পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানভূম জেলায় সাহিত্য-সেবা ও গবেষণার উপাদান ঐশরৎ চন্দ্র রায়, রাচী ছোটনাগপুরের অস্তান্ত জেলার স্তায় মানভূম জেলাতেও প্রত্নতত্ব, ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, লোকসাহিত্য (folklore) প্রভৃতি সম্বন্ধে গবেষণার প্রচুর উপাদান সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত আছে। কেবল আহরণকারীর অভাবে তাহার অধিকাংশ অনাদৃত ও অস্পৃষ্ট অবস্থায় পড়িয়া আছে, এবং কতক কতক লয়প্রাপ্ত হইয়াছে ও হইতেছে । এ-যাবৎ আহরণের যাহা কিছু চেষ্টা হইয়াছে তfহা প্রায় সমস্তই সরকারী ও বেসরকারী অনুসন্ধিৎস্ব বিদেশীয় পণ্ডিতদের প্রসাদে । এটা অfমাদের পক্ষে নিতস্তিই লজ্জার কথা । আর বিদেশী পণ্ডিতদের দ্বারাও টুেকু তথ্য এ-পর্যন্ত সংগৃহীত গুইয়াছে তাহারও পরিমাণ অকিঞ্চিৎকর । এ-পর্য্যস্ত কতটুকু তথ্য অ'থত হইয়াছে তাহার এবং কতশত গুণ বেশী তথ্য সংগ্ৰহ করিতে বাকী আছে, এই অভিভাষণে এ-সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আভাস দিব । প্রথমে, প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতত্বের কথা । বয়ঃক্রম-হিসাবে ছোটনাগপুর ভারতের মধ্যে একটি প্রাচীনতম প্রদেশ । সুতরাং এখানে পুরাতন প্রস্তর-যুগ হইতে মানুষের বসবাস ছিল এরূপ অনুমান করা যুক্তিসঙ্গত। শুধু অনুমান নয়, ইহার যৎসামান্ত প্রমাণও পাওয়া গিয়াছে । আক্ষেপের বিষয়, এ-সম্বন্ধে. এখানে এখনও কোনও অনুসন্ধান হয় নাই। মানব-সভ্যতার প্রস্তর-যুগের ও তাম্র-যুগের যাহা কিছু সামান্ত নিদর্শন এ জেলায় পাওয়া গিয়াছে তাহা দেবপ্রসাদাৎ এবং ভহিীও বিদেশীয় পণ্ডিতদেরই মারফৎ ঘটিয়াছে । ভারতীয় ভূতত্ত্ববিভাগের তদানীন্তন সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট, ভ্যালেন্টাইন বল সাহেৰ ১৮৬৫ খ্ৰীষ্টাৰে এই জেলায় ভ্রমণকালে গোবিন্দপুরের এগার মাইল দূরে কুনকুনে গ্রামে পুরাতন প্রস্তর-যুগের একখানা ঈষৎ সবুজ রঙের আভাযুক্ত Quartsite প্রস্তরের কুঠার-ফলক পাইয়াছিলেন । ঐ সনের এশিয়াটিক সোসাইটির কার্য্যবিবরণীর ১২৭-১২৮ পৃষ্ঠায় উহার ছবি প্রকাশিত হইয়াছিল। বল সাহেব Röfoto Jungle Life of India ato asto পঞ্চম প্লেটেও ঐ ছবি দিয়াছেন । পরে তিনি এই জেলার গোপীনাথপুরে আর একথান নুতন প্রস্তরযুগের অস্ত্র পান। খ্ৰীষ্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটির কার্য্যবিবরণীর ১৪৩ পৃষ্ঠায় ইহার বিরবণ আছে। ডেভেরিয়া (J. Deveria) সাহেব এই জেলার বরাভূম পরগণার ধাদকার নিকট দেওঘ গ্রামে নুতন প্রস্তর-সুগের লাইমষ্টোন পাথরের একখান; অস্ত্র পাইয়াছিলেন। সেটি এখন কলিকাতার ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামে রাখা আছে। কগীন ব্রাউন (Coggin Brown ) vitzvaz e fos Catalogue of Prehistoric Antiquities in the In, lian fuseum also পুস্তকের সপ্তম প্লেটে উহার চিত্র দেওয়া হইয়াছে। এই জেলার প্রাপ্ত প্রস্তরযুগের অস্ত্র সম্বন্ধে ছাপা গ্রন্থে আর কোনও তথ্য পাওয়া যায় না । তবে আমার বিশ্বাস, গ্রামে গ্রামে অনুসন্ধান করিলে কোন-কেনি চাষীর ঘরে এরূপ অস্ত্র কিছু কিছু পাওয়া যাইতে পারে। ক্ষেত্র কর্ষণ করিতে করিতে, বা বৃষ্টিতে মাটি ধুইয়া গিয়া কখনও কখনও প্রস্তরযুগের এক-আধখানা অস্ত্র দৈবাৎ দৃষ্টিগোচর হয় ; এবং ক্ষেত্রস্বামী বা অপর কেহ ঐক্কপ প্রস্তরকে “বজ্র-প্রস্তর” >bs午 মনে করিয়া যত্বে রক্ষা করে এবং মাথাধরা, বাত প্রভৃতি পীড়ায় আরোগ্যলাভের আশায় ঐ পাথর জলে ঘসিয়া তাহার প্রলেপ দেয়। এইরূপে প্রাপ্ত প্রস্তরাস্ত্রের স্বত্র অবলম্বন कब्रिड्रा बनि ८कश् खेशांब्र «थांख्रिशcनब्र निकछवर्डौं हां८म যথারীতি খননাদি দ্বারা অনুসন্ধান করেন তাহা হইলে হয়ত ভাগ্যক্রমে অনেক প্রস্তরাস্ত্র উদ্ধার করিতে পারেন । আমি এইরূপ স্বত্র ধরিয়া রণচী জেলায় প্রস্তর-যুগের অনেক অস্ত্র পাইয়াছি৭ এরূপ দুই শত অস্ত্র পাটনার যাদুঘরে দিয়াছি। ইহা ছাড়া রাচী জেলার তাম্র-যুগের অস্ত্রাদিও কিছু উদ্ধার করিতে পারিয়াছি ।