পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b”の উঠিলেন-বাপ রে—বাপ রে—বেটা পিপড়ের বংশবৃদ্ধি দেখ দেখি ; উঃ সবারই মুখে একটা ক’রে ডিম ! বলিতে বলিতেই তিনি দুই হাত দিয়া পিপীলিকাশ্রেণীকে দলিয়া পিষিয়া দিতে আরম্ভ করিলেন । বড়কর্তা উঠিয়া আলিয়াছিলেন, মেজভাইয়ের পিঠে হাত দিয়া তিনি ডাকিলেন— গণেশ ! একান্ত লজ্জিত ভাবে কিছুক্ষণ দাড়াইয়া থাকিয়৷ মেজকৰ্ত্ত ঘর হইতে ছুটিয়া বাহির হইয়া পলাইয়া গেলেন । বড়কর্তা কবিরাজ আনাইলেন, কিন্তু মেজকৰ্ত্ত ফিরাইয়া দিলেন। ঘর হইতেই বলিয়া পাঠাইলেন—বিষয় ভাগ ক’রে দেওয়া হোক অামার, এর ওর ছেলের পালের ফুধের দাম দেবার আমার কথা নয় । তার পর বিছানার উপরে সজোরে একটা কিল বসাইয়। দিয়া বলিয়া উঠিলেন—মারি বেটা বদ্যিনাথের মাথায় রাবণের মত এক কিল—যাক বেটা মাটিতে বসে। কচু—কচু— দেবতা না কচু ! কিছু দিনের মধ্যেই সম্পত্তি ভাগ হইয়া গেল। সে আজ বার বৎসরের কথা । তার পর হইতেই মেঞ্জকৰ্ত্তা এমনি ধারায় চলিয়াছেন। আরও একটি পরিবর্তন তাহার আসিয়াছিল—জপে তপে ধৰ্ম্মে কৰ্ম্মে তাহার গভীর অনুরাগ দেখা দিল। দারুণ শীতে গভীর রাত্রে যখন লোকে লেপের মধ্যেও শীতে কঁাপিতেছে তখন মেজকৰ্ত্তা খালি গায়ে হাত দুইটি বুকের উপর আড়াআড়ি ভাবে ভাজিয়া গ্রামপ্রাস্তের দেবীমন্দির হইতে বিড় বিড় করিয়া কি বলিতে বলিতে অ-পথ ধরিয়া বাড়ি ফেরেন । যে পথে সাধারণে চলে সে পথ ধরিয়া তিনি চলেন না—পথচিহ্নহীন নির্জন প্রাস্তরে মেজকৰ্ত্তীর পদচিহ্ন নিত্য নব পথরেখার প্রথম চিহ্ন আঁকিয় দেয় । نیمه ঐ ঘটনার পর হইতে আজও পর্য্যস্ত কখনও আর মেঙ্গকর্তা পোষ্যপুএ লণ্ডয়ায় নাম করেন নাই, কি সস্তান-কামনার কথা মুখে আনেন নাই। অর্থ ও পরমার্থের মোহের মধ্যে বংশকামনা ডুবাইয়া निब्रांझन । क्ख् िcमछशिंद्रौ छूणिtङ *ां८ब्रन नांदेতিনি স্বামীকে বিবাহ করিতে অনুরোধ করিয়াছেন, প্রবাসী SN9gR পোষ্যপুত্র লওয়ার কথাও বলিয়াছেন, কিন্তু ফল হইয়াছে বিপরীত। মেজকর্তার মাথার গোলমাল বাড়িয়া গিয়াছে। অধিকাংশ সময়েই র্তাহার অর্থসঞ্চয়ের পিপাসা বাড়িয়া যাইত—আপন শয়নকক্ষে ঐ সিন্ধুকটির পাশেই তখন তিনি অবিরাম ঘুরিতেন—বার-বার সেটা খুলিয়া দেখিতেন। কখনও কখনও ধৰ্ম্মে কৰ্ম্মে অনুরাগ বাড়িত—কাহাকেও কিছু না বলিয়া তিনি তীর্থদর্শনে বাহির হইয় পড়িতেন। দেখিয়া শুনিয়া মেজগিল্পী নিরস্ত হইয়াছিলেন—বহুদিন আর ও কথা তোলেন নাই। আজ চার মাসের পর সহসা চাটুজ্যেদের ভাগিনেয়—ওই অনাথ শিশুটিকে দেখিয়া কিছুতেই আত্মসংরণ করিতে পারেন নাই, স্বামীর নিকট অনুরোধ জানাইতে আসিয়াছিলেন । ছেলেটির মামী নীচে অপেক্ষা করিয়া দাড়াইয়াছিল—ছেলেটিকে দিয়া কিছু অর্থ প্রত্যাশা তাহদের ছিল । মেজগিল্পিী নীচে অtসিয়া নীরবে ছেলেটিকে তাহার কোলে তুলিয়া দিলেন। চাটুক্ষ্যে-বেী প্রশ্ন করিল—কি হ’ল ? মেজগিল্পী সে-কথার উত্তর দিতে পারিলেন না, বুকের ভিতর কান্না মুহুমুহু ঠেলিয়া ঠেলিয়া উঠিতেছিল। চাটুজ্যেবেী বিস্মিত হইয়া আবার প্রশ্ন করিল—হ’ল না ? ঘাড় নাড়িয়া ইঙ্গিতে মেজগিল্লিী জানাইলেন—ন । ' আর তিনি সেখানে দাড়াইলেন না, পিছন ফিরিয়া একটা ঘরের মধ্যে গিয়া ঢুকিয়া পড়িলেন । দ্বিপ্রহরে বৃদ্ধ রায় ঠুক ঠক করিয়া আসিয়া চশমা দিয়া চারিদিক দেখিয়া মেজগন্ত্রীকে ঠাওর করিয়া লইয়৷ প্ৰণাম করিয়া ডাকিল— বেীমা ! মেজগিী গুইয়াছিলেন—উঠিয়া বসিলেন । মাথার কাপড়টা একটু টানিয়া দিয়া ক্লাস্ত মৃদুস্বরে বলিলেন—চল যাই । বাবু এসেছেন ? & ঘাড় নাড়িয় রায় বলিল—মা, ক্ষেপীর মন—বিজীবন, কি বলব বল । এগারটার টেনে বলে আমি গঙ্গাচানে চললাম। আমি ওই ওই করতে করতে আর নাই—চলে গিয়েছে। মেজগিল্পী বলিলেন—ত হ’লে তোমরা খেয়ে নাও গে, ঠাকুরকে রাজাবার সামলে দিতে বল । রায় বলিল—তুমি এল মা, ছুটে মুখে দেবে চল । ,