পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢¢३. প্রবাসী >Nご8ー যুবরাজ প্রাতঃকৃত্য সমাপন করিয়া বহুক্ষণ পৰ্য্যস্ত উদ্যানে পাদচারণা করিলেন। প্রাসাদের দাসদাসীরা ভাবিল, বুঝি আসন্ন বিবাহের প্রতীক্ষায় যুবরাজ উন্মনা হইয়া পড়িয়ছে। বুঝি মদ্ররাজ-দুহিত। সুভদ্রার চিস্তায় র্তাহার চিত্ত আকুল | কিন্তু যুবরাজ চিন্তাকুলচিত্তে ভাবিতেছিলেন, দূত কি যথাসময়ে মদ্রদেশে পৌছিবে ? তাহার ছদ্মনামে ছদ্মবেশে কি মদ্ররাজ ভুলিবেন ? রোহিতাশ্ব অভিনেতা, এটুকু অভিনয় ঠিকভাবে করিতে পরিবে না ? মদ্ররাজ কি নিজের দূত পঠাইবেন ? তাহা হইলে ধৰ্ম্মরাজ সমস্ত রঙ্কস্ত ভেদ করিয়া ফেলিবেন এবং পরিণাম অতি কঠোর হইবে। কেননা তিনি বৌদ্ধ গুইলেও ক্ষম কহিকে বলে কোনও দিন জানেন না –কিন্তু দূতমুখে যে-বাৰ্ত্তা প্রেরিত হইয়াছে তাহার পর কোনও আত্মমর্য্যাদাসম্পন্ন নৃপতি পুনরায় বাক্বিনিময় করিবে না। দূতমুখে ধৰ্ম্মরাজ জানাইয়াছেন, যুবরাজ প্রসেনজিৎ মদ্ররাজকন্ত। সুভদ্রাকে যুবরাণী করিতে অসম্মত । যদি ಇ೯೫೩ಳ <P引化卒 প্রধান মহিষী করিবার অভিলাষ ত্যাগ করেন তবে বর্ষস্তে প্রসেনজিতের সঙ্গে ভঁtহfর বিবাহ হইতে পরিবে । রোহিতাশ্ব রাজদূতের মত ঠিক ঠিক সে সন্দেশ প্রদান করিতে পাfরবে তো ? হয়ত মদ্ররাজ তাঁহা শ্রবণ করিয়া ফুদ্ধ হইবেন ; তবে দূত অবধা, রোহিতাশ্ব অক্ষত-দেহে প্রত্যাবর্তন করিতে পরিবে । দিন যতই বাড়িতে লাগিল, যুবরাজের চিত্তচাঞ্চল্যও বাড়িয়া চলিল। যুবরাজ উদ্যান ত্যাগ করিয়া সারথী রাহুলকে ডাকিলেন এবং চতুরস্ব-সম্বলিত রথে আরোহণ করিয়া তিনবীর নগর অতিক্রম করিলেন । কিন্তু আজ নগরের বিচিত্র দুগু যুবরাজের চিত্ত আকর্ষণ করিল না । শ্রেষ্ঠ শ্রাবক এক শত গোশকট লইয়া বাণিজ্যার্থ মুদূর গান্ধীর ধাত্রা করিতেছে । শত শত তৃত্যের েৈকানও শকটে শাল্য, ভল্ল, তরবার প্রভৃতি যুদ্ধাস্ত্র, কোনটাতে পরিধেয় বস্ত্র ও শয্যাদি, এবং কোনটাতে আহাৰ্য্য ও পানীয় রাখিতেছে ; অপর শকটগুলি নানাবিধ পণ্যদ্রব্যে পূর্ণ করিতেছে । শ্রাবক বহুমুল্য বসন-ভুষণে সজ্জিত হইয়৷ সমস্ত পর্যবেক্ষণ করিতেছে, এবং সমাগত বন্ধুবর্গের বিদায় অভ্যর্থনা গ্রহণ করিতেছে । যুবরাজের রথ দেখিয়া শ্রাবক রাজপথে আলিয়া দাড়াইল, কিন্তু যুবরাজ সীরথীকে অন্ত পথে রথ চালিত করিবার আদেশ দিলেন, শ্রাবকের সাক্ষাৎকার করিলেন না । অপর পথে দেখা গেল খুবরাজের যৌবরাজ্যাভিষেকের জষ্ঠ আগত নানা দেশীয় রাজ প্রতিনিধি ও রাজদূতেরা হস্তিপৃষ্ঠে চড়িয়া নগর সন্মশন করিতেছে। প্রত্যেকের বিচিত্র পোষাক, বিচিত্র শিরস্ত্রাণ। প্রসেন এক জনের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া সারথীকে জিজ্ঞাসা করিল, “ঐ শ্বেতবসন পরিহিত, শ্বেত-উষ্ণৗধ-শোভিত লোকটি কোন, দেশীয় ? রাহুল বলিল, সে গৌড়রাজের প্রতিনিধি। প্রসেন কৌতুহল দমন করিয়া ব্লথ অন্ত পথে চালিত করিলেন । সে-পথে দেখিলেন, নানা বর্ণের ঝালর শোভিত এক রথে যুবরাঙ্গের বন্ধু মন্ত্রিপুত্র অনিরুদ্ধ চলিম্বtছেন, তাহার পার্থে উপবিষ্ট বিজয়-মালিকা। অনিরুদ্ধ রথ থামাইয়া প্রসেনজিৎকে অভিবাদন করিলেন, বিজয়-মালিক। নতfশরা হইল ; প্রসেন অভিবাদন গ্রহণ করিলেন, কিন্তু রথ থ'মাইলেন না । সহসা কি কারণে র্তাহার চিত্ত অধীর হইয়া উঠিল । সমস্ত সঙ্কোচের বাধ ভাঙিয়া সারথীকে বলিলেন, “মীনার গৃহে চল ।” মীনা কে ? সারথী জানে না । যুবরাজ অবাক । মীন অভিনেত্ৰী । নাট্যসমাজে তো তার কোনও নাম নেই! মীনার খোঁজের জন্ত এক জন রথভূত, অনিরুদ্ধের রথের পশ্চাতে ছুটিল । সে বিজয়-মালিকার নিকট হইতে মীনার বাসস্থানের সন্ধান আনিল । যুবরাঞ্জের রথ সেদিকে চলিল । কি অপূৰ্ব্ব মীনার আবাস-ভবনটি ! সম্মুখে কালে পাথরের মন্থণ চারিটি স্তম্ভ। প্রত্যেক স্তম্ভের মাথায় ও নীচে পাথরে-কাটা এক-একটি শতদলপদ্ম । স্তম্ভের মধ্যভাগে সমস্তেরাল-রেখা, তাহার মাঝখানে একটা করিয়া অৰ্দ্ধক্ষুট পদ্ম । স্তম্ভের পর ছোট একটা বfরানা, বারান্দার