পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S〉8 প্রৰণসী SN98S গুড় Α Μ • জন্মিয়াছে এইরূপ গাভী চারিটি রহিয়াছে, এই গাভীগুলিও : %o উৎকৃষ্ট হুইয়াছে এবং ছয়-সাত সের হিসাবে দুধ দিতেছে। গন্ধক-গুড়া ২১ তোলা ইহাও দেখা গিয়াছে যে কিনিবার সময় গাভীটি ইহা ছাড়া ছোট করিয়া কাটা বিচালী আট-নয় সের অথবা কঁচি ঘাস কুড়ি-পঁচিশ সের অথবা অনুপাত অনুযায়ী দুই-ই মিলাইয়া খাওয়ানো হয়। খাদ্য-প্রস্তুতপ্রণালী এইরূপ—পৃথক পৃথক পাত্রে খইল ও চুনী পাঁচ-ছয় ঘণ্টা ভিজাইয়া রাখা হয়। কাটা বিচালী এবং ঘাসের সহিত খইলের জল ভালরূপে মিলাইয়া উহাতে ভিজানো চুনী, শুকনা ভূষি ও লবণ বেশ ভাল করিয়া মিলাইয়া পরিষ্কার পাত্রে অথবা সিমেন্ট করিয়া বঁtধীনে টবে গরুকে থাইতে দেওয়া হয় । গন্ধক গুড়ের সহিত মিশাইয়া পাওয়ানো হয় । জলের সহিত ছাতু ও গুড় দিয়া সরবতের মত করিয়া পানীয় হিসাবে খাওয়ানো হয়, তাহা ছাড়া প্রচুর জল থাইতে দেওয়া হয় । গোশালায় গরুর খাদ্যপাত্রের নিকট প্রত্যেক গরুর জন্তই একটি করিয়া জলপূর্ণ টব অtছে ধtহাতে গরু ইচ্ছামত জল পান করিতে পারে। ইহা ছাড়া গোশালার প্রাঙ্গণে সৈন্ধব লবণের বড় বড় চাকা রাখা আছে, গরু ইচ্ছামত কুন চটিয়া লইতে পারে । গাভীর দুধ কমার সঙ্গে সঙ্গে এই খাদ্যের পরিমাণও সেই অনুপাতে কমাইতে হয় । কঁাচ গিনি ঘাস অধিক পরিমাণে খাইয়া হজম করিতে পারিলে গরুর দুধ বেশী হয়, স্বাস্থ্যও ভাল থাকে । রেবা নামক গাভীটি তাহার তৃতীয় বিয়ানের সময় কখনও কখনও দৈনিক এক মণ পৰ্য্যস্ত কঁাচা ঘাস খাইয়াছে, এবং চোদ্দ সের পর্য্যস্ত জুধ দিয়াছে। বৰ্ত্তমান বৎসরে এই গাভীটির অষ্টম বিয়ান চলিতেছে। এই বৎসরও সে সাত-আট সের পধ্যস্ত দুধ দিয়াছে। গাভী সংগ্রহ : কলিকাতার বিভিন্ন গো-হাট হইতে আবগুক-মত গাভী কেনা হইয়া থাকে। গাভীগুলি দুগ্ধবতী অবস্থায় ক্রয় করা হয় । গাভী দৈনিক যত সের দুধ দেয়, সেই হিসাবে সাধারণতঃ ২০২ টাকা দরে গাভী কেনা হইয়াছে। বৰ্ত্তমান বৎসরে ষোল-সতের টাকা দরে দুইটি গাভী ক্রয় করা হইয়াছে, তাহা ছাড়া গোশালাতেই যে-পরিমাণ দুধ দিত, একমাত্র পরিচর্য্যার ফলে অল্পদিন মধ্যেই তদপেক্ষা অধিক দুধ দিতেছে। কোন-কোন স্থলে অবষ্ঠা ইহার সামান্ত ব্যতিক্রমও দেখা গিয়াছে । দুগ্ধ দোহন ও বিক্রয় ভেীর পাঁচটায় .এবং অপরাহ্ল চারিটায় দুই বার দোহন করা হয়। পরিষ্কার বালতিতে দোহন করিয়া আবৃত পাত্রে ঢালিয়া রাখা হয়, পরে ওজন করিরা পত্রি সিল করিয়া বিক্রয়ার্থ পাঠান হয় । দোহনকারীর হস্ত ও নখের দিকে দৃষ্টি রাখা হয়। বাছুরকে তাহার শক্তি অনুযায়ী প্রচুর দুধ খাইতে দেওয়া হয়। কখনও কখনও বাছুরের চোপ হইতে জল গড়াইয়। দলের দাগ হয় । ইহা পুষ্টির অভাবের চিহ্ন। ছোট ছেলে-মেয়েরও ঐ রোগ দেখা যায়। প্রথমে জল পড়ে, পরে পুজ হয়, তাহার পর চক্ষু খারাপ হয় ও শেষে মৃত্যু হয় । সময়-মত পুষ্টিকর থাদ্য দিলে সহজেই রোগ উপশম হয় । আজকাল প্রতিদিন ৩৫-৩৬ সের দুধ গেtশাল হইতে পাওয়া যাইতেছে । গড়পড়তা সাধারণতঃ এইরূপই পাওয়া যায় । ইহার কতক অংশ খাদি প্রতিষ্ঠানের আশ্রমসংলগ্ন পাকশালায় খরচ হয়, বাকী দুধ কলিকতীয় গৃহে গৃহে পাঠাইয়া বিক্রয় করা হয় । খাদ্যসংগ্ৰহ গরুগুলির জন্ত ঘসি বিচালী যথাসম্ভব কল্যশালায় উৎপন্ন করিবার চেষ্টা চলিতেছে। কিছু, শাকসব্জী ছাড়া নয় বিঘা জমিতেই পশুখাদ্য বপন করা হইতেছে। ইহার মোটামুটি হিসাব দেওয়া হইল— গিনি ও নেপিয়ার স্বাস २३ त्रिष। জোরায়, ধান, গম ইত্যাদি 8 * * श्रीक>*खी ૨રૂ ”

  • विषां

শাকসঞ্জীর মধ্যে কিছু আশ্রমের পাকশালায় যায়, কিছু বিক্রয় হয় এবং কিছু গেfশালায় যায়। আভ্রমের পাকশালায়