পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8tyS్చ মধ্যে মধ্যে অপরিচিত জনতার মধ্য হইতে এক-এক জনের নাম ধরিয়া ডাকিতেছিলেন । থাকিতে থাকিতে এক সময় মেজকৰ্ত্তার দৃষ্টির সহিত সন্ন্যাসীর দৃষ্টি মিলিত হইয় গেল। কয়েক মুহূৰ্ত্ত পরেই মুছ হাসিয়া সন্ন্যাসী বলিলেন— এস বাবা গণেশ বাড়,জ্যে, রামচন্দ্রপুরের বাড়জো-বাড়ির মেজক এল। মেজকর্তা বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইয়া গেলেন । পরমুহূর্তে বিপুল ভরে তিনি অভিভূত হইয় পড়িলেন । সন্ন্যাসী যদি অস্তরের আরও কোন কথা এই জনতার সমক্ষে বলিয়া দেয় । তিনি ত্বরিত পদে সেখান হইতে চলিয়া আসিয়া আবার গঙ্গার ঘাটের উপর বগিলেন। কতক্ষণ বসিয়াছিলেন তাহার নিজেরই ঠিক ছিল না। অবশেষে তাহার চমক ভাঙিল কাহার কথায়। ঘাটের উপরের বাজারের এক জন পরিচিত দোকানদীর তাহাকে eथांभ कब्रिब्र कश्णि-७ड़े-cमखकéी cय ! **iन, डगि ठाँ८इन ? মেজকর্তা একটু অর্থহীন হাসি হাসিয়া কহিলেন— ভাল ত ? দোকানী বলিল—আজ্ঞে হ্যা—আপনাদের আশীব্বাদ । তার পর চান-টান করুন। পাকশাকের জোগাড় ক’রে দি— সেবা করবেন চলুন। বেলা যে আর নাই । মেজকর্তী আকাশের দিকে চাহিয়া দেখিলেন সত্যই বেলা আর বেশী নাই—স্বৰ্য্যমণ্ডলে ক্লাস্তির রক্তাভ দেখা দিয়াছে। তাড়াতাড়ি উঠিয়া বলিলেন—তাই ত—তা ইয়ে—মানে ফিরবার ট্রেনটা— । হাসিয়া দোকানী বলিল—সে ত সেই কাল সকাল ন’টায়। তিনটের গাড়ী ত অনেক ক্ষণ চলে গিয়েছে। মেজকৰ্ত্ত ধীরে ধীরে চিস্তান্বিত ভাবে ঘাটের ধাপে ধাপে গঙ্গার জলে গিয়া নামিলেন । 疊 疊 疊 গভীররান্ত্রি। দোকানের বারান্দায় মেজকর্তী জাগ্রতচক্ষে গুইয়াছিলেন। ঘুম আসে নাই। বার-বার তিনি উঠিয়া বসিতেছিলেন-আবার গুইতেছিলেন। এবার তিনি শয্যাত্যাগ করিয়া যাছিৱে আসিয়া ধাড়াইলেন। নিস্তব্ধ পল্লী-গুৰু গঙ্গাতটের বনভূমিতে শিল্পীর অবিশ্রাত্ত চীৎকার ধ্বনিত হইতেছে। মেজকর্তা শ্মশানের দিকে চলিলেন । প্রবাসী N98R বুকের মধ্যে হৃদপিণ্ড ধ্বক ধ্বকু করিয়া প্রবলবেগে স্পদিত হইতেছিল। শ্মশানের বুকে নামিয়া দেখিলেন জনশূন্ত শ্মশানে অগ্নিকুণ্ডের সম্মুখে সন্ন্যাসী গঙ্গার দিকে মুখ ফিরাইয়া बजिब्र श्राप्झन । অল্প দূরে দাড়াইয়া করজোড়ে মেজকর্তা ডাকিলেন— বাবা ! সন্ন্যাসী মুখ না ফিরাইয়াই উত্তর দিলেন—এস– ব’ল । সন্ন্যাসীকে প্রণাম করিয়া মেজকর্তা উপবেশন করিলেন । নরকপালের পত্রে কি একটা পানীয় পান করিয়া সন্ন্যাসী বলিলেন—কামনা নিয়ে এসেছ বাবা ? মেজকর্তার কণ্ঠ যেন নিরুদ্ধ হইয়া গেছে—ম্বর তাহার বাহির হইল না । সন্ন্যাসী আবার বলিলেন—কি কামনা বল বাবা । বহুকষ্টে মেজকৰ্ত্ত এবার উত্তর দিলেন-বাবা অন্তৰ্য্যামী— হাসিয়া সন্ন্যাসী বলিলেন–কিন্তু তোমার কামনার কথা তোমাকেই যে মুখ ফুটে চাইতে হবে বাবা । না চাইলে কি এ সংসারে পাওয়া যায়—তুমি দাও ? সেই অঙ্গারলিপ্ত তটভূমির উপরেই লুটাইয়া পড়িয়া মেজকর্তা বলিলেন—সস্তান—বংশ । বাবা বৈদ্যনাথ আমাকে নিরাশ করেছেন, তুমি দয়া কর বাবা । সন্ন্যাসী স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রছিলেন, মেজকর্তাও উঠিলেন না সেই ভুলুষ্ঠিত অবস্থায় সন্মানীর পাদমূলে পড়িয়া রছিলেন । বহুক্ষণ পর সন্ন্যাসী বলিলেন—ও —উঠে ব'ল। বলিয়া ঝুলি হইতে একটা মাটির পাত্র বাহির করিয়া খানিকটা পানীয় তাহাতে দিয়া বলিলেন—মায়ের প্রসাদ—পান কর । মেজকর্তা শাক্ত ব্রাহ্মণবংশের সস্তান, বিনা দ্বিধায় তিনি সেটুকু পান করিয়া ফেলিলেন। সন্ন্যাসী নিজেও পানীয় পান করিয়া বলিলেন—শিববাক্য লঙ্গন করা যায় না । যায় ? মেজকর্তী হতাশভাবে বলিলেন—না বাবা যায় না। হাসিয়া সন্ন্যাসী বলিলেন—ষায়—পারে—এক জন পারে। কে জানিস ? মেজকর্তা বলিলেন-ন বাবা । খিল খিল করিয়া হাসিয়া সন্ন্যাসী বলিলেন—বাবার