোক নিৰ্ম্মল, উজ্জ্বল। মায়াময় আলো । বারিমাত বৃক্ষগুলির পাতায় পাতায় উচ্চ নীচ লাল হলদে সাদা বাড়িগুলির দেওয়ালে ছাঁদের শ্রেণীতে স্তরে স্তরে যেন সৌন্দর্ঘ্যের আগুন লাগিয়া গেল। চারি দিক ঝলমল, ঝিকিমিকি করিতেছে। পূৰ্ব্ব-উত্তর কোণে স্নিগ্ধ সজল মেঘস্ত,পের পার্গে পুষ্করিণীর তাল নারিকেল শ্রেণীর মাথায় রামধেনু উঠিল, অৰ্দ্ধেক আকাশ জুড়িয়া । প্রাতাহিক পৃথিবীর উপর হইতে বিষাদের কালে যবনিকা উঠিয়া গিয়া, অরুণের চক্ষুর সম্মুখে বিশ্বসংসারের কোন জ্যোতিৰ্ম্ময় আননারূপ প্রকাশিত হইল। সে বিমুগ্ধ স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিল, এ কি অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্য-দীপ্তি, আনঙ্গ-জ্যোতিঃ চারিদিকে বিচ্ছুরিত । রাত্রির নিকষকৃষ্ণ পেয়ালা শত খণ্ডে ভাঙিয়া যেমন প্রভাত-হুর্য্যের রক্তিম আলোক-ধারা মত্ত বেগে চারি দিকে উপছাইরা পড়ে তেমনই অরুণের অস্তরে এত দিন যে বিষাদ ও বেদনা স্তরে স্তরে জমিয়tছে, সেই অন্ধকার অস্তর-গুহা বিদীর্ণ করিয়া আনন্দ-প্লাবন প্রবাহিত হইল । এ অপুৰ্ব্ব অভিজ্ঞতার অর্থ বুঝিবার মত পরিণত বুদ্ধি অরুণের ছিল না । সে শুধু অনুভব করিল, ক্ষাস্তবর্ষণ আকাশ-নীলিমার নিৰ্ণিমেষতায়, জলসিক্ত তরুপুঞ্জের শ্যামলিমায় এ কি অপরূপ আলো, এ কি জ্যোতিৰ্ম্ময় সৌন্দর্য্য । সে আর ছাদে থাকিতে পারিল না, পথে বাহির হইল । প্রাসাদশ্রেণী, জনস্রোত, ট্রামের যাত্রী, মোটর-গাড়ীর প্রবাহ, সকল বস্তু রূপ শব্দ সে নুতন আনন্দে অনুভব করিল । চারি দিকে এ কি অপরূপ আলো । উন্মত্তের মত সে রাস্তা দিয়া চলিল। পথের কোন নির্দেশ রহিল না । এ কি সৌন্দর্য্য ! তাহীর ইচ্ছা হইল, পথের ঐ মুটেকে সে আলিঙ্গন করে, ঐ তিখারীকে সে সৰ্ব্বস্ব দান করিয়া দেয় ; ঐ মেয়েটির কি মুন্দর মুখঞ্জ । অরুণ নূতন নুতন অপরিচিত রাস্ত অতিক্রম করিয়া চলিল। ধীরে সন্ধ্যা হইয়া আসিল । পথে গ্যাসের আলো জ্বলিয়া উঠিল । চলিতে চলিতে অঙ্কণ কলিকাতার দক্ষিণ ॐiहरु दांनौशंtछद्र ७क ठूश्९ भांt?द्र नषूथ श्रांजिक cनोझांहल । সুবিস্তীর্ণ শ্যামল প্রাস্তর, জনহীন,উদাস, প্রদোষান্ধকারময় । মধ্যে একটি প্রাচীন বৃক্ষ। অরুণ বৃক্ষটির নীচে ভিজা ঘাসের উপর বসিল। আনন্দময় সৌন্দর্য্যানুভূতির তীব্রতা আর নাই, চারি দিকে স্নিগ্ধ মাধুর্য্য। মাঠ-ভরা তরল অন্ধকার । দেবদারু-ছায়াচ্ছন্ন রক্তিম পথের ওধারে ধনীদিগের প্রাসাদ ও উদ্যান স্তব্ধ। দূরে তরুশ্রেণীতে ছায়াপুঞ্জ নিম্পন্দ। পূৰ্ব্বদিকচক্রবালে নারিকেল বৃক্ষগুলির অন্তরালে কয়েকটি বাড়ি হইতে আলো জলিয়া উঠিল । শুষ্ঠ অন্ধকার মাঠে অরুণ নীরবে বসিয়া রহিল। তাহার মনে হইল, সে বড় একা, বড় অসহায় । তারার আলোকে এক পথহারা শিশু যেন অনন্ত আকাশের দিকে চাহিয়া মাতৃহস্তের স্পর্শের প্রতীক্ষা করিতেছে । আকাশ তারায় তারায় ছাইয়া গেল । অরুণ অনুভব করিল অসীম ব্যোম ভরিয়া অগণিত নক্ষত্রে যে প্রাণশিখা জলিতেছে তাহারও জীবনে সেই প্রাণ স্পন্দিত । মাটির তৃণ হইতে আকাশের তারা এক গভীর আনন্দময় প্রাণস্থত্রে বদ্ধ। সে আর এক নয় । বিশ্বজগতের যিনি দেবতা, তিনি তাহার সঙ্গী, তাহার বন্ধু হইলেন । সমস্ত চৈতন্ত দিয়া সে কোন অতল স্পর্শ প্রাণ-সমুদ্রের শাস্ত গভীরতায় নিমগ্ন হইয়া গেল । ছুটির পর কলেজ খুলিল। শরৎ-সন্ধ্যায় কনক মহিমা স্নান হইয়া গিয়াছে। কিন্তু সৌন্দৰ্য্যস্থতির আভায় চারি দিক রঙীন । দিনগুলি যেন কোন আনন-পদ্মের এক-একটি পাপড়ি । জয়ন্ত, শিশির, বাণেশ্বর, অরবিন, সকলেই তাহার ভাল-লাগে । সকলের সহিত সে হৈ-চৈ করিয়া গল্প করে, উচ্ছ্বসিত হস্ত করে ; সকলে মিলিয়া একটি ক্লাব করিবে, এক সাহিত্যিক পত্রিক বাহির করিবে, নানা জল্পনা করে । ( واود ) অকণ বাড়িটির নাম দিয়াছিল, “সোনার স্বপ্ন’ । পরবর্তী জীবনে এই বাড়ির কথা যখন সে বন্ধুদের বলিয়াছে, ठांशंब्रl झाँनिम्न खेलििब्रां८छ्, “cनांनांद्र ऋश्न नग्न, ७öl cडांभांद्र भियांचध **