পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণবণ অন্তর্গত,তবুও এখানে গুজরাটীর রাজত্ব বললেই চলে, ভাটিয়া আর পরিসীদের প্রভাব এর কারণ ৷ পাহারাওয়ালার মারহাট্টা, এথানে ক’লকাতার মত বাইরের প্রদেশ থেকে পাহারাওয়াল আনতে হয় নি ; কালে, বেটেখাটো কিন্তু বেশ মজবুত চেহারার মারহাট্টী পাহারাওয়াল, মাথায় হ’লদে রঙের ছোট ছোট বাধা-পাগড়ীর মতন টুপি, গায়ে কালো পোষাক, হাটু পর্যন্ত পাজাম, পায়ে চামড়ার চপ্পল, দেখে মনে খুব শ্রদ্ধা লাগে না । কুলী আর “কামগার’ লোকেরাও বেশীর ভাগ মারহাট্টা, কিন্তু উত্তর-তারতের “ভৈয়া” বা হিন্দুস্থানী, পাঞ্জাবীও কম নয়। বাঙালী হাজার তিনেক আছে নেলুম, কিছু ব্যবসার কাজে, কিছু ছোটোবড়ো চাকরীতে, কিছু সোনা-রূপোর কাজে । শেষোক্ত শিল্পে বাঙালী কারিগরের নাম-যশ এখানে খুব । ভারতীয় সব জাত ছড়িা ভারতের বাইরের এত ক্লীত বুঝি বা ক’লকাতায়ও নেই—আর সংখ্যায়ও এরা অনেক । আরব, ইরাণী, ইহুদী আমানী তো যেখানে-সেখানে । বোম্বাইয়ে বোধ হয় হোটেলের ( রেস্তোর*ার ) সংখ্যা কলকাতার চেয়ে ঢের বেশী । হিন্দুদের “উপহার-গৃহ”র অস্ত নেই। এই সব উপহার-গৃহে তেলে-ভাজা বা দ্বীয়ে ভাজা পকোড়ী, সেমূহ, বেগুনী ফুলুরী, পাউরুটি, বিস্কুট চা বিক্ৰী হয়—সাধারণ বহু লোক এই সব জায়গায় দিনের একটা বড় খাওয়া সারে । রেস্তোর"fর আধিক্য আর তার ব্যবস্থা থেকে শহরের সমাজের একটা পরিস্থিতি টের পাওয়া যায় । আমার মনে হয় ষে হোটেলে গিয়ে ভাত থেয়ে আসে এমন লোকের সংখ্যা বোম্বাইয়ে বেড়ে গিয়েছে। বারো বছর আগে যখন বোম্বাই দেখি, তখন যতদূর স্মরণ হচ্ছে এই সব হিন্দু উপহার-গৃহ” কেবল চা আর জলথাবারই দিত, ভাত-তরকারীর ব্যবস্থা এ-সব হোটেলে ছিল না । এষার দেখলুম, প্রায় আধাআধি “উপহার-গৃহ’র উপরে বড় বড় গুজরাটী বা নাগরী হরফে লেখা—“রাইলপ্লেট,” অর্থাৎ একথাল ভাত তরকারীও মিলবে। 6रुlशहेि८ब्र कलकांडांब्र भङन cभ८ब्रव्र c5८ब्र श्रृंक८षद्र ग१थn বেশী—ঘরবাসীর চেয়ে পরবাসী লোকই বেশী, মুতরাং হোটেলের আবশুকতা বেড়ে যাচ্ছে। মারহাট্টী গুজরাট |9} = 9 পশ্চিমের ষাত্ৰী סיף8 সমাজে হোটেলের প্রভাব কতট, তা লক্ষ্য ক’রে দেখবার नभम्न ७ गुरrशांत्रां पञांभाँङ्ग इग्न नि । उहब श्रांभांzनब्र यांठांजौ জীবনে এর প্রভাব আসছে, তা নিঃসঙ্গেহ । জাত-পাত ছোওয়া-লেপা, সকড়ী-এ টোর বিচার হোটেলের প্রসাদে উঠে যাচ্ছে । খাওয়ায় আর জাত নেই, এ বোধ এখন শিক্ষিত বা অৰ্দ্ধশিক্ষিত বাঙালী হিন্দুর মজ্জাগত হয়ে গিয়েছে, এই বছর পচিশ তিরিশের মধ্যেই । কলকাতায় হোটেল রেস্তোরীর সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক আবহাওয়াও বদলে যাচ্ছে দেখা যায়, পাড়াগ থেকে দেশের সামাজিক পারিপাখিক ছেড়ে ষার সপরিবারে কলকাতায় বাস করছে তাদের জীবনেই হোটেলের প্রভাবটা বেশী। আগে ভদ্র বাঙালী হিন্দুবাড়ির মেয়ের বাইরের লোকের সামনে পাওয়াটাকে অশিষ্টত মনে ক’রতেন, ঘরে নিজেদের মধ্যে না হ’লে খেতে চাইতেন না ; এখন কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে, মা-লক্ষ্মীরা (এরা নিতান্ত গেরস্থ ঘরেরই মেয়ে, ফাপো বী চীন হোটেলে যেতে অভ্যস্ত উচ্চশিক্ষিত “ভাগ্যবান” “অভিজাত” সম্প্রদায়ের নন ) স্বামী বা ভাই বা cousinএর সঙ্গে চপ-কাটলেটের দোকানে খেতে ঢুকছেন, টেবিল সব ভরতি, সদলে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন, লোক উঠে গেলেই খালি টেবিল দখল ক’রবেন। এক জন ভোজন-রসিক বলেছিলেন, “মুসলমানী খান, সদব্ৰাহ্মণে পাকাবে, আর ভাল ক’রে টেবিলে সাজিয়ে খাওয়া যাবেএই হ’চ্ছে ভোজন-মুখের চরম " টেবিলে খাওয়াটা কিছু খারাপ নয়, কিন্তু তার জন্ত পায়তার করতে হয় অনেক, আর খরচাও অনেক । সস্তায় সারতে গেলে, গোবরনিকানো মেঝের খাওয়ার চেয়ে বড় পরিষ্কার হয় না। হোটেলের টেবিল এখন ক'লকাতায় বাঙালী হিন্দুর সামাজিক ভোজেও ঢুকেছে—জাপানী কাগজের বিক্ৰীও এতে বেড়ে গিয়েছে, টেবিল-ক্লথের বদলে এই-ই স্ববিধার । বাঙলা দেশের যে অল্প কয়টি সুসস্তান ব্যবসায়-ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলত কাটিয়ে নিজেদের একটা স্থান ক’রে নিয়ে সমগ্ৰ ৰাঙালী জাতির সামনে উজ্জ্বল আদর্শরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, বোম্বাইয়ের ঐযুক্ত শিবচন্দ্র বন্ধ্যোপাধ্যায় তাদের অন্ততম । কলকাতায় ইনি বালীগঞ্জে আমাদের হিন্দুস্থান পল্লীতে বাড়ী কিনেছেন, প্রতিবেশী-বিধায়