পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীষণ কি ? জোগাড়-জাগাড় কি করেছ তাই দেখতে এলাম । শেষ মুহূর্তে আবার একটা গণ্ডগোল না বাধে।” ঘামিনী একটু বিরক্তভাবে বলিলেন, “এমন কি রাজস্বয় বজ্ঞের ব্যাপার যে একলা আমি সামূলাতে পারব না ?” কাহাকেও বিরক্ত হইতে দেখিলে, তৎক্ষণাৎ তাহার দশগুণ বিরক্ত হইয়া উঠাই ছিল সুরেশ্বরের স্বভাব । তিনি অনেকখানি গলা চড়াইয়া বলিয়া উঠিলেন, “তাই যদি পারবে, তাহলে আর ভাবনা ছিল কি ? বলি, আইসক্রীমে ডিম যেন না দেয় সেটা ব’লে দিয়েছ কি ? না শেষ মুহূৰ্ত্তে সব পণ্ড হবে ? তার পর তোমার আর কি ? বললেই হ’ল আমার মনে ছিল না ।” যামিনীর মুখ লাল হইয়া উঠিল। সুরেশ্বরের কথায় এতদিন পরেও র্তাহার যে মনে লাগিত ইহাই আশ্চর্য্যের বিষয় । কিন্তু সত্যই, বহুদিনের অভ্যাসেও অনেক জিনিষ তাহার সহিয়া যায় নাই। কিন্তু জানিতেন এখন কথা বলিলে সুরেশ্বর আরও উত্তেজিত হইবেন এবং আরও চীৎকার করিবেন। সুতরাং উত্তর না দিয়া চুপ করিয়া রছিলেন। বিন্দু তাড়াতাড়ি ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল । সুরেশ্বরের আরও কিছু বক্তৃতা করিবার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সামিনীকে খুব বেশী চটাইতে তাহার ভরসা হইল না। কি জানি, ঘামিনী যদি রাগিয়া এমন কিছু করিয়া বসেন, যাহাতে সব কাজ সত্যই পও হইয়া যায় ? মেয়েও যে-রকম মায়ের হাত ধরা। হয়ত ঠিক সময়ে বলিয়া বসিবে আমার ভয়ানক মাথা ধরিয়াছে আমি যাইতে পারিব না । না-হয় চুল না বাধিয়া, সাজ-সজ্জা কিছুই না করিয়া গিয়া হাজির হইতেও পারে। যাহারা আসিতেছে, তাহারা অবস্ত স্বরেশ্বরের রূপার আকর্ষণেই আসিতেছে, মমতার রূপের আকর্ষণে নয়, তাহা হইলেও সুরেশ্বর যখন বলিয়াছেন, তাহার মেয়ে খুব সুন্দরী, তখন র্তাহার কথার মর্য্যাদারক্ষা স্বাকাতে হয়, সে চেষ্টাও করা কৰ্ত্তব্য । অতএব স্ত্রীকে আর খোচাইবার চেষ্টা না করিয়া তিনি মাথা মুছিতে মুছিতেই বাছির হইয়া চলিলেন। দরজার ওপার হইতে বলিলেন, “ওৰেল মমতার চুলটুলগুলো নিজে বেঁধে দিও, যেন ভূত লেজে গিয়ে হাজির না হয়। নিজে ত এখনও কিছুই ঠিক ক’রে করতে পারে না ।” खान्छा-बङ्ग இ0) যামিনী এবারেও র্তাহার কথার উত্তর দিলেন না । আইসক্ৰিীমে যে ডিম দিতে বারণ করিতে হইবে, এ-কথা বলিতে সত্যই তিনি ভুলিয়া গিয়াছিলেন। গোপেশৰাৰু নাকি অতি ভয়ানক সনাতনপন্থী । ডিম তাহদের রান্নাঘরের চৌকাঠ পার হইতে পারে না। পেঁয়াজ খাইতেও তাহার মাঝে মাঝে আপত্তি হয়, তবে সব সময় নয় । कॉ८छहे ब्रांब्रांबांब्रां धूब नांदशांन श्हेब कब्रिटङ इहेद । ছেলেকে যদিও বড় চাকরি জুটিবার আশায় তিনি fবলাতে পাঠাইতেছেন, তবু সে একেবারে বেহাত না হইয়া যায়, সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখিয়াছেন। বিবাহ করিয়া যাইতেই বলিয়াছিলেন, কিন্তু ছেলে তাহাতে কিছুতেই ब्रांछौ श्ण ना । उष्व विवांश् ड़िनि विलक्ष श्मूिপরিবারে স্থির করিয়া রাখিবেন, এবং ছেলে যাহাতে ফিরিয়া আসিয়া এ স্থানেই বিবাহ করে, তাহারও ব্যবস্থা করিবেন। স্বরেশ্বরের হিন্দুত্বে একটুখানি যে খুৎ আছে, তাহা দশ হাজার টাকার গুণে তিনি ভুলিয়া যাইতে সক্ষত হইয়াছেন। মেয়েটি যদি সত্যই খুব সুন্দরী ও সুশিক্ষিত হয়, তাহা হইলে ছেলেকে প্রতিজ্ঞাপালন করান খুব কঠিন इद्देव न, ७ यां*ाँ७ ॐॉझॉन्न व्ञांtछ् । थथंभ नेिन व्षवथु ছেলে আসিবে না, তিনিই সনাতন প্রথামত জু-চার জন আত্মীয়বন্ধু লইয়া কন্যা দেখিয়া যাইবেন। দুই-চার দিন পরে সুরেশ্বর দেবেশকে নব্যপ্রথামত চা খাইতে নিমন্ত্রণ করিবেন। তাহার পর কথাবাৰ্ত্ত সব পাকাপাকি হইয়া গেলে, একবার ঘটা করিয়া আশীৰ্ব্বাদ করা হইবে, ইহাই এখন পর্য্যস্ত স্থির হইয়া আছে । লুসি আর মমতা বাগানে গিয়া, ফুল কুড়াইয়া, ফল পাড়িয়া খাইয়া, গাছে ঝোলান দোলনায় ছলিয়। যথারীতি ফুৰ্ত্তি করিতে লাগিয়া গেল। লুসি ত éांब बन्नब इब्रिभद्र मउ खेल्लनिष्ठ श्बा खेळेण । তাহাঁদের যে পাড়ায় বাড়ি, তাহাতে এখন আর এক ইঞ্চি খোলা জমি কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না। তাহাদের নিজের বাড়ির সঙ্গে সেকালে একটুখানি খোলা জায়গা ছিল, লুসির বাবা মিহির তাহাও বহুকাল হইল টাকার লোভে বিক্রয় করিয়া দিয়াছেন। এখন তাহীদের বাড়ির দুই পাশে দুখানি অভ্ৰভেদী বাড়ি, ছাদে না উঠিলে নিঃশ্বাস পর্য্যস্ত ভাল করিয়া লওয়া যায় না। একটা