পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় বিবিধ প্রসঙ্গ—বসন্ত কৃষি প্রতিষ্ঠান 886. আগে নানা পাশ্চাত্য জাতির লোকেরা কেনাবেচা করিত । এখন জাপান উহা একচেটিয়া করিয়া লইল । আগেকার দিন হইলে, পাশ্চাত্য জাতির জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিত। কিন্তু এখন জাপান জলে-স্থলে-আকাশে, সৰ্ব্বত্র, শক্তিশালী । এখন কেবল কাগজে কলমে তর্কবিতর্ক চলিতেছে। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রসচিব বলিতেছেন, জাপানের এই একচেটিয়া ব্যবসটি চীনের সঙ্গে বিদেশী শক্তিদের অনেক সন্ধির সর্বের বিপরীত, জাপানী গবন্মেণ্ট যে বার-বার কথা দিয়াছিলেন তাহার বিপরীত, এবং ওয়াশিংটনে যে নয়টি জাতির মধ্যে সন্ধি হইয়াছিল, তাহার তৃতীয় ধারা ইহার বিরুদ্ধ। এ সব কথাই সত্য হইতে পারে। কিন্তু স্বার্থসিদ্ধির জন্ত সন্ধির সর্ত ভঙ্গ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নাই এমন কোন শক্তিশালী জাতি আছে কি ? ব্রিটেন কি এ-বিবয়ে নিষ্পাপ ? একটা দৃষ্টাস্ত দিই। ১৮৮৬ সালে ব্রিটিশ গবন্মেন্টের সহিত জাঞ্জিবরের সুলতানের একটি সন্ধি হয় । তাঁহাতে লেখা আছে, দে, সুলতান তাহার রাজ্যে কোন গবষ্মেণ্ট, সমিতি, বা ব্যক্তিকে কোন রকম একচেটিয়া ব্যবসা স্থাপন করিতে দিবেন না । তাহাতে আরও লিখিত আছে, ইংলণ্ডেশ্বরের প্রজরা জাঞ্জিবার রাজ্যে সর্ববিধ আইনসঙ্গত উপায়ে জমী, ঘরবাড়ি এবং অন্ত রকম সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির অধিকারী হইতে ও থাকিতে માત્ર ও তাহ দান বিক্রয়াদি দ্বারা হস্তান্তর করিতে পারবে। বলা বাহুল্য, মুলতান নামে মাত্র স্বাধীন, তাহাকে ব্রিটিশ গবষ্মেন্টের হুকুম তামিল করিতে হয়। জাঞ্জিবারের একটা ডিক্ৰী অনুসারে সেখানে ভারতীয়দের ধর্মীর মালিক থাকিবার অধিকার লুপ্ত হইয়াছে, এবং লবঙ্গের ব্যবসা একটা ইউরোপীয় কোম্পানীর একচেটিয়া করিয়া দেওয়া হইয়াছে। ভারতীয়রা আর সে ব্যবসা করিতে পারিবে না । মুলতানের সঙ্গে ব্রিটেনের সন্ধির এই যে দুই সর্ত ভঙ্গ হইয়াছে, তাহ ব্রিটিশ আদেশে বা প্রভারে হইয়াছে । - t=ృ3 कड़ेिब्रl यांन । ব্রিটেনে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ইউরোপের অন্ত অনেক দেশের মত বিলাতে আগে কোন কোন যুগে ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকের, বে যখন রাজশক্তির অধিকারী হইত, অপর সম্প্রদায়ের লোকদিগকে খোটায় বাধিয়া পুড়াইয়া মারিত। আধুনিক যুগে এই বৰ্ব্বরতা লুপ্ত হইয়াছে বটে, কিন্তু ইংলণ্ডে রোমান কাথলিক, ইহুদী ও ননকনফর্মিষ্টর উনবিংশ শতাব্দীরও বহু বৎসর পর্য্যস্ত নানা দিকে নানা সাধারণ অধিকার হইতে বঞ্চিত ছিল । এই বিংশ শতাব্দীতেও বিলাতে ইহুদী ও রোমান কাথলিকদের বিরুদ্ধে অনেক দাঙ্গা-হাঙ্গামা হইয়াছে। সাম্প্রদায়িক ষিদ্ধেয এখনও সেখানে মরে নাই । গত ১০ই জুন যখন মিঃ র্যামজি ম্যাকডন্তাল্ডের জন্মভূমি স্কটল্যাণ্ডের রাজধানী এডিনবরায় অশfর হলে ( Us৪her Hallএ ) অষ্ট্রেলিয়ার প্রধান মন্ত্রী মিঃ লায়লকে এক প্রকার মানপত্র দেওয়া হইতেছিল, তখন তিনি রোমান কাথলিক বলিয়া তুমুল কোলাহলপূর্ণ প্রতিবাদ হয়, হলের বাহিরে জনতা একত্র হইয়া “চাই না পোপগিরি ( "no popery” ) বলিয়া চেচাইতে থাকে, এবং ভিতরে প্রটেষ্টাণ্ট ম্যাকগুন সোসাইটীর পুরুষ ও স্ত্রীজাতীয় সভ্য’গণ হলের ভিতর নানা বাধা উপস্থিত করিতে থাকে । দু-বার পুলিস ডাকিয়া হাঙ্গামাকারী:দিগকে বাহির করাইয়া দিতে হয় । ইত্যাদি । অবগু, বখন বিলাতে পরস্পরকে পুড়াইয়া মারা ধৰ্ম্মসঙ্গত ছিল, তখন, পরে যখন ইহুদী, রোমান কাথলিক ও ননকনফর্মিষ্টদের অনেক রকম অধিকার ছিল না, তখন, এবং আধুনিক বিংশ শতাব্দীতে—কোন সময়েই কোন প্রধান মন্ত্রী স্বদেশ বিলাতকুে সাম্প্রদায়িক বাটোয়ার রূপ স্বগীয় জিনিষটি উপহার দেন নাই, পরার্থপর ব্রিটিশ জাতি তাহাজের ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান মন্ত্ৰী মিঃ র্যামজি ম্যাকডষ্ঠাল্ডের মারফৎ তারতীয়দিগকেই এই পরমকল্যাণকর বস্তুটি উপহার দিয়াছেন । “বসন্ত কৃষি প্রতিষ্ঠান” দীঘাপাতিয়ার পরলোকগত কুমার বসন্তকুমার রায় রাজশাহীতে একটি কৃষিশিক্ষালয় স্থাপনার্থ অনেক টাকা দান শিক্ষালয়টি স্থাপন করিষার ভার ছিল