পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

838 —আমার শরীরটা খারাপ লাগছে, থাকুন, আমি শুনছি। —ষ্টীমার রেলে আমার শরীর ভাল থাকে না-কেমন কেমন যেন লাগে । তবু ষ্টীমারটা অনেক ভাল, খাওয়াটা পেলে এখানে আর বিশেষ কোন কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা নেই। আচ্ছ, এরোপ্লেনের জার্নি কি রকম লাগে জানেন ? অামি কিন্তু আজ পর্য্যস্ত এরোপ্লেন চড়ি নি । সত্যি বলতে কি, আমার ত ভীষণ ভয়ই করে। আমার মনে পড়ে, অনেক বছর আগে, ঢাকাতে এক মেমূ বেলুনে উঠেছিল। অনেক উঁচুতে ওঠার পর হঠাৎ কি একটা গোলমাল হওয়াতে মেমসাহেব বেলুনকুদ্ধ রমনার একটা গাছের উপর পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন । আর যাই বলেন, ওদের মেয়েপুরুষ সম্বাই খুব ডেয়ারিং— আপনি বলতে কখন ঘুমাইয় পড়িয়ছিলাম, মনে নাই ; জাগিয়া দেখি ভোর হইয়াছে। শরদিন্দু বাবু যোগাসনে বসিয়া মুর করিয়া গীতা পাঠ করিতেছেন। উঠিয়া বসিলাম । —ঘুম ভাঙল আপনার ? —আগের দিনটা অনিদ্রীয় কাটায় কাল বেশ ভাল ঘুম হয়েছে । তাহ’লে এখন যান, নীচে থেকে হাতমুখ ধুয়ে অtঙ্কন গে। এই ঘটটা নিয়ে যান। আমি ত একেবারে চান ক’রে এসেছি, ঐ দেখুন না রেলিঙের গায়ে ভিজে কাপড় শুকোঁতে দিয়েছি । আপনি চান করবেন ? তাহ’লে আমি গামছা-কাপড়ের বন্দোবস্ত করছি না হয় । —আমার আবার ঠাও সয় না, চালু করলে ঠিক সর্দি লেগে যাবে। তবে হাত-মুখটা একবার ধুয়ে আসতেই হবে। একি আমার জুতোজোড়া কোথা ? এখানে ত দেখছি না । - শরদিন্দু বাবু হেসে বললেন—বুঝেছি, ও আর বৃথা খুজে লাভ কি ? এধানে এলে ঘুমের দক্ষিণস্বরূপ ওটা ध्ानि अद्भ८ख ङ्य़ । ख्जरणttकब्र खे°ब्र ७क बिबख श्रेणांम, किरु निबन्खब्र থাকায় তিনি আবার বলিতে লাগিলেন—এ ত খুব সোজা কাঞ্জ। জুতোজোড়া পারে দিয়ে গিড়ি দিয়ে নেমে ১৩৪২ গিয়ে যে-কোন লোক যে-কোন ষ্টেশনে নামতে পারে । डॉ८ठ लांछ७ भन्च रुद्र नां, छि८कtछैब्र घमि श्ब्रड श्रांछे श्रांनी দশ আনি লেগেছে কিন্তু তার বদলে টাকা-তিনেকের জিনিষ পাওয়া গেল । –এর কি কোন ব্যবস্থা হবে না ? ষ্টীমারের লোক এ-পূব দিকে নজর রাখে না কেন ? নিজেই ভেবে দেখুন ত একি যাচ্ছে-ভাই কাণ্ড । - –এ ত আর নূতন কিছু নয়, হামেলাই হচ্ছে। এ নিয়ে খবরের কাগজে কত লেখালেখি হ’ল । ষ্টীমার কোম্পানী ক্ৰক্ষেপও করে না, দরকারও নেই, কেবল বুকিং-আপিসের বাক্সটা ভৰ্ত্তি থাকলেই হ’ল, যাত্রীদের কি হ’ল না হ’ল তা নিয়ে তার মাথা ঘামাতে যাবেন কেন ? তাল আলোর বন্দোবস্ত না থাকলে এসব হবেই, কালকেই ত আপনাকে সাবধান হ’তে বলেছিলাম । নূতন জুতোজোড়া হারাইয়া মনটা বাস্তবিক একটু দমিয়া গেল। যাক, কি আর করা যায়, সুটকেস খুলিয়৷ শুণ্ডেল-জোড়া বাহির করিয়া নীচে নামিয়া গেলাম । ষ্টীমার তখন সিন্ধিয়াঘাট ষ্টেশনে থামিয়াছিল। বেণ বড় ষ্টেশন । অনেক লোক উঠিল । ষ্টীমারটা এবার লোকে একেবারে ভৰ্ত্তি হইয়া যাইবে । এখান হইতে জেলেরা অনেক মাছ কলকাতায় চালান দেয় । অসংখ্য বাক্সভৰ্ত্তি : মাছ ষ্টীমারে উঠান হইতেছিল । পাড়ের লোকেরা ছুখ, কলা, রসগোল্লা ইত্যাদি খাবার লইয়া ষ্টীমারের উপর উঠিয়া ষ্টীমারের দোকানদারের বিরক্তি উৎপাদন করিতেছিল। রান্ত্ৰিবেলা কখন ধে কাট-নদীতে পড়িয়াছিলাম সে খেয়ালই আমার ছিল না । কাট-নদী হইলেও স্রোত খুব বেশী, জলও অনেক । ডিঙিগুলি প্রাণপণ চেষ্টা করিয়া উজনি ঠেলিয়া অগ্রসর হইতে পারিতেছে না ; কিন্তু ঢেউ নাই মোটেই । অদূরে একখানি মাটি-কাটা ষ্টীমার ছিল । ষ্টীমারের সামূনে মাটি কাটিবার কলের কোঙ্গালীগুলি দেখা যাইতেছিল। ঐগুলির পিছনে অসংখ্য ধন্ত্রপাতি । ষ্টীমারের मांक्षांन हइष्ठ ०थक७ ७कü cयां★ ठूठौ गषमांन श्बा পাড়ের উপরে বুলিয়া রৰিয়াছে। এই চুতী দিয়াই কাটা মাটিগুলি জলপমেত ভীষণ শৰ করিতে করিতে মাঠের উপর পড়ে। মাঠের পাশ দিয়া জলনিকাশের ব্যবস্থা