পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণবণ সস্নেহ হাসি হাসিয়া মেজগিল্পী বলিলেন—আমি খাব না বাবা, আমার মাথাটা বড় ধরেছে। রায় আর একটি প্রণাম করিয়া ধীরে ধীরে ফিরিল। চটি জোড়াটি পায়ে দিয়া কিন্তু আবার খুলিয়া ফেলিল ; বলিল—ন গো বেমা—ই তোমাদের ভাল লয় বাপু । ই—আমার ভাল লাগছে না । দুটো খাও বাপু তুমি । ক্ষেপার সঙ্গে তুমি-স্বদ্ধ ক্ষেপলে কি চলে । ধীরে অথচ দৃঢ়স্বরে মেজগিল্পী আদেশ করিলেন—ষা বললাম তাই কর গে রায়জী । রায় আর কথা কহিল না, চটি জোড়াটি পায়ে দিয়া ঠুক ঠুক করিতে করিতে সে চলিয়া গেল । বহুকাল পর মেজকর্তা আজ কেমন অস্থির হইয়া উঠিয়াছিলেন । অস্থির চাঞ্চল্যে মণিকে পর্য্যস্ত চিনিতে পারেন নাই—হুকা বাড়াইয়া দিতে গিয়াছিলেন । সেটুকু পেয়াল হইতেই লজ্জায় পলাইয়া আসিয়া আপন শয়নঘরের মধ্যে লুকাইয়া বসিয়াছিলেন। কিন্তু বসিয়া থাকিতে পারিলেন না—উঠিয়৷ ঘরের মধ্যে পায়চারি আরম্ভ করিলেন । অবিরাম ঘুরিতে ঘুরিতে মধ্যে মধ্যে তিনি বলিয় উঠতেছিলেন— দূর-দূর | একবার ছোট তরফের বাড়ির দিকে মুখ 'ফিরাইয়া বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়ির বলিয়া উঠিলেন—খট-বট লবডঙ্কা । পরমুহূর্তেই বলিয়া উঠিলেন—দুর দূর । আবার কয় বার পদচারণা করিয়া তিনি বিছানার উপর গুইয়া পড়িলেন । কিন্তু সেও ভাল লাগিল না । বিছান। হইতে উঠিয়া আবার তিনি অস্থির পদে ঘরের মধ্যে ঘুরিতে আরম্ভ করিলেন। ঘুরিতে ঘুরিতে চট করিয়া আলনা , হইতে কাপড় ও গামছা টানিয়া লইয়া কাধে ফেলিয়া বলিয়া উঠিলেন—সুরে ফেলে আলি–গ্লুয়ে ফেলে আসি । শতেক ধোজনে থাকি, যদি গঙ্গা বলে ডাকি— বাহিরের হাত-বাক্স হইতে খরচ বাহির করিয়া লইয়া সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাহির হইয়া পড়িলেন। বাড়ির ফটকের মুখেই রায়ের সঙ্গে দেখা হইয়া গেল—বৃদ্ধ রায় কি একটা হাতে লইয়া ফিরিতেছিল। পাশ কাটাইয়া বাইতে যাইতে মেঞ্জকৰ্ত্তা বলিলেন—গঙ্গাস্নানে চললাম—গঙ্গাস্নানে চললাম-ব’লে দিয়ো—বলে দিয়ো ! 8 جسے aوا۔ পুত্রেষ্টি 8ly ब्राब्र शंभकिब्र लेiङ्गांश्द्रा 2शांभ कब्रिब्र भाथ डूणिद्र বলিল—দাড়ান দাড়ান ! কেহ কোন উত্তর দিল না, রায় উচ্চকণ্ঠে ডাকিল— মেজকর্তা ! বলি শুনচেন গো ! অই-অ—মেজকর্তা । সে আহবানেরও উত্তর কেহ দিল না, রায় ঘাড় তুলিয়া নিবিষ্ট চিত্তে চাহিয়া দেখিল যত দূর তাহার দৃষ্টি চলে কেহ কোথাও নাই। ষ্টেশনে নামিয়া মেজকর্তা একেবারে গঙ্গার ঘাটে আসিয়া উঠিলেন। ঘাটে স্নানার্থী-স্নানার্থিণীর আসাযাওয়ার বিরাম নাই, ঘাটের উপরেই ছোট বাজারটিতে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় জমিয়া আছে । মেজকর্তা ঘাটের একপাশে বসিয়া ওপারে ধু-ধু-করা বালুচরের দিকে চাহিয়৷ বসিয়া রহিলেন। রৌদ্রচ্ছটায় বালুচর ঝিকমিক্‌ করিতেছে । বহুদূরে চরের উপর সবুজের রেশ। ঘাটে নানা কলরবের মধ্য হইতে নানা কথা তাহার কানে আসিতেছিল । অতিনিকটেই কাহারা আলোচনা করিতেছিল—আশ্চৰ্য্য সাধু ভাই ! যে যাচ্ছে তারই নাম ধরে ডাকছে—কোথা আমাদের বাড়ি বল দেখি—ঠিক বলে দিলে ! * আর এক জন অতি মৃদুস্বরে বলিল—শ্মশানের ঘাটোয়াল বলছিল কি জান—বলছিল বাবা মড়া খায় । মেজকর্তা আগ্রহভরে প্রেশ্ন করিলেন—কোথা হে কোথা ? - এক জন উত্তর দিল—সাধু কি লোকালয়ে থাকে ছে বাপু, সাধু যে সে থাকবে শ্মশানে । মেজকর্তী উঠিয়া পড়িলেন। গঙ্গার তটভূমির উপর ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়া সঙ্কীর্ণ এক ফালি পথ চলিয়া গিয়াছে—°সেই পথটা ধরিয়া শ্মশানের টিনের চালাটায় আসিয়া তিনি ধাড়াইলেন। অনতিদূরে গঙ্গাগর্ভের নিকট বালুচরের উপর বেশ একটি জনতা মধুচক্ৰে মধুমক্ষিকার মত জমিয়া আছে। তিনি বুঝিলেন সন্ন্যাসী ওইখানেই অবস্থান করিতেছেন। তিনিও অগ্রসর হইয়া জনতার মধ্যে মিশিয়া গেলেন। জনতার মধ্যস্থলে প্রকাগু একটা ধুনির সম্মুখে ভীমকায় উগ্রদর্শন এক সন্ন্যাসী বলির बां८छ्न । नानीं छनरक डिनि नांनी कथों बलि८डछ्रिजन है।