পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষাড় আছে, কাজেই মাটিগুলি ওখানে পড়িয়া ক্রমে শুকাইয়া श्रिश्नं भiटंठैव्र जश्खि भि*िश्व १tश्च । ষ্টীমার ছাড়িয়া দিলে হাত মুখ ধুইয়া উপরে আসিলাম । শরদিন্দু বাৰু এদিকে সমস্ত সাজাইয়া-গুছাইয়া আমার জন্ত অপেক্ষা করিতেছিলেন । আমাকে দেখিবামাত্রে বলিলেন, এই যে আমুন, অল্প কিছু জলযোগ করা যাক । —সে কি আপনি যে একেবারে নেমস্তল্পের জিনিষপত্র জুটিয়ে ফেলেছেন—দুধ, কলা, খৈ, সবই ত আছে দেখছি । জলযোগ শেষ হইয়া গেলে মেয়ে-কামরার দরজার কাছে দাড়াইয় একটি পাঁচ-ছ বছরের মেয়ে শরদিন্দু বাবুকে লক্ষ্য করিয়া বলিল—বাবা, একবার এস, মা ডাকৃছেন । —অীয় না কল্পনা, এর সঙ্গে আলাপ কর, ইনি তোর কাক হন । তোর মাকে বল আমি নীচের থেকে জল নিয়ে আসছি। কল্পনা লজ্জায় একেবারে এতটুকু হইয়া গেল, এক দৌড়ে মা’র পিছনে গিয়া আঁচল দিয়া মুখ ঢাকিল । শরদিন্দু বাবু উপরে আসিলে সেই স্কুলাঙ্গী মহিলাটি বলিলেন,—সমস্ত রাত্তিরটা এখানে থেকে একেধারে সেদ্ধ হয়ে গেছি। এতটুকু জায়গার মধ্যে এতগুলো ছেলেপেলে নিয়ে এই গরমে টেক স্থায় ? তুমি ত দিব্যি নাক ডাকিয়ে ঘুমিয়েছ, মরে রইলাম না জ্যাস্ত রইলাম তাও ত একবার খোজ কর নি । তখন বলেছিলাম, বাইরে একটা বড় বিছানা কর, সবাই একসঙ্গে :থাকুব, সেটা ভাল লাগল না। বড় মানী লোক কি না, তাই বুঝি আমাদের নিয়ে বাইরে বসতে লজ্জা করে ? যাক। আমার একটু বাইরে নিয়ে চল, নীচে গেলে একটু হাওয়া-টাওয়া গায়ে লাগবে। —এখন না, আর একটু পরে । —ন, না, এখুখুনি। —তুমি কি লোকজন দেখ না? এক ভদ্রলোক আমার জন্ত অপেক্ষা করছেন। তিনি ভাববেন কি ? —ভাববেন তোমার মুণ্ডু । ভদ্রলোক বুঝি আর স্ত্রী निtद्र बांह८ब्र cदब्र इन नों ? --মাচ্চ চল, তবে ত’ড়াতাড়ি আসতে হবে কিন্তু । আটাশ ঘণ্টার জন্ত্য 8〉@ শরদিন্দু বাবু কল্পনা ও মহিলাটিকে লইয়। নীচে নামিয়া গেলেন । অল্পপরিসর সিড়ি দিয়া উঠা-নাম করিতে ভদ্রমহিলাটিকে বিশেষ বেগ পাইতে হইতেছে সন্দেহ নাই । আমি আর কি করিব, সঙ্গে একখানি ছিবার্ট জানাল ছিল, তাই খুলিয়া একটা সূক্ষ্ম দার্শনিক প্রবন্ধে মনোনিবেশ করিতে চেষ্টা করিলাম । আধ ঘণ্টা পরে শরদিন্দু বাৰু বিছানায় আসিয়া বগিলেন। রৌদ্রের প্রখরতা ক্রমশঃ বাড়িয়া যাইতেছিল। এপার-ওপারের ব্যবধান খুব পরিমিত থাকায় ষ্টীমারটি খুব সাবধানে অগ্রসর হইতেছিল। গাঙ শালিকের দল মাঠের উপর দিয়া উড়িয়া উড়িয়া ষ্টীমারটার সঙ্গে পাল্লা দিয়া চলিয়াছে। পূর্ণকুম্ভকক্ষ বধুর দল মাথায় কাপড় টানিয়া ষ্টীমারের দিকে চাহিয়া ছিল । একটা নেংটা ছেলে ঈমারের লোকদিগকে নানারূপ অঙ্গভঙ্গী-সহকারে মুখ ভেঙ চাইয়া মন্থণ আনন্দ পাইতেছে। শরদিন্দু বাবু বলিতেছিলেন, আপনাদের জীবনটা বাস্তবিক সুথের, এখনও তেমন বয়স হয় নি, পড়াশুনে। করবার ইচ্ছেটাও আছে। আমরা সংসার নিয়েই আছি। এক জন কনিষ্ঠ ভ্রাতা আছেন, তার জন্তে প্রতি মাসেই টাকা গুণতে হচ্ছে, কিন্তু তিন-তিন বারের প্রবেশিক পরীক্ষায়ই অন্ততঃ একটা করে হংসডিম্ব সে পেয়েছেই । আমার ভাই যে এমন হবে, আমি স্বপ্নেও ভাবি নি । প্রবেশিক পরীক্ষায় আমার তিন-তিনটে লেটার ছিল। হেডমাষ্টার মশায় বলতেন, আমার মত একটা ছেলে সচরাচর নাকি দেখা যায় না। আর আজিকালের ছেলেগুলি হয়েছে कि ! श्रांभांब्रझे ५क झांब पञांछ शृशैरु ह१८ब्रखौ८ङ •ाँf८5ब्र বেশী নম্বর তুলতে পারেনি। ভদ্রলোক ভাগ্যিস চলা-সাহেবের সার্টিফিকেটের কথা ভুলিয়া গিয়াছিলেন, নইলে এখনই আবার সেটা বাহির করিয়া আর এক পৰ্ব্ব আরম্ভ করিতেন নিশ্চয় । মেয়ে-কামরার ভিতরে হঠাৎ একটা সোরগোল পড়িল। শরদিন্দু বাবুর স্ত্রীর গলাও গুনা যাইতেছিল, কাজেই তাছাকে বাধ্য হুইয়া সেখানে যাইতে হইল, আমিও সঙ্গে গেলাম ।