পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

조ere রায়ও জবাব দিল—সে ত আস্তিকাল থেকে হিসেব করাই আছে আট আনা । ন-আন ছিল আট আনা করেছেন—সেই তাই দেন। মেজকর্তা ট্যাক হইতে খুলিয়া ছয় আনা পয়সা রায়ের হাতে দিয়া বলিলেন—এ্যা—এই নাও । পয়সা কয় আনা চশমার কাছে ধরিয়া দেখিয়া শুনিয়া রায় বলিল—তা কি ক’রে হয়—হিসেবের আঁক ত কমবার লয়—ই--ছ-আনাতে কি ক’রে হবে ? মেজকৰ্ত্ত বলিলেন—ওতেই হবে হে বাপু, দেখে-শুনে করতে পারলে ওতেই হবে । পয়সা ছয় আনা রায় তক্তাপোষে নামাইয়া দিল কহিল —তা হ’লে আমি পারব না আজ্ঞে, যে পারবে তাকেই পাঠান আপনি । আমি বোমাকে গিয়ে ব’লে খালাস । সঙ্গে সঙ্গে সে ফিরিল । মেজকৰ্ত্ত তাড়াতাড়ি বলিলেন —বলি শোন হে শোন—এই নাও —বলিয়া এবfয় ক্টোচার খুট হইতে একটি আনি বাহির করিলেন। রায়কে বলিলেন — ছেলে নাই—পিলে নাই—এত খরচ কেন হে বাপু ? এই সাত আনাতেই সেরে এস যাও । আর জালিয়ো নী আমাকে । রায় তবুও পয়সা লইল না ; সে আরম্ভ করিল—আমারই হয়েছে এক মরণ মেজবাবু—কি ক’রে কি করি আমি | আপনি খরচ দেবেন না—ওদিকে জিনিষ কম হ’লে বেীমা আমার ওপরেই রাগবে । কোন জিনিষ কম কম্বুব আপনিই বলেন দেখি ? মেজকৰ্ত্ত বলিলেন—তুমি বড় বক, রায়ঞ্জী। এই নাও । এবার ক্টোচার অার এক খুট হইতে চারিটি পয়সা বাহির করিয়া তাহার তিনটি রায়ের হাতে দিয়া বলিলেন— আর আমার নাই—আর আমি দিতে পারৰ না । বলিয়া রায়ের দিকে পিছন ফিরিয়া বসিলেন । রায় আর প্রতিবাদ করিল না ; পৌনে আট আনা লইয়াই আবার একটি প্রণাম করিয়া চলিয়। গেল । বাহিল্পে ब्रांcब्रब्र छछिछूउांब्र भइब्र नक विणां हब्बा पाह८ठहे cमछकडी উদ্বৃত্ত পয়সাটা মুঠার মধ্যে অতি দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ করিয়া বলিয়া উঠিলেন—এ পয়সাটা আমি কাউকে দোব না। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাড়ির ভিতরে চলিলেন এই তাম্রথওটি পুত্রেষ্টি 8ፃ¢ র্তাহার সঞ্চয়ের ভাণ্ডারের মধ্যে রাখিবার জন্ত । এটি র্তাহার স্বভাব। আজ বার বৎসর ধরিয়া তিনি মধুমক্ষিকার মত শুধু সঞ্চয়ের মোহে ডুবিয়া আছেন। নৈমিত্তিক খরচ হইতে র্তাহার এক কণাও সঞ্চয় কর চাই—সে সঞ্চয় আর তিনি খরচ করেন না । এবং এই তিল-সঞ্চয়ের জন্ত তাহার একটি পৃথক ভাণ্ডার আছে। তিল জমিয়া জমির আজ পাহাড় ন হইলেও শু,প হইয়াছে—লোকে বলে ‘বাড়জোদের আটকুড়ো কৰ্ত্তার ছাতাধর টাকা ।” মধ্যে মধ্যে এ-কথা মেজকৰ্ত্তার কানে আসে—তিনি স্তন্ধ হইয়। থাকেন । বৈঠকখানার পরই বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণের একপাশ্বে খামারবাড়ি, অপর অংশটায় দেবালয় ও নাটমন্দির, তাহার পরই সে-আমলের পাকা বাড়ি নাটমন্দির পার হইয়া মেজকর্তা বাড়ির ভিতর প্রবেশ করিলেন। বাড়িটা এখন তিন অংশে বিভক্ত হইয়াছে। উত্তর দিকের অংশটা মধ্যম তরফের ভাগে পড়িয়াছে। দোতলায় শয়ন-ঘরে খাটের শিয়রে সিন্মুরের মাঙ্গলিক চিহ্ন শোভিত লোহার সিন্ধুক । সিন্ধুকটা খুলিয়া মেজকৰ্ত্ত চটের একটা প্রকাও থলিয়ার মধ্যে পয়সাটি রাখিয়া ছিলেন। একদিকে কাঠের দুইটা হাত-বাক্স রহিয়াছে—তাহার একটায় মহলের আমদানীর টীকা থাকে—অপরটায় থাকে বন্ধকী কারবারের সোনারূপার অলঙ্কারপত্র । সম্পদসম্ভারগুলির দিকে চাহিয়া তাহার অধরে মৃদ্ধ হাসি দেখা দিল। একবার তিনি চটের থলিয়াটা তুলিয়া ধরিয়া ওজন অনুমানের চেষ্টা করিলেন। থলিয়াটার ওজনের গুরুত্বে খুশী হইয়া তিনি ভাবিতেছিলেন পচিশ সের কি ত্রিশ সের, কোন ওজনটা ঠিক ! কিন্তু বাধা পড়িল, পিছন হইতে মেজগিল্পী বলিলেন—°ও হচ্ছে কি ? so - তাহার কোলে একটি শীর্ণকায় শিশু । খলিয়াট রাখিয়া দিয়া মেজকৰ্ত্ত তাড়াতাড়ি সিন্ধুকের ডালাটা বন্ধ করিতে ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন । মেজগিল্পী হাসিয়া বলিলেন—ভয় নেই টাকাকড়ি চাইতে আসি নি আমি—তুমি ধীরে-সুস্থে সিন্ধুক বন্ধ কর। মেজকর্তা অপ্রত্বতের মত কহিলেন—ত,−ত নাও না কেন ভূমি—ইয়েকে বলে কি চাই নাও না কেন।