পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ লোকসংখ্য অনুসারে প্রতিনিধির সংখ্যা নির্দিষ্ট হয় নাই । যে-যে প্রদেশে মুসলমানের সংখ্যালঘু সেই সেই প্রত্যেক স্থানেই তাহারা সংখ্যfনুসারে প্রাপ্য প্রতিনিধি অপেক্ষ বেশী প্রতিনিধি পাইয়াছেন, এবং এই অতিরিক্ত সংখ্যা হিন্দুদিগকে ক্টাহীদের প্রাপ্য সংখ্যা হইতে কিছু বঞ্চিত করিয়া দেওয়া হষ্টয়াছে । এই সমস্ত প্রদেশে বহু কোটি হিন্দুর বাস। মাত্র কয়েক লক্ষ লোকের বসতি সিন্ধু ও উত্তরপশ্চিম সীমাস্ত এদেশে হিন্দুদিগের প্রাপ্য প্রতিনিধি অপেক্ষ সামান্ত কিছু বেশী প্রতিনিধি দেওয়া হইয়াছে। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জষ্ঠ আলি'দা আলাদা প্রতিনিfথসংখ্যা বণ্টন হিন্দুরা চীন নাই। কিন্তু বাটোয়ারীতে যখন তাহাই করা হইয়াছে, তখন হিন্দুদের ইহা চাহিবার অধিকার আছে, যে, সকল প্রদেশেই প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোকসংখ্যা অনুসারে তঁহাদের প্রতিনিধির সংখ্যা নিদিষ্ট হউক । হিন্দুদিগকে বঞ্চিত করিয়া ণে অন্তfয় ও অপমান করা হইয়াছে, তাহা চিরস্থায়ী হউক, ইহা চfওয়া কাহারও উচিত নহে—চাহিবার অধিকার কাহারও নাই । স্বাধীনতায় যাহা হয় অনুগ্রহে তাহা হয় না ভারতবর্ষে যে-সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভারতীয় মহাজffতর স্বাধীনতা ন-চাহিয়া কেবল চাকরীর ভাগ ও অন্ত স্বার্থসিদ্ধি চাহিতেছেন, তাহাদিগকে আগে আগে জানাইয়াছি আবার জানাইতেছি, যে, স্বাধীন সভ্য দেশগুলির মধ্যে যেগুলি অনগ্রসর, শিক্ষায় ও ধনশালিতায় তাহদের অধিবাসীদের সহিতও ভারতবর্ষের লোকদের তুলনা হয় না—ভারতবর্ষ বহু পশ্চাতে পড়িয়া আছে । প্রমাণ দিতেছি । ভূতপূৰ্ব্ব ভারতসচিব মণ্টেগু ও ভূতপূৰ্ব্ব বড়লাট চেম্সফোর্ডের স্বাক্ষরিত মণ্টেগু-চেম্সফোর্ড রিপোর্টে আছে, “The immense masses of the people are poor, ignorant, and helpless far beyond the standard of Europe,” “ভারতবর্ষের বিশাল জনসমষ্টি ইয়োরোপের মানের সহিত তুলনার অতীত রূপে দরিদ্র, অজ্ঞ ও অসহায় ।" জয়েন্ট সিলেক্ট কমীটির রিপোর্টে আছে, “The average standard of living is low and can بيلا حمص وان aه বিবিধ প্রসঙ্গ—স্বাধীনতায় যাহা হয় অনুগ্রহে তাহা হয় না dsళి scarcely be compared with that of the more backward countries of Europe,” “sfäCNBA লোকদের অল্পবস্ত্রবাদ-গৃহাদি গড়ে অত্যন্ত নিকৃষ্ট এবং ইয়োরোপের অনগ্রসর দেশগুলিরও ঐ সমুদ্বয়ের সহিত তুলনা করা যায় না।” এখন দেথাইতেছি, যে, আমেরিকায় যাহাদের উপর এখনও এরূপ ভীষণ অত্যাচার হয়, যে, তাহীদের কাহাকেও কাহাকেও কথন কখন জীবিত অবস্থায়, বিনা বিচারে, সন্দেহ বশতঃ, পুড়াইয়া মারা হয়, সেই কৃষ্ণকায় নিগ্রেীদের অবস্থা ভারতবর্ষের উন্নততম জা’তের চেয়ে ও শিক্ষা বিষয়ে শ্ৰেষ্ঠ । এই নিগ্রেীরা আফ্রিকার অপভ্য মাদিম অধিবাসী । স্বদেশে তাহদের সাহিত্য, এমন কি বর্ণমালfও ছিল না । তাহাদিগকে আফ্রিকা হইতে ধরিয়া আনিয়া আমেরিকায় দাস ( slave ) রূপে খাটনি হইত। ১৮৬৫ সালে তাঁহাদের দাসত্বমোচনের সময় পর্যস্ত আমেরিকার অনেক রাষ্ট্রে এইরূপ আইন ছিল, যে, কেহ নিগ্রোদিগকে লেখাপড়া শিখাইলে তাহার কারাদণ্ড, অর্থদও, বেত্রীধাত-দণ্ড হইতে পারিত। নিগ্রেীরা লেখাপড়া শিখিলে তাহাদের জঙ্গও এইরূপ দণ্ডের ব্যবস্থা ছিল । দাসত্ব হইতে মুক্ত হইবার পর তাঁহাদের উপর অত্যাচার সত্ত্বেও এই অসভ্যজাতীয় লোকদের কিরূপ উন্নতি হইয়াছে শুনুন । ১৯৩৪ সালে আমেরিকার যে সেন্সল লওয়া হয় তদনুসারে নিগ্রেীদের মধ্যে শতকরা ৮৪ জন লিখিতে পড়িতে পারে । স্বাধীন দেশের সুযোগ ও স্থব্যবস্থায় ৬৫ বৎসরে অসভ্য নিগ্রোদের এই উন্নতি হইয়াছে । আর সভ্য ভারতবর্ষে বহু সহস্ৰ বৎসরের পুরাতন বর্ণমালা ও সাহিত্য থাকা সত্বেও, স্বাধীনতার অভাবে, শতকরা ৯২ জন লিখিতে পড়িতে পারে না, এবং হিন্দুদের মধ্যে কোন জাতির, কিংবা পাপী বা দেশ ইষ্টয়ান কোন সম্প্রদায়ের মধ্যেই শতকরা ৮৪ জন লিখিতে পড়িতে পারে না। নিগ্রেীদের নিজেদের অনেক স্কুল কলেজ আছে, বিশ্ববিদ্যালয় আছে, জগদ্বিখ্যাত নেতা আছে, প্রসিদ্ধ লেখক আছে ঃ সঙ্গীতে তাহারা অগ্রসর। আবার ব্যাঙ্ক প্রভূতি বহু ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠানও তাঁহীদের আছে । অনুগ্রহ ভারতবর্ষের কোন সম্প্রদায় বা জাতিকে স্বাধীন আমেরিকার লাঞ্ছিত নিগ্রেীদের সমান শিক্ষিত ও আর্থিক