পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণবণ बक्रू asరి তবু যে রূপ হয় সেটি ভারি মজার । সে-রকম স্পর্শদুষ্ট শব্দের কয়েকটি উদাহরণ আগে দিয়েছি, এথানে আরও কয়েকটি দিচ্ছি। নাবালক” কথাটি ফার্সি নবলিগ শব্দের বাংলা-রূপান্তর । বালিগ, শব্দটা একে অপরিচিত, তাতে আবার বালক শব্দের সঙ্গে ধবনির মিল আছে । সুতরাং ন-ব:লিগ দ্বাড়াল নাবালক’ হ’য়ে, যদিও শব্দের আকৃতি ও অর্থ হ’য়ে গেল পরস্পর-বিরুদ্ধ। অবশ্য ‘অমলদ’র খাতিরে ‘না’ স্বার্থে প্রযুক্ত বলতে পারি। নাবালকের দেখাদেখি ‘সাব’লক’ । এই প্রসঙ্গে ‘লালটিন’ কথাটা উল্লেখষোগ্য । লঙ্গন (lantern কে পশ্চিম-বঙ্গর কোন কোন জেলায় এবং ছড়িশা অঞ্চল “লালটিন’ বলে । লণ্ঠনটা তৈরি হয় সাধারণত টিনে তাই টোন (tern)>) ঠন টার স্থান সহজেই অধিকৃত হ’ল "টিন’ দ্বারা এবং নিরর্থক লন শব্দটার জায়গায় এসে ব’সল লাল। লাল শব্দটার সার্থকতাও হয়ত কিছু ছিল । এদেশে ঘপন হারিকেন লণ্ঠন প্রথম আমদানি হয় তখন টিন ও পিতল উভয় ধাতুরই লণ্ঠন আসত। আজকাল পিতলের লণ্ঠন খুব কম দেখা যায় । পিতলের রংটার সঙ্গে ললি শপটের যোগ থাক অসম্ভব নয় । কিন্তু মজা ত’চ্ছে এই যে একই লণ্ঠন “লাল এবং ‘টন’ দুই-ষ্ট হ’তে পারে না । “লালটিন' শব্দটি স্পর্শদোষের একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত । আর এক রকম শব্দের কথা ব'লে এই প্রবন্ধ শেষ করব । ইংরেজীতে এই ধরণের স্পর্শদুষ্ট শব্দকে বলে Portmanteau words I §wf&ae fûtv «ibi Aevw বোঝা যাবে। প্রথমে একটা ইংরেজী শব্দই বলি । potatomato শব্দটি নুতন বেরিয়েছে। ওদেশের কোন উদ্ভিদতাত্ত্বিক আলু ও বিলাতিবেগুন মিলিয়ে এক অভিনব ফল তৈরি করেছেন । তাঁরই নাম দিয়েছেন potatornato । বাংলা রূপকথাটি সম্ভবত এই রকমের রূপক ও কথা এই দুইটি শব্দ সহযোগে গঠিত। উত্তরায়ণ সংক্রাস্তিকে উওরাস্তি’ ব’লতেও শোনা যায়। এই প্রসঙ্গে ওড়িয়া "প্রাকৰ্ম্ম’ শব্দটির কথা মনে পড়ে । প্রাচীন ওড়িয়ার পরাক্রম শব্দটি বানান ভুল ক’রে “প্রাকৰ্ম্ম" লেখা হ’ত । বানানের সঙ্গে মানেও গেল বদলে । নুতন শব্দের নূতন মনে হ’ল অদৃষ্ট । এই শব্দটি দেখলে মনে হয় স্পর্শদোষ ঘটেছে প্রাক্তন ও কৰ্ম্ম এই দুই শব্দের মধ্যে। লক্ষ্য করলে এrরকম অনেক কথাই নজরে পড়ে । বন্ধু শ্রীরসময় দাশ সে তো একদিন নয় ; কতবার এ জীবন পরে iঃথের শ্রাবণ-ধারণ নিঃশেযে গিয়েছে যবে ঝরে, “আশ্রধৌত হুদয়ের বহুদূর স্নিগ্ধ নীলাকাশে— দেখেছি তোমার হাসি শরতের মেঘসম ভাসে । অমনি ভুবনে মোর-পল্লীপ্রাস্তে নদী-তীরে-তীরে দুলিয়াছে কাশবন শুভ্ৰ হাস্তে--সুমন্দ সমীরে । অস্ত-আলো ৰীলমল পশ্চিমের দিগন্ত সীমায় &l=b হংস-বলাকার দল উড়ে গেছে চঞ্চল পাথায় । তার পর নামিয়াছে বিবাদ-কুহেলি অন্ধকার,– ' শেফালী ঝরিয়া গেছে, নিবে গেছে দীপ্তি জোছনার । শিশির বিষন্ন প্রাতে ঝরা পাতা দলি পদতলে, দূরের পথিক-বন্ধু, বার-বার গেছ তুমি চলে। আসন্ন বিরহ-তলে চিররাত্রি একাকিনী জাগি জাশার প্রদীপথানি জালায়ে রেখেছি তোমা লাগি ।