পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩২ গৌরবত্র মলিন করিতে ইহার গৃহস্বামী যে অত্যন্ত কুষ্ঠিত সে-কথা কাৰ্ণিশে শোভমান বট-অশ্বখ-শিশুর পীনে চাহিলেই বুঝিতে পারা যায়। গঙ্গার দিকের খালি বারানায় বহু পারবিত্ত বাসা বাধিয়া বিশ্রম্ভtলাপে মন্ত্র ঃ তাঁহাদের পালকে ও পুরীষে রেলিঙ প্রভৃতি বিচিত্র বর্ণ ধারণ করিয়াছে। একটা ময়না পার্থীও খাচার মধ্যে দুলিতেছে । ঘরগুলির হারে চিক্‌ ফেলা । ফটকে দারোয়ান টুলের উপর বসিয়া থৈনি টিপিতেছে। বাবুর কথা জিজ্ঞাসা করিতে প্রথমটা সে গ্রাহই করিল না, পরে কলিকাতার নাম করিতেই মহাব্যস্ত হইয়া বৈঠকখানার দুয়ার খুলিয়া আমাকে সমাদর করিয়া বসাইল । বুঝিলাম, জীবনী-লেখকের আগমন-সংবাদ এখানে যথাসময়ে পৌঁছিয়াছে । বসিয়া আছি ত বসিয়াই আছি । চুয়ারে একখানা ভাল ফিটন আসিয়া দাড়াইল । ঘরের মধ্যে দামী ক’খানা অয়েল-পেন্টিং বহুক্ষণ দেথা শেষ হইয়া গিয়াছে, ক্লক ঘড়িটার পেণ্ডুলামের শব্দ একঘেয়ে লাগিতেছে। বড় একটা টিকটিকি উডতীয়মান একটা পতঙ্গের পানে বহুক্ষণ ধরিয়া লোলুপদৃষ্টিতে চাহিয়া আছে ; পতঙ্গটি কিছু চঞ্চল, কয়েক সেকেও মাত্র একস্থানে বসিয়াই আবার উড়িতেছে । টিকটিকির উজ্জ্বল চোখে আশার আলো তখনও প্রখর ; সে জানে তার শিকারের শ্রাস্তির সুযোগে এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফল মিলিবে । রবার্ট ব্রুস মাকড়সার উদ্যমে মোহিত হইয়া ভগ্ন-মনে বলসঞ্চার করিয়াছিলেন, আমিও টিকৃটিকির ধৈৰ্য্যে কিছু শিক্ষালাভ করিয়া প্রতীক্ষার মুহূৰ্ত্ত গুণিতেছি। পতঙ্গটার শ্রাস্তি আসিতে-না-আলিতেই আমার প্রতীক্ষণ সফল হইল । সম্মুখে ধtহাকে দেখিলাম, তিনি জীবনী-লেখকের তপস্তার বস্ত বটে। পরণে গরদের ধুতি ; গায়ে কলির মুক্তি-মন্ত্র-সম্বলিত গরদের নামাবলী, গলার সোনা দিয়া বাধানে তুলসীর মালা, নালিকায় তিলক, কিন্তু আর বেশী ক্ষণ জামায় এ সব দেখিতে হইল না। স্পষ্ট দিবালোকে জাগিয়া যে লোকে এমন দুঃস্বপ্ন দেখিতে পারে এ কথা কাহাকে বলিব ? আমার কপালে ঘর্শ্ববিন্দু দেখিয়া তিনি ঈষৎ হাসিলেন । হাপিটি বৈষ্ণবজনোচিত এবং আশ্চৰ্য্য, কঠোর কোমলতাও ষে কোন মিষ্ট স্বরকে আয়ত্ত করিতে পারে । প্রবাসী ১N©Gই তেমনই মিষ্ট স্বরে বলিলেন, বড় আশ্চর্য্য হয়েছেন, নয় ? একটা গল্প শুনুন । নারদ ঋষি একদিন পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন হরিনাম গান করতে করতে । যেতে যেতে দেখলেন, পথের পাশে একটা গোখরো সাপ ফণী জ্বলিয়ে ফেসি-ফেসি করছে। সাপের হিংসা-প্রবৃত্তি দেখে তিনি বড় ব্যথা পেলেন। বললেন—ওরে অবোধ, তুই শুধু শুধু লোকের হিংসা ক’রে মরিস কেন ? হিংসে ছাড়–মুখে শাস্তিতে থাকবি। মুনির কথা শুনে সাপ ফণা নামালে এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলে অfর কাউকে কামড়াবে না-••বছর খানেক পরে আবার নারদ মুনি সেই পথ দিয়ে যেতে যেতে দেখলেন, সেইখানে রুগ্ন অথৰ্ব্ব সাপটা পড়ে পড়ে ধুকছে । মুনির দয়া হ’ল । জিজ্ঞাসা করলেন তোর এ দশা কেন ? সাপ কেঁদে বললে—আর ঠাকুর তোমার কথা শুনে হিংসে ছেড়েই আমার এই দুৰ্গতি । ওই ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলো পৰ্য্যস্ত ঢ়িল মেরে মেরে আমার এমন দশ করেছে। মুনি হেসে বললেন—দূর বোকা । আমি তোকে কামড়াতেই নিষেধ করেছি, কিন্তু ফোস-ফোস করতে কি বারণ করেছি ? কেউ কাছে এলেই ফেঁস-ফোস করধি । মুনির উপদেশ গুনে সাপট বেঁচে গেল। বলিয়া একটু হাসিলেন । পরে আমায় সম্বোধন করিয়া বলিলেন–কিছু মনে করবেন না । ট্রেনে জমিদারী চাল না দেখালে দেখলেন ত বজ্জীত প্রজ, ওদের হাড়ে হাড়ে বজ্জাতি । রাজ্যশাসনে যেমন সব গুণ দরকার, তেমনই মনটাকে শুধু; ভগবানের চরণে ফেলে রাখলে চলে না, রাজসিকতার প্রয়োজন। ওই দেখুন, বিবেকানন ব'লে গেছেন— বলিয়া এক মিনিট চিস্তা করিয়া সেই সুবিধাজনক বাণীটি পারণ করিতে না পারিয়াই সহঃখে বলিলেন—বয়েস হয়েছে, স্মৃতিও দুৰ্ব্বল । আচ্ছা, আপনার ধারা, কবি,—তারা কবিতার বেলায় কত দরদই না ঢেলে দেন। কত লোকহিতৈষশা—কত ভ্ৰাতৃপ্ৰেম—কত সাৰ্ব্বজনীনতার মহোৎসব, क्ढि गठिा क'cब्र यतून उ, भइज cनथरङ त्रिtब्र कबिठांद्र ছন মিলিয়ে সেগুলি ছত্ৰে ছত্রে অনুসরণ করেন কি ? উত্তর না পাইয়া হঠাৎ ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন—বাই বলুন, a यां*नांब्र पछांग्रेौ अछांद्र ! जांमि थांकरड ॐrणन कि नाँ