পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ বিবিধ প্রসঙ্গ— লাহোরে শহীদগঞ্জের শিখ-মুসলমান সংঘর্ষ

পুলিস এবং সিপাহী ও গোরা আমদানী করিয়া মোতায়েন রাখায় অবস্থাটা এখন ঠাণ্ড আছে । তাহ মুসংবাদ । পঞ্জীব গবন্মেণ্ট এই উপলক্ষ্যে যে-সব কথ। বলিয়াছেন তাহা অদ্ভুত এবং অশুভ ফল স্বচনা করে। র্তাহারা এই মৰ্ম্মেৰ কথা বলেন, যে, গুরুদ্বারার সবটিতে শিখদের আইনানুযায়ী অধিকার আছে বটে, কিন্তু তাহার এক অংশ গfঙয়া ফেলিয়া মুসলমানদের ধৰ্ম্মবিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার এবং ভবিষ্যতে ত’হ হইতে কোন কুফল ফলিলে তাহার Rafe's otfig ( moral responsibility) softwa যাহারা শিখদের আইনসঙ্গত অধিকারে বাধা দিতে চঙিয়াছিল তাহারা অশাস্তির জন্ত মোটেই দায়ী নহে { কোন ইমারতের উপর আইনসঙ্গত অধিকার অধিকারই নহে, যদি অধিকারী তাহা ইচ্ছামত দান বিক্ৰী পরিবর্তন করিতে না-পারে, যদি তাহ সম্পূর্ণ বা অংশতঃ ভাঙিতে না-পরে, যদি তাহাতে নুতন কিছু যোগ করিতে না-পারে, বা একেবারে ভঙিয়া ফেলিয়া তাহীর স্থানে অন্ত ইমারত নিৰ্ম্মাণ করিতে না-পারে । সুতরাং, পঞ্জাব গবন্মেণ্ট আইনসঙ্গত অধিকারের সঙ্গে একটা “নৈতিক” সৰ্ব্ব জুড়িয়া দিয়া আস্তায় করিয়াছেন । শিখর পঞ্জৰে --রেজ রাজত্ব আরম্ভ হইবার বহু পূৰ্ব্ব হইত এই গুরুদ্বারটির অধিকারী আছে ।* সুতরাং শিখদের ইহা ভাঙিবার বা ইহার সম্বন্ধে অল্প কিছু করিবার অধিকfয় আছে । ইহা এক সময়ে মসজিদ থাকিলেও দেড় শত বৎসরের উপর সেভাবে ব্যবহৃত হয় নাই। মুসলমানদের পক্ষে জন্তু-বিশেদের মাংস অপবিত্র ও নিষিদ্ধ। শিখদের পক্ষে কিন্তু তাহা শুগণ বৈধ । এই শহীদগঞ্জ গুরুদ্ধারার কোথাও শিখরা শতffধক বৎসরের মধ্যে এই জন্তু বা তাহার রক্তমাংস শfস্থ আনে নাই, বল অসম্ভব । নানা দিক্ দিয়া বিবেচনা করিলে ইহার এককালীন-মসজিদত্ব নষ্ট হইয়া গিয়া,ছ । মৃতরাং ইহার সম্পর্কে সংঘর্ষের জন্ত দায়ী সেই মুসলমানের

  • পঞ্জাব হাইকোর্টের রায়ে আছে :"The history of the institution is given at length in the judgment of the learned President. and also in Ext: 0.59, a report prepared in July 1883 by Syed Alam Shah, Extra Asfistant ('ommissioner, who mentions the traditional history. The place "ommemorates Bhai Taru Singh, who, with other Sikhs, was executed by the Mohammedan Governor of Lahore in 1746. He was considered a martyr and hence the name Shahid Ganj. It is clear that a building, which had previously been a mosque, was icized by the Sikhs when the Bhangi confederacy attained power, and Maharaja Ranjit Singh took a great interest in this Gurdwara.”

