পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অাষাঢ় —কিছুতেই আসতে চায় না । —বা, বেশ, ব’স তুমি । তোরা ওর সঙ্গে খেলা কর। —কি খেলা জনি তুমি ? —আমি কোন খেলা জানি না। আমি শুধু বই পড়তে জানি ; শুধু বই পড়ি। —আমরা বই পড়ি না ; মা পড়েন, আমরা গল্প গুনি । —আমাদের অনেক ছবির বই আছে, দেখবে ? বালিকার অরুণের সম্মুখে তাহাজের ছবির বই, তাহীদের নানা খেলনা, তাহীদের নানা জন্মদিনের উপহারদ্রব্য সকল স্ত,পীকৃত করিল। অরুণ তাহদের সহিত কত অভূত হুন্দর ছবির বই দেখিল, কত নাম-না-জানা খেলা থেলিল । খেলার নামগুলি তাহার মনে পড়ে না। তবে বালকবালিকাসমাজ-প্রচলিত লুডো, ক্যারম, বাঘ-বন্দী ইত্যাদি সাধারণ খেলা নয় । খেলার শেষে খাবার আসিল । অতি তৃপ্তিকর পানীয়। খাবারগুলিও বৈদেশিক । নানা রঙের কেক, চকোলেট, আরও নানা অজানা খাবার। অরুণ কোন খাবারের নাম বলিতে পারে না, মেয়ে দুইটি হাসিয়া লুটাইয়া পড়ে । চাপাঙ্কুলের রঙের কাপড়-পরা মেয়েটি বলিল—তোমার নাম কি বল ? সচিত্র “কিং অর্থার” উপাখ্যান-গ্রন্থ হাতে করিয়া অরুণ বলিল-আমার নাম স্যার ল্যান্সলট। রক্তকরবী ফুলের রঙের বেশ-পরা মেয়েটি বলিল-না, তোমার নাম ল্যান্সলট নয় ; আমি জানি তোমার নাম, ভূমি হচ্ছ অজিত সিং, তুমি বেরিয়েছ দৈত্য বধ করতে। কোন উপকথায় সে পড়িয়াছিল, ভীষণ দৈত্য বধ করিয়া অজিত সিং এক দেশকে কিরূপে রক্ষা করে । अब्र१श्रखौब्र हहेब्र दणिण-छूमि टैिक द८णझ् । —দৈত্য বধ করতে তুমি পারবে ? সে বড় ভয়ঙ্কর দৈত্য । =নিশ্চয় পারব । জতন্ত্ৰ ზი© —চল তবে ; আমাদের বাড়ির উত্তর দিকে পাচিলের ওপারে সে বাস করে । মাঝে মাঝে তার গর্জন গুনে আমরা চমূকৈ উঠি। তখন বড় ভয় করে । রাতে ঘুম श्च न] । - —চল, অামি বধ করব সে দৈত্যকে । बांणिक झइंछिद्र नश्डि cन ६व्र रुहेरङ पश्ब्रि इहेण । বালিকা দুইটি তাছাকে পথ দেখাইয়া চলিল, কুকুর দুইটি চলিল আগ্ৰে । পুষ্পশোভিত সুন্দর উন্মুক্ত পথ নয়। এ ঘনবন, সঙ্কীর্ণ বক্র বীথিকা, দুই পাশ্বে অতি প্রাচীন ঝুরি-নামা বটঅশ্বখ বৃক্ষগুলির ভীষণ অন্ধকার । উচ্চ দেওয়ালে সংলগ্ন বৃহৎ কৃষ্ণ লৌহ কবাটের সম্মুখে তাহার উপস্থিত হইল। কবাট অর্গলবন্ধ। —কবাট খুলতে পারবে ? বালিকা দুইটির মুখ আশঙ্কায় পাণ্ডুর, চক্ষুগুলি বাথায় করুণ। কুকুর দুইটি চঞ্চল হইয়া লাফাইয়া উঠিতেছে। অরুণ সশকে অর্গল সরাইয়া দ্বার খুলিল। সম্মুখে সঘন অন্ধকার । পিছন হইতে বালিকা দুইটি বলিল—এগিয়ে যাও। অজানা অন্ধকারপথে দৈত্যের সন্ধানে অরুণ অগ্রসর हट्टेल । श्रिोइरन बांब्र बक इहेब्रा ८ञांण । দৈত্যের এ কি অবয়বীন অন্ধকার রূপ! যেন স্বপ্নের ঘোর হইতে জাগিয়া চমকিয়া অরুণ চাহিয়া দেখিল, বালীগঞ্জের এক অজানা পথে শীত-সন্ধ্যার অন্ধকারে দিশাহারণ দাড়াইয়া । কোথায় সেই সোনার প্রাসাদ স্বপ্নের মত রাত্রির গগন-তিমিরে মিলাইয়া গিয়াছে। ইহার পর বহুদিন . সে বালীগঞ্জে ঘুরিয়াছে, সে “সোনার স্বপ্ন’ আর খুজিয়া পায় নাই । ( ক্রমশ: )