পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬২ প্রবণসী “පුංNHIV. হইতে বাহির হইয়া কলিকাতায় -۰ مسمس--م-ه هسسسسسسسسسسسسسسم " لاهو অর্থে পার্জনে প্রবৃত্ত হইয়াছি, লোকে আমাকে “যোগিন বাবু বলিয়া সম্বোধন করে, আর এই বৃদ্ধ প্রথমদর্শনেই আমাকে বলিয়া সম্বোধন করিলেন । তখন বুঝিতে পারি নাই যে, তিনি আমাকে “তুই” বলিয়া একেবারে ঘরের ছেলে করিয়া লইয়াছিলেন । gé 2x এই প্রথম-পরিচয়ের পর হইতেই আমি সৰ্ব্বদা তাহার কাছে যাত{য়াত করিতাম । বাবা সপ্তাহে একদিন, রবিবারে তাহার কাছে যাইতেন, কিন্তু আমি প্রায় প্রত্যহই যাইতাম । সেবৎসর অামার ম্যালেরিয়া হওয়াতে কয়েক মাসের জন্ত বাটতেই বলিয়াছিলাম, কলিকাতাম যাইতাম না । সুতরাং বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট প্রত্যহ সাইবার সুযোগ পাইয়াছিলাম । বিদ্যাসাগর মহাশয় যে বাট ভাড়া লইয়াছিলেন, তাহ বাঙ্গালীর বাসের জন্ত নিৰ্ম্মিত নহে, সাহেবদিগের জন্ত নির্মিত। সেই জন্য বিদ্যাসাগর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উপস্থিত হইয় দেখিলাম, এক জন খৰ্ব্বাকৃতি ব্রাহ্মণ, অনাবৃত শরীরে একটা ছ"ক লইয়া বাগানের ভিতর দিয়া গঙ্গার ধারের দিকে যাইতেছেন । বলিলেন, “উfনই বিদ্যাসাগর ।” আমরা তাহার নিকটে উপস্থিত হইয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলাম ও পদধূলি গ্রহণ করিলাম। তিনি সহাস্তে বলিলেন, “ইন্দ্রকুমার এসেছ ? এটি কে ?” বাবা বলিলেন, “আমার ছেলে ।” বিদ্যাসাগর মহাশয় আমাকে বলিলেন— “তোর নাম কি ?” আমি তাহার মুখে “তুই’ সম্বোধন শুনিয়া বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইলাম। আমি তথন কলেজ বাবা মৃদুস্বরে মহাশয় নিজ ব্যয়ে কিছু পরিবর্তন ও একটি নুতন পাইখানা প্রস্তুত করাইয়া লইয়াছিলেন । এজন্ত রাজমিস্ত্রি ও ছুতারমিস্ত্রি প্রয়োজন হওয়াতে তিনি একদিন আমাকে বলিলেন, “যোগিন, ভাল রাজমিস্ত্রি দিতে পারিস?" আমাদের বাটতে সেই সময় রাজের কাজ হইতেছিল, আমি মিস্ত্রিকে তাহার কাছে লইয়া গেলাম। তাহার পর ছুতারমিস্ত্রি, ইট, চুণ, সুরকি, বলি, কাঠ প্রভৃতি আবশুক হইলেই আমাকে বলিতেন, আমিও আনাইয়া দিতাম। সেই জল্প তিনি আমার নাম রাথিয়ছিলেন—“মুকবিব” । তিনি বলিতেন, “তোকে মুরুবিব না পেলে আমার যে কি দশ হ’ত তা জানি না।”