পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রেণবণ ংলার লবণ-শিল্প (XS সাধারণতঃ ভিজা মাটির দেশ বলিয়া কাৰ্ত্তিক মাস হইতে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যস্ত লবণ প্রস্তুত হইত। বর্ষাকালে ধে-সমস্ত জমি সমুদ্রের জোয়ারে ধুইয়া যাইত সেষ্ট সমস্ত লবণাক্ত ভূমি বা চর’ হইতে লবণ প্রস্তুত হইত। এই চরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভক্ত অংশগুলিকে বলিত খালড়ি। কথিত আছে, নৰাধী আমলে মৃদ্ধ মেদিনীপুর জেলাতেই প্রায় চল্লিশ হাজার থালাড়ি ছিল। প্রতি থালাড়িতে সাত জন করিয়া শ্রমিক নিযুক্ত হইত। তাহারা গড়ে প্রায় আড়াই-শ মণ লবণ প্রস্তুত করিত । এই শ্রমিকগুলিকে তখনকার লোকে বলিত মলক্ষ্মী ক্ষ শুনা যায় এক কালে প্রায় ৫৩ হাজার মঙ্গঙ্গী শ্রমিক বাংলা ও উড়িয্যর সমুদ্রকুলে লবণ প্রস্তুত করিত। কথিত আছে, হিন্দু রাজত্বকালেও এই লবণ-বাণিজ্য বিশেষ ভাবে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল । মলঙ্গীর উপরিউক্ত লবণাক্ত মাটি হইতে লবণাংশকে পরিক্ৰত করিয়া আগুনে ফুটাইয়া লবণ বাহির করিত। আগুনের জন্ত নিকটস্থ বন হইতে কাঠ সংগ্রহ করা হইত এবং চুল্লীর কাঠের জন্ত ঐ সমস্ত বনজঙ্গলকে বিশেষ ভাবে রক্ষণ করা হইত। তৎকালীন লোকের এই বনকে বলিত জলপাই” অর্থাৎ জল বা জলন—জালানী কাঠ ( উড়িয়া ভাষায় )+পাই—পাইবার স্থান । নবাব-সরকার হইতে ঐ সমস্ত মলদীদিগের এক শত মণে বাইশ টাকা পারিশ্রমিক ধাৰ্য্য করিয়া দেওয়া হইয়াছিল । যে-সমস্ত জমিদারের অধীনে ইহার কার্য্য করিত, তাহার যেছয় মাস লবণ প্রস্তুত হইত সেই ছয় মাল পারিশ্রমিক দিতেন আর বাকী ছয় মাস চাষবাস করিয়া অল্প-সংস্থান, করিবার জন্ত তাহীদের জমি দিতেন । এই জমিদারগণ ব্যবসায়ীদিগের নিকট ৬০ পর্ব্যস্ত দরে এক শত মণ লবণ বিক্রয় করিতেন। যে-সমস্ত বণিক লবণ লইয়া বাণিজ্য করিতেন তাহারা অনেক স্থলে নবাব-দরবারে গৌরবান্বিত হইতেন। কয়েকটি বণিক বকর-উল-ভজ্জব বা মালিক-উল-ভজব প্রভৃতি উপাধি লাভ করিয়াছিলেন If

  • দেশাবলী বিবৃতি—হরপ্রসাদ শাস্ত্রী + Statistical Account of Bengal by Hunter— Vol. III, Midnapore.

পলাশ-যুদ্ধের কয়েক বৎসর পরে অর্থাৎ ইংরেজ এদেশের কৰ্ত্ত হইবার পর ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী বাংলার তদানীন্তন নামমাত্র নাজিমকে এদেশের লবণ, সুপারি ও তামাকুর বাণিজ্যের উপর এক কঠোর আইন জffর করিতে বাধ্য করেন। বোন্ট ( Bolt ) এ-বিষয়ে তাহার Consideration of Indian Affairs a stoo fawl করিয়া গিয়াছেন। এই আইন এতই বাধ্যতামূলক এবং কঠোর হইয়াfছল যে তাহীর ফলে বাংলার লবণ-শিল্প ংসোন্মুণী হইল। এই আইনের কথা বিলাতে পৌছাইতে দেরি হইল না । সেখানে কোর্ট-অব-ডিরেক্টরস' c#*ttảh& aề asz5ĩỡ#! #ìfs ( salt monopoly ) ময়ুর না করিয়া, তাহা তুলিয়া দিবীর জন্ত কড়া হুকুম জারি করিলেন। কিন্তু অত দূর হইতে র্তাহারা কি করিকেন, ক্লাইভ, ও কলিকাতা-কাউন্সিলের সভ্যগণ ইহা সত্ত্বেও ট্রেডিং এসোসিয়েশুন বা একটি বণিক-সভা স্থাপন করিলেন । র্তfহfর নিয়ম করিলেন যে প্রতি লবণ কারখানার মালিককে এই এসোসিয়েশনের নিকট সৰ্ব্বপ্রথম শত মণ পিছু ৭৫২ টাকায় বিক্রয় করিতে হইবে, এবং এসোসিয়েশন সেই লবৎ দেশীয় মহাজনদের পাঁচ শত টীকায় শতকরা মণ বিক্রয় করি বন অর্থাৎ মহাজনর এই জমিদারগণের নিকট হইতে সাক্ষাৎভাবে লবণ কিনিতে পাইবে না। ; এই কঠিন আইনের মৰ্ম্মে যে সমস্ত পরোয়ানা জমিদারবর্গের নিকট প্রেরিত হইয়াছিল তাহার একটি তুলিয়া দিলাম — “Be it undersood that a request has been made by the Government and the gentlemen of the Committee and Council to this purpose that until the contracts for salt of the said gentleman unsettled, no strio shall be made or got ready in any . District; that a gomasta he sent to attend on the said gentleman and having given a bond, he may then proceed to his business and make salt but till the bond be given to the Governor.........Without delay give your bond and settle your business and then proceed to the making of salt. In case of delay it will be for yonr good. এই কঠিন চুক্তিতে আবদ্ধ করিয়া ঈষ্ট ইণ্ডিয়া † মন্দকুমায়-চণ্ডীচরণ সেন