পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SN98R চেরী ফুল মেয়ে বেরিয়ে সেই বাটিগুলি দর্শকদের সকলকে পরিবেশন করতে লাগল। মেয়েগুলির পরিবেশন করবার ভঙ্গী দেখতে ভারী ভাল লাগে । বাটিটি নিয়ে সামনে দাড়িয়ে হাসি-মুখে মাথা নীচু ক’রে প্রথমে অভিবাদন করে, তার পর দুই হাতে বাটি ধরে অত্যন্ত আস্তে সম্মুখে রেখে দেয় ঠিক যেন অঞ্জলি দিচ্ছে । তার পর আবীর অভিবাদন ক’রে আস্তে আস্তে পিছিয়ে সরে যায় । পাশের লোকেরা দেখলাম হাসিমুখে “অরিগা তো” ( ধন্তযদি ) বলছে এবং বাটির তরল সবুজ রঙের পানীয়টুকু নিঃশেষে পান করছে । যস্মিন দেশে যদাচার ভেবে আমরাও সেই সবুজ পদার্থটি মুখে নিয়ে দেখি যে সে বিষম তেতো । শুনলাম সে হ’ল জাপানী চা, ওরা বলে ‘ও চা’ ; সে না-কি ও-দেশের উত্তম পানীয়। যাহোক চায়ের ব্যাপার শেষ ক’রে দেখলাম দলে দলে লোক উঠে গেল । আমরা তো বুঝতেই পারি না ব্যাপারটা কি এসেছিলাম নাচ দেখতে কিন্তু নাচটা অন্তরালেই রইল, শেষ অবধি চা থেয়েই বুঝি বাড়ি ফিরতে झ्द्र । शांटशंकु তৰু অপেক্ষা করছি, এমন সময়ে পুরাণ দর্শকের দল বেরিয়ে যেতেই হুড়মুড় ক’রে নূতন দল ঢুকল এবং সে মেয়েটি আবার ঠিক তেমনি ভাবে নুতন ক'রে চাতৈরি আরম্ভ ক’য়ে দিলে । অতঃপর সেই ব্যাপারেরই পুনরাবৃত্তি হবে বুঝে আমরা নিরাশ হয়ে উঠে এলাম। এসে দেখি অন্ত এক দিকে অনেক লোক ঢুকছে । তেতোর বদলে হয়ত বা সেদিকে কাল চা রায়া হচ্ছে ভেবে না জিজ্ঞাসাবাদ ক’রে चाब्र छूकरङ गांश्न इ'ज न, क्ख्ि কাকেই বা জিজ্ঞাসা করি। অনেক भूख ७कठेि जांभांछ ऐश्ब्रऔ-छांना ভদ্রলোককে ধরে জানতে পারলাম যে ঝাল চা নয়, সেই দিকেই আসল নাচ হচ্ছে, এ চা-খাওয়ার ব্যাপারটা শুধু এদের অভ্যর্থনা, এটা নাচের অঙ্গ নয়। কিন্তু আমরা আসতে দেরি করেছি ব’লে সমস্ত জায়গা ভরে গেছে ; অtধ ঘণ্টা অপেক্ষা ক’রে থাকলে এ নাচটা শেষ হবার পর ঐ দল যখন বেরিয়ে যাবে তখন জায়গা পাওয়া যাবে । কি করি বসেই রইলাম। আধ ঘণ্টা পরে প্রায় হাজার লোক দলে দলে বেরোতে লগিল । তার বেরিয়ে গেলে পরে একটি মেয়ে ভিতরে নিয়ে গিয়ে আমাদের বসিয়ে দিলে । ভিতরে ঢুকে তথন দেখি যে কি প্রকাও ব্যাপার । তার পর যখন সীন উঠল প্রজাপতির মত রংচঙে কাপড়-পরা মেয়ের পাখা হাতে নিয়ে নানা ভঙ্গীতে নাচলে তখন যে কি সুন্দর লাগল তা বলতে পারি না । ষ্টেজের দুই পাশে চেরী ফুলের পর্দা দেওয়া দুইটি বড় বড় বেদীর মত জায়গা আছে ; সেইখানে এক-এক পাশে আট জন ক’রে মেয়ে নানা রকম বাজনা নিয়ে বসে আর গান করে আর ষ্টেজে প্রায় ত্রিশ-চল্লিশ জন মেয়ে এক রকম পোষাক প’রে একসঙ্গে নাচে । জাপানের ষ্টেজে করণ। নদী পাহাড়ের যে সব সুন্দর দৃপ্ত দেখলাম সে যেন সত্য ব'লে ভ্রম হয় । যাহোক অনেক কষ্টের পর শেষ-অবধি ওদের নাচটা দেখে সেদিন সব কষ্ট সার্থক বলে মনে হয়েছিল । তার পরে কিয়োটো ও টোকিওতেও এ নাচ দেখেছি, কিন্তু প্রথম দিনের মত ভাল আর কোনও দিন লাগে নি । আমরা কোবেতে থাকতে ‘রোকো” ব’লে পাহাড়ে এক দিন গিয়েছিলাম। মস্তু উচু পাহাড়। ফিউনিকুলার ক'রে কতকটা ওঠবার পরেও আবার রোগওয়েতে ক’রে অtধ ঘণ্টা যেতে হ’ল । টেলিগ্রাফের ভারের মত তার