পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণৰণ জন্মস্বত্ব (e\ల উঠিয়া পড়িল । আকাশের দিকে চাহিয়া দেখিল নিকৰ কালো মেঘের রাশ একেবারে মাথার উপর ঘনাইয়া নামিয়া আসিতেছে। কড়কড় শব্দে দিগন্ত কাপাইরা বজ্ৰধ্বনি হইল, বিদ্যুতের তীব্র চমক তাহাদের চোখে ধাধা লাগাইয়া দিয়া মিলাইয়া গেল । “ও ভাই ছুটে চল”, বলিয়া মমতা উঠিয়া প্রাণপণে দৌড় দিল, লুসিও তাহার পিছন পিছন ছুটিল । কিন্তু বৃষ্টিকে হার মানাইতে পারিল না। বাড়ি তখনও বেশ খানিকটা দূর, তখনই বামূবম্ শষে বর্ষারম্ভের বৃষ্টি তাহাদের মাথার উপর ভাঙিয়া পড়িল । মমতা এবং লুসির দেহ মনে পুলকের শিহরণ থেলিয়া গেল । আঃ, কি সুন্দর, কি ঠাও । আরও প্রাণ ভরিয়া ভিজিতে পাইলে তাঁহাদের গা জুড়াইয়া যায়। কিন্তু বাপ-মায়ের উৎপাতে যাহা ভাল লাগে তাহা করিবার জে কি ? কাজেই রঙীন আঁচল উড়াইয়া, হাসিতে হাসিতে ভিজিতে ভিজিতে দুই জনে প্রাণপণে ছুটিতে লাগিল। মমতা ইপিাইতে ইপিাইতে বলিতে লাগিল, “বাবার সামনে পড়লেই গিয়েছি আর কি ? ব’কে ভূত ঝাড়িয়ে দেবেন।” লুসিও দৌড়িতে দৌড়িতে বলিতে লাগিল, “তোমাদের বাপু সব অনাস্থষ্টি । এক ফোট জল গায়ে পড়লে কি তোমরা গলে যাবে ? আমরা সে-বার মামাবাড়ির গায়ে গিয়ে এমন ভেজা ভিজেছিলাম যে কি বলব। কিন্তু कह्रै अद्धि नि उ ?' যামিনী উদ্বিগ্ন ভাবে সিঁড়ির মুখে দাড়াইয়াছিলেন। মেয়ে এবং ভাইঝির অবস্থা দেখিয়া বলিলেন, “লীগ গীর উঠে আয় । একেবারে চান ক'রে কাপড়চোপড় বদলে ফেল। তার পর গরম স্থখটুদ কিছু একটু খা ।” মেয়ের হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেল । সুরেশ্বর ঘে তাহাদের দেখিতে পান নাই, ইহাতে শুধু অপরাধিনীস্বয় নয়, যামিনীও খানিকটা আরাম বোধ করিলেন। সুরেশ্বরের মেজাজ কোনকালেই ভাল ছিল না, এখন ত সারাক্ষণ সপ্তমে বাধা হইয়া আছে। পান হইতে চু৭ খলিলেই তিনি হাউমাউ করিয়া টেচাইয় সারাবাড়ি মাথায় করিয়া তোলেন । যামিনী এই জিনিষটি একেবারে সহ্য করিতে পারেন না, কাজেই চীৎকারের কারণ যাহাতে না ঘটে, তাহার প্রতি যথাসাধ্য লক্ষ্য রাখিয়৷ চলেন । মেয়েরা স্নান সারিয়া আসিতেই তিনি নিজে স্নান করিতে চলিয়া গেলেন। মমতা লুসিকে লইয়া নিজের ঘরে ঢুকিয়া একটা শেলাইয়ের প্যাটার্ন শিথিতে বসিয়া গেল । সুরেশ্বরের আজ মনে শাস্তি ছিল না । যতক্ষণ না মেয়েদেখান ভালয় ভালয় উৎরাইয়া যায়, ততক্ষণ র্তাহার ছট্‌ফটানি যাইবে না। স্ত্রী যে র্তাহাকে সাহায্য করার বদলে তাহার কাজে ইচ্ছাপূর্বক বিয়ই ঘটাইবেন, এ ধারণাও কিছুতেই তাহার মন হইতে ঘাইতে চায় না। আবার যামিনীকে নিজের এই অবিশ্বাস পুরাপুরি জানিতে দিতেও র্তাহার ভয় করে। খানিক নিজের ঘরে গিয়া বসেন, আবার যামিনীর ঘরের দিকে আসিয়া হাজির হন । মমতাদের আলোচনায় বাধা দিয়া, তিনি হট করিয়া একবার ঘরে ঢুকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি ব্যাপার? তোর মা কোথায় রে ?” মমতা মুখ তুলিয়া না চাহিয়াই গম্ভীরভাবে বলিল, “মা চান করতে গেছেন।” মমতার মুখের ভাব দেখিয়াই স্বরেশ্বর বুঝিলেন মমতা আজকার ব্যাপারের বিষয় সব শুনিয়াছে, এবং তাহার খবরটা ভাল লাগে নাই। চীৎকার করিয়া খানিকটা বকবিকি করিতে পাইলে তিনি খুশী হইতেন, কিন্তু কাহাকে বকিবেন ? যামিনী ত নিশ্চিস্ত মনে স্নানের ঘরে খিল দিয়া আছেন। মমতাকে বকা সুরেশ্বরের সাধ্যে কুলায় না। কস্তাকে যেমন তিনি ভালওবাসেন অতিরিক্ত রকম, তেমনই ভয়ও খানিকটা করেন। তাহার চোখে নীচু হইতে সুরেশ্বরের একান্ত আপত্তি। স্বজিত কাছে নাই, না হইলে তাহাকে বকিতে র্তাহার আপত্তি ছিল না । শুধু বলিলেন, “থেয়ে-দেয়ে যেন সারা দুপুর হৈ-রৈ ক’রে ঘুরে বেড়িও না, শরীর খারাপ কবে। খাওয়ার পর খানিক ক্ষণ বিশ্রাম করা বিশেষ দরকার।” সুরেশ্বর চলিয়া যাইতেই লুসি বলিল, “দিদি, পিসেমশায়ের ভয় হয়েছে, পাছে তোকে খুব স্বন্দর না দেখায়।” মমতা মুখ হাড়ি করিয়া বলিল, “মুনার না দেখালেই