পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ কথা রদ করতে পারে—ম রে, বেটা মা, আমার কালীমা—যে শিবের বুকে চ’ড়ে নাচে | আবার সেই খিল খিল হাসি । সে হাসির তীক্ষতার বনভূমির অন্ধকারও যেন শিহরিয়৷ উঠিল, উপরে টিনের চালায় সে হাসির প্রতিধ্বনি অট্টহাস্তে প্রতিধ্বনিত হইয়া তখনও বাজিতেছিল । মেজকৰ্ত্তার সর্বাঙ্গ রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিল। সন্ন্যাসী আবার একপাত্র পানীর মেজকৰ্ত্তার পাত্রে ঢালিয়। দিলেন । নিজেও পান করিয়া বলিলেন—মীকে আমার তুষ্ট করতে পারবি ? করজোড়ে মেজকৰ্ত্ত বলিলেন—কি করতে হবে বাবা ? মেজকৰ্ত্তার মুখের নিকট ঝু"fকরা পড়িয়া সন্ন্যাসী বfললেন—বলি দিতে পারবি ? তন্ত্রমতে আমি তোর জন্তে মায়ের কাছে পুত্রেষ্টি যাগ করব । মেজকৰ্ত্তার মুখ উজ্জ্বল হইয়া উঠিল—বলিলেন—ইn বাব। — সন্ন্যাসী পীরবি ? মেজকৰ্ত্ত থর থর করিয়া কঁপিয়া উঠিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আর একপাত্র পানীয় তাহার মুখের কাছে ধরিয়া সন্ন্যাসী বলিলেন—ভয় কি ? অমাবস্তার অন্ধকার—কেউ জানবে না-মামুষের দুষ্টি সেদিন ঢাকা থাকে। গভীর রাত্রে— দূর শ্মশানে—কেউ জানবে না। মাথার মধ্যে মুরার নেশা আগুনের শিখার মত জুলিতেছিল—চে{থও জলিতেছিল অঙ্গারখণ্ডের মত— মেজকৰ্ত্ত বলিয়া উঠিলেন—পারব—-বাবা—পারব | বলিলেন–কিন্তু নরবলি–পীরবি দিতে পরদিনই মেজকর্তা বাড়ি ফিরিলেন। অকারণে খানিকট অত্যন্ত কৃত্রিম হাসি হাসিয়া স্ত্রীকে বলিলেন— 'छान्नोटन टिब्रश्डिोभ । মেজগিী বলিলেন—বেশ ক’রেছিলে । বোধ করি এ কথার উত্তর খুজিয়া না পাইয়া মেজকর্তা আরও খানিকট হাসিয়া বলিলেন—তাই বলছিলাম । পুত্রেষ্টি 9 صوا8 মেজগিল্পী ঠাকুরকে বলিলেন—সকাল-সকাল রায় কর ঠাকুর, কাল থেকে বাবু খান নাই। অস্থির ভাবে কয় বার ঘুরিয়া ফিরিয়া মেজকৰ্ত্ত বলিলেন —সেই ছেলেটা সেই— শঙ্কিতভাবে মেজগিল্পী বলিলেন—সে তখনই তারা নিয়ে গিয়েছে । মেজকৰ্ত্ত আরও কয়বার ঘুরিয়া—অবশেষে বাড়ি হইতে বাহির হইয়া চলিয়া গেলেন। আবার কিছুক্ষণ পর আলির বিনা-ভূমিকায় বলিলেন—তা, তাকে রাখলেই হ’ত— মেজগিল্পী স্বামীর দিকে চাহিয়া প্রশ্ন করিলেন— কাকে ? মেজগিল্পীর দিকে পিছন ফিরিয়া রান্নাঘরের চালের একগোছা খড় টান মারিয়া মেজকৰ্ত্ত বলিলেন—সেই ছেলেটাকে—সেই— মেজগিল্পী কোন উত্তর দিলেন না । মেজকৰ্ত্ত আরও একাগাছা খড় টান মারিয়া খুলিয়া ফেলিয়া বলিলেন— পুষিপুত্তর নাই হ’ল—খেত-দেত থাকত। বtধা দিয়া মেজগিল্পী বলিলেন—চালের খড়গুলো কেন টানছ বল ত ? যা বলবে হস্থ হয়ে বসেই বল না বাপু । মেজকর্তা আর ধাড়াইলেন না, ইন হন করিয়া বাড়ি হইতে বাহির হইয়া চলিয়া গেলেন । বৈঠকখানায় গিয়া গভীর চিস্তায় নিমগ্ন হইয়া বসিয়া রছিলেন । অপরিসীম উদ্বেগে তাহার বুকের ভিতরটা যেন পীড়িত হইতেছিল। দরজার গোড়ায় রায়ের চটির মন্থর শব্দ উঠিল । রায় আসিয়া প্ৰণাম করিয়া ডাকিল—বেীমা একবার ডাকছেন গো ! মেজকৰ্ত্ত চমকি উঠির প্রশ্ন করিলেন—এn। রায় বলিল—দিনরাত এত ভাববেন না মেজৰাৰু। বলছি—বোমা একবার ডাকছেন আপনাকে । মেজকৰ্ত্ত উঠিয়া পড়িয়া বলিলেন—আমি চণ্ডীতলা চললাম । রায় শশব্যস্ত হইয়া বলিয়। উঠিল—অই—আই । ই— করে কি হার-বলি শুনছেন গো—অ—। মেজকৰ্ত্ত তখন চলিয়া গিয়াছেন । দ্বিপ্রহরে থাইতে বসিলে মেজগিল্পী অভ্যাসগত পাখা