পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় আটাশ ঘণ্টার জন্ত 8>> সাসিতে বাধ্য হইলাম। একটু দূরে রেলিং ধরিয়া ধাড়াইলাম । ঠিক করিলাম, ভদ্রলোক না ঘুমাইলে আর বিছানার কাছে সাইব না । হঠাৎ লক্ষ্য করিলাম অল্পবয়সী তিন জন ভদ্রলোক আমাকে নির্দেশ করিয়া কি যেন বলবিলি করিতেছেন । পানিক ক্ষণ পর তাহীদের মধ্যে এক জন সরাসরি আমার কাছে আসিয়া বলিলেন-- আমুন না, একসঙ্গে থানিকটা সময় কাটাই, আমরা তিন জন ত আছি-ই, আপনি এলেই আরম্ভ করতে পারি । অন্ত দুই জন তত ক্ষণ তাস বাহির করিয়া জায়গা নিৰ্ব্বাচন করিয়া ফেলিয়াছেন। বুঝিলাম কেবল আমার অপেক্ষায়-ই আরম্ভ হইতেছে না । কিন্তু আমি যে আবার এ রসে বঞ্চিত, স্পষ্টই কহিলাম—অামি যে খেলা জানি নে । —ঘা জানেন তাতেই হবে, আমরা ত আর এখানে ষ্টেকে খেলতে যাচ্ছি নে । —সিন্সিয়ারলি বলছি, আমি একেবারেই থেলা জানি নে । —বুঝেছি, আপনার খেলার দিকে তেমন ঝোক নেই এখন । আচ্ছা বেশ দুটো রাবার হয়ে গেলেই বন্ধ ক’রে দেব।-আবীর চিস্তে করছেন কি ? এসে পড়ন। বেলাটাও একেবারে পড়ে এল, কত ক্ষণই বা খেলা হবে ? কি মুস্কিল, ভদ্রলোক ধারণাই করিতে পারেন নাই যে আমি বাস্তবিক তাসের কোন খেলাই জানি না । বলিলেও বিশ্বাস করিবেন না, একেবারে আনাড়ীর মত খেলিলেও মনে করিবেন, তামাশা করিতেছি। নিরুপায় হইয়া দাড়াইয়! রহিলাম । শেষটায় অনেক ক্ষণ পীড়াপীড়ির পরও যখন এক পা-ও নড়িলাম না, তখন ভদ্রলোক রাগ করিয়া চলিয়া গলেন । স্পষ্ট শুনিতে পাইলাম, তাহীদের মধ্যে এক জন স্বলিতেছেন – আজকালের ফ্যাশনই হচ্ছে এটা—সকলের মধ্যেই কাব্যভাৰ ঢুকেছে কিনা, তাই কেউ কার সঙ্গে মিশূতে fয় না। তা যাক। চল আমরা তিন জনেই থেলি । তখন সন্ধ্য আগতপ্রায় । মেঘনার ঢেউগুলি স্নান ংৰ্য্যকিরণে চিকমিক্‌ করিতেছিল। বাতাসের জোর না শকায় নদীটা তেমন চঞ্চল ছিল না। একটা সেঁ-সো শব্দ १हे छनां शांह८डछ्णि-cभधनांब्र ध्वनिटेiहे इहेण ५हे গান। মনে হইতেছিল, গানের তালে তালে ছোট ছোট ঢেউগুলি জড়াঙ্গড়ি করিয়া এক আকর্ষণী শক্তির পিছনে ছুটিতেছিল। আশপাশে দুই চারিখানি নৌকা দেখা যাইতেছিল—কোনটা পাড়ি দিতেছে, কোনটা বরাবর স্রোতের মুখে চলিয়াছে, কোনটা বা পাল খাটাইয়া উজান ঠেলিয়া যাইতেছে । ছোট একটা বালুচরের কাছে জেলেদের লম্বা নৌকাগুলি সারিবাধা ছিল। অদূরে মাইল মাইল দূর পর্যন্ত প্রলম্বিত জালের বাশগুলি জলের উপর ভাসমান ছিল । নৌকাগুলি যথাসময়ে জাল গুটাইবার জন্ত অপেক্ষা করিতেছিল । নারিকেল-বোঝাই একখানি নৌকা অল্প দূর দিয়া যাইতেছিল। ছাউনীর উপরের চারিদিকটা বীশের বেড়া দিয়া ঘেরা, তাহার উপরে প্রায় পাঁচ-ছ হাত উচু পৰ্য্যন্ত নারিকেল বোঝাই হইয়াছে ; মনে হয় ছোট একটি নারিকেলের টিলা স্থলের উপর দিয়া চলিয়াছে । সন্ধ্যার পর মহা ফ্যাসাদে পড়িল:ম । এ-ষ্টীমারটায় বিজলী বাতি নাই। ঝুলপড়া কয়েকটা কেরোসিনের লণ্ঠন এখানে-ওখানে ঝুলিতেছে । তাহাতে আলো কিছুই হইতেছে না, বরং অন্ত্রবিধা হইতেছে । যে-জায়গায় লণ্ঠনের আলো পৌছে নাই, সে-জtয়গার অন্ধকার আরও গাঢ় হুইয়াছে । মেয়ে-কামরার লণ্ঠন হইতে কেরোসিনের শীধ কেবলই বাহির হইতেছিল । সারারাত্রি ঐ আলোটা জালা থাকিলে কেরোপিনের গ্যাস হজম করার দরুণ মহিলাদের লইয়া ভেরিবেলা টানাটানি করিতে হইবে না ত ? মেয়েরা কামূরাটিকে সম্পূর্ণরূপে বাড়িঘরের মত করিয়া তুলিয়াছেন। জলের ঘাট, টিফিন-কেরিয়ার, বাক্স-তোরঙ্গ, তেীযকবালিশ, কাপড়চোপড় সব একাকার হইয়াছে । একদিকে জল ফেলিতে ফেলিতে ডেকটাকে পৰ্য্যস্ত কাদা করিয়াছেন। কাহারও শিশু ঘুমাইয়াছে, কাহারও শিশু কffদতেছে । স্বামীদের এদিকে একবার লক্ষ্য করিবার অবপরও নাই, বিছানায় বসিয়া বা শুইয়। দিব্য অরিাম করিতেছেন। এক জন মুসলমান মহিলার অসুবিধা হইতেছিল বেশী । আপাদমস্তক বোর্থ দিয়া ঢাকা অবস্থায় তিনি এককোণে বসিয়া ছিলেন । কাহারও সঙ্গে কথাও কহিতে পারেন না, মুখ তুলিয়া বোখার ফঁাকে একবার এদিকওকি চাহিতেও পারেন না। তাহার স্বামীটিও খুব