পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ግb” প্রবাসী $°●a মেজগিল্পীর চোখে:জল দেথা দিল, কণ্ঠস্বর কঁাপিতেছিল, বলিলেন—তুমি এই কথা বলছ । মেজকৰ্ত্তা খোলা জানালা দিয়া আকাশের দিকে চাহিয়া বসিয়৷ রছিলেন । মেজগিল্পী আত্ম-সংবরণ করিয়া বলিলেন—বাবাকে ধ’রে একবার দেখব । কত লোকের ত বংশ হচ্ছে বাবার কৃপায় । মেজকর্তা নীরবেই বলিয়া রছিলেন—কোন উত্তর দিলেন না । মেজগিরীও নীরবে উত্তরের প্রত্যাশায় দাড়াইয়া রছিলেন । আহারলুব্ধ খোকা জ্যেঠামহাশয়ের দাড়ীতে টান দিয়া কছিল—হাম্। খোকার হাতটা সরাইয়া দিয়া তিনি বিরক্তিভরে বলিলেন—আঃ। উত্তর না পাইয়া মেজগিল্পী আবার বলিলেন—তুমি না পাঠাও" আমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দাও—সেখান থেকে আমি যাব । ওদিকে কোলের মধ্যে খোকার চাঞ্চল্যের শেষ ছিল না, জ্যেঠার নাকে এবার সে একটা ছোবল মারিয়া বলিল—দে-হাম্। বিরক্ত হইয়া মেজকৰ্ত্ত খোকাকে মেজগিরীর দিকে ঠেলিয়া দিয়া বলিলেন—দিয়ে এস ওকে, ওর মা'র কাছে । মেজগিল্পী থোকাকে কোলে তুলিয়া লইয়া উত্তরের প্রত্যাশায় দাড়াইয়াই রহিলেন । কিছুক্ষণ পর মেজকৰ্ত্ত মূছকণ্ঠে বলিলেন—খোকাকেই তুমি নাও না কেন ? মেজগিয়ী দৃঢ়কণ্ঠে বলিলেন—ন । অন্ত গাছে কখনও জোড়া লাগে না । মেজকৰ্ত্ত বহুক্ষণ নীরব থাকিয়া অবশেষে বলিলেন— এক গাছের বাকল চল—তাই চল । 醬 景 홍를 মেজগিল্পীর দেওঘর-যাত্রার উদ্যোগ ’ হইতেছিল । বাত্রার নিদ্ধারিত দিনের পূর্বদিন দ্বিপ্রহরে প্রতিবেশিনীর অনেকে আসিয়াছিল, ছোটগিল্পী বড়গিল্পীও ছিলেন । এক জন বলিল—বাবার দয়ার শেষ নাই, ওখানে গেলে बांदांब्र नग्न हtबहे ! অন্ত এক জন বলিল—কপাল ভাই কপাল ; কপালে না। থাকলে বাবার হাত নাই। এই আমার— गtन गप्न ठांशंरक बांश निब cममां-*ांकब५ वणिब्रां উঠিল—উ—ব’ল না মা ; বাবার আলাfধ্য কিছু নাই। কার নিয়ে যে কাকে দেন বাধার ছলনা কি কেউ বুঝতে পারে ? ওই যে মুখুজ্যে-বাবুদের মণি-বেী, ওর যে ওই দশটা ছেলে ম’রে তিনকড়ি ; ও কে জান ? এক মুহূর্তে মজলিসটা জমিয়া উঠিল। ক্ষেমা-ঠাকরণ বাবাকে প্রণাম করিয়া আরম্ভ করিল—ও-পাড়ার মুকী দিদি—মোক্ষা ঠাকরুণ গো, ওই ওরই ভাইপে। ম'রে মণি-বেীর ওই তিনকড়ি। জান ত মুকী-ঠাকরুণ মণি-বেীর বাড়িতেই থাকত—খাওয়া-পরা সব ছিল মণি-বেীর বাড়িতে—দু-জনে গলাগলি ভাব । দশটা ছেলে যখন ম'ল মুৰ্কী-ঠাকরুণ বদ্যিনাথ গেল মণি-বেীর হয়ে ছেলের জন্তে ধরা দিতে। তিন দিনের দিন স্বপ্ন হ’ল—উঠে যা তুই, ওর ছেলে নাই, হবে না। মুকী সে না-ছোড়বন্ধ ; বলে—না বাৰা দিতেই হবে, না-দিলে আমি উঠব না । দ্বিতীয় দিনেও ঐ স্বপ্ন ! মুকী উঠল না ; বলে—মরব বাব এইখানে। তখন তিন দিনের দিন স্বপ্ন হ’ল—এই দেখ ভাই আমার গায়ে কাটা দিয়ে উঠেছে । সত্যই ক্ষেম-ঠাকরুণের দেহ রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিয়াছিল। শ্রোত্রীরা সকলে স্তব্ধ-নিৰ্ব্বাক । ক্ষেমা-ঠাকরুণ আবার আরম্ভ করিল—তিন দিনের দিন স্বপ্ন হ’ল—ওর নাই—তবে কেউ যদি ওকে আপনার নিয়ে দেয় তবে হবে । তুই দিবি ? মুকী বললে—ধ্য বাবা দোব। বাবা বললেন—বেশ তবে ওর ছেলে হবে। মুকীর ত আর ছেলে-পিলে ছিল না, ছিল একমাত্র ভাইপো, মুকী তাকে মানুষ করেছিল । পনের-ষোল বছরের মস্থ সবল ছেলে, ছেলের ছাতি কি ! সেই ছেলে ভাই তারই আট দিনের দিন ধড়ফড়িয়ে মরে গেল। তখন মুকী বুক চাপড়ে বলে—হায় আমি কল্লাম কি গে, এ আমি কল্লাম কি ? সেই ছেলে ম’রে সেই বছরই মণি-ৰোঁর ওই তিনকড়ি হ’ল । _ সকলে স্তন্ধ অভিভূত হইয়া বসিয়াছিলেন । সহসা বড়গিল্পী বলিয়া উঠিলেন—কি হল রে মেজ,এমন করছিস কেন ? কম্পিত হন্তে মেঝের বুক চাপিয়া ধরিয়া মেজগিরী বলিলেন-দোক্তা খেয়ে মাথা ঘুরছে । রাত্রে তিনি স্বামীকে বলিলেন—দেখ, কপালে যদি থাকে তবে এমনি বংশ হবে । বদ্যিনাথ থাক ।