পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ শবদগত কম্পমণদেশষ Q>> কখনও কখনও আবশ্যক হয়, তা না হ’লে বিদ্যাসাগরমহাশয়ের সহপাঠীরা তাকে “কগুরে জৈ” বলে জালাতন করবেন কেন ? বাংলায় এ-ধরণের শব্দদুষ্টি প্রায়ই দেখা নয়। ইংরেজীতে স্পনার সাহেবের নামানুসারে একে স্প মারিজম বলা হয় । এ-ধরণের অবাধ্যতা প্রায় সকলের জিহবাই কখনওনা-কখনও ক’রে থাকে কিন্তু কারও কারও জিহবা এত অসংঘত ধে প্রায়ই সীমা লঙ্ঘন করে । আমার এক বন্ধু কাপড় কদাচিৎ পরেন কারণ, ‘কাপর পরাই’ তার র্তfর বৈকালিক জলখাবারের মধ্যে ‘সিঙারা কচুড়ি’ থাকা চাই-ই । শব্দের এমন রূপ-বিকৃতি ঘটে কেন ? তার কারণ আমাদের বাগ্‌ স্ত্রটাও একটা যন্ত্র । শুিঙে-চল ঘড়ির বড় কাটা ও ছোট কাটা যেমন মধ্যে মধ্যে জড়িয়ে যায়, মনে চল! আমাদের এই বাণুধঞ্জেরও অবস্থা হয় কখনও কখনও সেই রকম া একাধিক কথা বা ভাব মনের মধ্যে জমবার অবসর পেলেই সেগুলো বেরোবার সময় স্থটোপটি করবেই, ছুটি খণ্ট পড়লে স্কুলের একটি মাত্র দরজা দিয়ে বেরোবার সময় ছেলেরা যেমনতর করে । বাড়ি যাবার তাড়ায় রামের ধরাপাত যায় শ্যামের বাড়ি কিন্তু শ্যামের দ্বিতীয় হু!গখানা স্নামের বইয়ের মধ্যেই পাওয়া যায় । এক জনের চিঠি ওপরের খামের মধ্যে প্রবেশ লাভ ক’রে কত লোকের কত অনর্থ যে ঘটিয়েছে তার হিসেব কে রাখে ? এ অীর কিছুই নয়, এক ধরণের অন্তমনস্কতা, দুটো ভাবের গোলমালে ee BBBBBBB BB S BB BS BBBB BB BBB এক দিন নিত্য হ’য়েও দাড়াতে পারে । স্পর্শদুষ্ট শব্দও তমনি কখনও কখনও ভাষায় স্থান পেয়ে যায় । মনস্তত্বের সঙ্গে ভাষাতত্বের ষে অচ্ছেদ্য ঘোগ অাছে, স্বাধুনিক ভাষাতত্ত্ববিদরা সে-সম্বন্ধে অনেক আলোচনী ক'রেছেন ৷ পলের ( Paul ) নাম এদের মধ্যে উল্লেখধোগ্য । তিনি বলেন;– “We call the process 'contamination' when অভাfস । two synonymous or similar sounding forms or “onstructions force themselves simultaneously or at least in the very closest succession, into our consciousness, so that one part of the one replaces, or it may be, ousts a corresponding part of the other ; the result being that a new form arises in which some elements of the one are confused with some elements of the other.” এর তাৎপৰ্য্য এই—“যখন একীর্থবোধক বা অনুরূপ ধ্বনিবিশিষ্ট দুটি শব্দ বা বাক্য যুগপৎ বা উপধুপিরি আমাদের চৈতন্তকে অধিকার করবার জষ্ঠ উদ্যত হয়, তখন অনেক ক্ষেত্রেই এই দুইটি প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একটির অংশ-বিশেষ অপরের অনুরূপ অংশের সঙ্গে স্থান বিনিময় করে বা ঐ অংশকে সম্পূর্ণরূপে অপস্থত করে । এই বন্দ্বের ফলে উভয়ের কিয়দংশকে বিপর্য্যস্ত ক’রে একটি অভিনব শব্দ বা বাক্যের উদ্ভব হয়। এই বিকৃতির প্রণালীকেই স্পৰ্শদোষ বলা যায় ।” আমরা এখানে শুধু স্পর্শদুষ্ট শব্দের কথাই আলোচনা করব t স্পর্শক্রফ্ট শব্দের জাতি হিসাব করতে গেলে স্বয়ং মনুকেও হার মানতে হবে । আমরা মোটামুটি কয়েকটা শ্রেণীতে ভাগ ক’রে সংক্ষেপে তাদের কিছু পরিচয় দেবার চেষ্টা করব। এদের মধ্যে এক শ্রেণীর কথা পূৰ্ব্বেৰ উল্লেখ করেছি, ইংরেজীতে যাকে বলে স্পনারিজ মূ। স্বনামধন্ত স্প,নার সাহেবের নামেই এই শ্রেণীর নামকরণ। ‘কগুরে জৈ’, ‘সিঙারা কচুড়ি প্রভৃতি বাংলার ম্প,নারিজ মূ। দ্বিতীয় শ্রেণীর স্পর্শদ্বষ্ট শব্দের উদাহরণ হবে মনোরথ । মনোরথ শব্দটা বাংলায় ত চলবেই কেন-না ংস্কুতেও ওটা চলে । এর স্পর্শদোষটা ঘটেছে সংস্কৃত থেকেই, বাংলায় এসে নয় । আসিল শব্দটা ছিল "মনোহুর্থ" । অপরিচয়ের ফলে শব্দটা আমাদের নূতন ঠেকবে হয়ত । মনোহুর্থ (মনঃ+অর্থ ) মনের উদ্দেশু বা অভিলাষ । একদা মনোরথ অধিকার ক’রে বসল মনোহৰ্থের স্থান । তাই মনোরথ সিদ্ধ হোক প্রভৃতি প্রয়োগ ভাষায় চলে গেলেও বিশ্লেষণ ক’রে দেখতে গেলে গোলমাল ঠেকে । সেই জঙ্গই কারও কারও মনোরথ সিদ্ধ না হয়ে পূর্ণ হয়।

  • কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করি যে মনোরথ শব্দটির উৎপত্তির ইতিহাস প্রথম শুনি পরম শ্রদ্ধাস্পদ মনীয় অধ্যাপক পণ্ডিত বিধুশেখর শাস্ত্রী মহাশয়ের মুখে । ইতিপূৰ্ব্বে ঐ শব্দটির প্রতি আর কোন डाबाउरुविप्नद्र पृटेि चाकूछे झatइ कि बl छानि न !