१ांश्fब्र' १िश्रद्वि बि" उtश्t्त्रब्र एहॆिनtन्रणtद्ब्र चक्षिङ्ङ সম্পত্তির ব্যবহারে বাধা দিতে গিয়াছিল এবং পুলিসের লাঠির দ্বারা তাড়িত হইয়াছিল। পঞ্চাব গবন্মেণ্ট হাঙ্গামার “নৈতিক দায়িত্ব” শিখদের ঘাড়ে না চাপাইয়া ঐ মুসলমানদের ঘাড়ে চাপাইলেই তাহ সঙ্গত ও সমীচীন হইত। ইfতহাসে যদি ইহা দেখা যাইত, যে, কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোক অন্ত সম্প্রদায়ের লোকদের উপর উপদ্রব করে নাই ও করিতেছে না, কেহ কাহারও ধৰ্ম্মমন্দির দখল, নষ্ট, অপবিত্র করে নাই বা করে না, তাহা হইলে তাহ মানব জাতির পক্ষ কল্যাণকর হহত ও গৌরবের fকায় হইত। কিন্তু ইতিহাস এই প্রকার উদারতীয় উজ্জ্বল না হইয়া তাহার বিপরীত আচরণে কলঙ্কিত। এই কলঙ্ক হইতে মুসলমান সম্প্রদায় যদি মুক্ত পাfকত, যদি তাহারা কখনও অন্ত কোন সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মমন্দিরে হস্তক্ষেপ, তাহ ধবংস, তহি! আধিকার, বা তাহার উপকরণ মসজিদ আদি নিৰ্ম্মাণে ব্যবহার না-করিত, তাঙ্গ হইলে এ-বিষয়ে অপরকে উপদেশ দিবীর অধিকার তাহীদের থাকিত । কিন্তু কুঃখের বিময় সে অধিকার তাহীদের নাই । অন্ত কোন সম্প্রদায়ের অাছে কি নাই, তাঁহ এপানে বিবেচ্য নহে । কয়েক শতাব্দী ধরিয়া যাহ: ইয়েরোপে তুরস্কের রাজধানী ছিল সেই ইস্তম্বুল ( কুন্সটান্টিনোপলে ) সেন্ট সোফিয়ার গির্জা মুসলমানদের দ্বারা মসজিদে পরিবৰ্ত্তিত হয় । এপন যদি খ্ৰীষ্টীয়ানের। তাহ তাহাদের সাবেক গির্জা ছিল বলিয়া তুর্কদের তাহার যথেচ্ছ ব্যবহারে বাধা দিতে চায় বা আপত্তি করে, তাহা হইলে তাহ “নৈতিক” ওজুহাতে কোন নিরপেক্ষ লোকের সমর্থনযোগ্য হইবে না । বহুপূৰ্ব্বে হিন্দুদের যে-সব মন্দির অষ্ঠেরা ভাঙিয়াছে বা অল্প কাজে লাগাইয়াছে তাহ লষ্টয়া এখন হিন্দুরা ঝগড়া বাধাইলে তাঁহার “নৈতিক দায়িত্ব’ হিন্দুদের হইবে, অহিন্দু অধিকারীদের হইবে না । হিন্দুদের কোন গোরুর উপর যদি মুসলমানদের আইনসঙ্গত অধিকার কোন প্রকাৱে জন্মিয় থাকে, তাহা হইলে হিন্দুরা এ-দাবি করিতে পারে না, যে, মুসলমানরা গোরুটির কেবল ঠিক সেই রূপ ব্যবহার করিবে যেমন হিন্দুর। গোরুর প্রতি করা উচিত বলিয়া পাকে । হিন্দুদের কোন ভূতপূৰ্ব্ব মন্দির বা তাহার fভটা কোন প্রকারে অহিন্দুদের আইনসঙ্গত অধিকারে খাকিলে যেমন হিন্দুর তাহার ব্যবহারের সম্পর্কে হিন্দুজনোচিত ব্যবহারের সর্ত বা দাবি করিতে পারে না, সেইরূপ মুসলমানদের কোন ভুতপুৰ্ব্ব মসজিদও আদি অমুসলমানদের আইনসঙ্গত অধিকারে থাকে, তাহা হইলে মুসলমানদেরও ইহা বলিবর অধিকার নাই, যে, সেই ইমারতটি মুসলমানদের হাতে থাকিলে তাহার। তৎসম্বন্ধে