পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ঘাট রহিয়াছে । একটি বেশ বড় মন্দিরের চারি দিকে উচু প্রাচীর । দরজা বন্ধ ছিল, তাই ভিতরে কি আছে দেখিতে পাইলাম না । এইবার এখানকার অন্তান্ত যে-সকল মন্দির ও মসজিদ দেখিয়াছিলাম তাহীদের কথা বলিতেছি । শহরের উত্তর দিকে বাজারের মধ্যে জামি মসজিদ বিরাজিত। ঐ স্থানটির নাম ‘বাজার কারা । মৌলবী ইয়াকুব পী ১৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে এই জমি মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করেন। ১৬০৩ খ্ৰীষ্টাব্দে কুবরানু আলি নামে এক জন ধাৰ্ম্মিক মুসলমান উহার সংস্কার করেন । এখানকার সবচেয়ে পুরাতন সমাধি-মন্দির হইতেছে খাজা করেক নামক সুপ্রসিদ্ধ ফকীর-সাহেবের । ১৩০৯ গীষ্টাব্দে ফকীর-সাহেবের মৃত্যু হয়। সুলতান আলাউদ্দীন বখন কারা নগরীতে র্তাহার খুল্লতাত জলালউদ্দীন ফিরোজ থtলজীকে হত্যা করেন ( ১২৯৫ খ্ৰীষ্টাব্দ ), তখন এই মহাপুরুষ জীবিত ছিলেন । খাজা-সাহেবের সম্বন্ধে অনেক অলৌকিক কাহিনী শুনিতে পাওয়া যায়,—“তারিখ জহুর কুৎবি’ নামক গ্রন্থে ঐ সব গল্প ও কাহিনী লিপিবদ্ধ আছে । খাজা-সাহেব མ་། দুর্গের এক দিকের প্রাচীর দিল্পীর সুলতানের নিকট হইতে ছয়খনি গ্রাম নিষ্কর জায়গীর পাইয়াছিলেন । এখনও চারিখানি গ্রাম তাহার মৌলানা খাজগীর সমাধি ংশধরদিগের অধিকারে আছে । সমাধিটি শহরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। উহার উপরে ছাত আছে। দেওয়ালের । গায়ে যে খোদিত লিপিটি আছে তাহা হইতে জানিতে । পারা যায় যে এই সমাধি-মন্দিরটি একেবারে ভাঙিয়া গিয়াছিল—১৪৮৮ খ্ৰীষ্টাব্দে উহার সংস্কার সাধিত হইয়াছে। সুলতান জলালউদ্দীনের সমাধিও ঐথানে অবস্থিত । : এখানকার অন্তান্ত সমাধি-মন্দিরগুলির মধ্যে কামাল । পীর সমাধি-মন্দিরটিও প্রসিদ্ধ। কামাল পী কে ছিলেন । জানা যায় না। ১৫৮১ খ্ৰীষ্টাব্দে কামাল খাঁর মৃত্যু হয় । , ইহার সমাধি-মন্দিরটি একটি সমচতুষ্কোণ অট্টালিক) । । উপরে গম্বুজ রহিয়াছে। বিস্তৃত অঙ্গনের মধ্যে সমাধিটি অবস্থিত। সমাধির পশ্চিম দিকে একটি মসজিদ। প্রবেশপথের দুই দিকে কয়েকটি গুম্বজওয়ালা ঘর। সমাধির চারি পাশে সচ্ছিদ্র প্রাকার । এতদ্ব্যতীত কাগজিয়ানা মহল্লার শেখ সুলতানের সমাধি এবং সৈয়দ কুতবউদ্দীনের সমাধি দুইটি উল্লেখযোগ্য ! শেখ মুলতানের সমাধির নিৰ্ম্মাণ-তারিখ ১৬৫০ খ্ৰীষ্টাব্দ । সৈয়দ কুতবউদ্দীনের নামে একটি মেলা বসে। কুতবউদ্দীন ছিলেন মুসলমান সেনাপতি । তাহার আর এক নাম ছিল মালিক আহসান । কারা যে যুদ্ধে মুসলমানদের হাতে আসে, সেই যুদ্ধের সৈন্তাধ্যক্ষ ছিলেন