পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগমণর দেখা লোক و چون \ マラty子 দাদাভাই নৌরোজী সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন । কাব্যবিশারদ মঙ্গাশয় অভ্যর্থনা-সমিতির সদস্য ছিলেন, সখীরাম বাৰু “হিতবাদী’র সম্পাদকের পাস এবং আমি রিপোর্টারের পাস লইয়া কংগ্রেসে গিয়াছিলাম । সেইখানে ভারতের The grand old man বর্ষীয়ান মহাপুরুষকে দেখিয়ছিলাম । ষ্ঠাহীর লিখিত অভিভাষণ উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করিয়াছিলেন মিঃ গোখলে। আমি মহামতি গোখলেকে তাহার পূৰ্ব্বে একবার প্রেসিডেন্সি কলেজে দেখিয়ছিলাম। প্রেসিডেন্সি কলেজ শেক্সপীয়ারের একথানা নাটক ছাত্রদের দ্বারা অভিনীত হইয়াছিল । আমার এক বন্ধু তখন প্রেসিডেন্সি কলেজে কাজ করিতেন । তিনি আমাকুে একথানা পাস দিয়াছিলেন । মিঃ গোধূলে সে সময় কলিকাতায় আসিয়াছিলেন । নিমস্থিত হইয়া তিনিও থিয়েটার দেখিতে আসিয়াছিলেন । তিনি সার পি, সি, রায়ের পাশ্বেই বসিয়াছিলেন । পশ্চিম-ভারতের আর এক জন মহাত্মাকে একবার মাত্র দর্শন করিবার সৌভাগ্য আমার হইয়াছিল । তিনি লোকমান্ত তিলক । সখীরাম বtধু লোকমান্ত তিলকের আদেশে কলিকাতায় শিবাজী-উৎসবের প্রবর্তন করেন, একথা আমি পূর্বেই বলিয়াছি । প্রথম বৎসরের উৎসব টাউন হলে হইয়াছিল। দ্বিতীয় বৎসর “পাস্তীর মাঠে” হইয়াছিল। লোকমান্ত বাল গঙ্গাধর তিলক সেই উৎসবে বোধ হয় সভাপতি হইয়াছিলেন । আমি সখারাম বাবুর সঙ্গে উৎসবক্ষেত্রে গিয়া মহামতি তিলককে দেখিয়াছিলাম । কংগ্রেসের অন্ততম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম কংগ্রেসের সভাপতি ডবলিউ. সি. বোনার্জি মহাশয়কেও আমি একবার মাত্র দেখিয়াছিলাম । সে দর্শন কোন সভাতে নহে—র্তাহার পার্ক ষ্ট্রীটের আবাসে । আমাদের সেই সময় হাইকোর্টে একটা মামলা হইতেছিল । আমার পিতা সেই মামল সম্বন্ধে পরামর্শ লইবার জন্ত ডবলিউ. সি. বোনার্জির খুল্লতাত রেভারেও শিবচন্দ্র যন্যোপাধ্যায়ের নিকট হইতে একথানা পরিচয়-পত্ৰ লইয়া تاحـسيد eعb ডবলিউ. সি. বোনার্জির নিকটে গিয়াছিলেন । বাবা এক জন বেহরো দ্বারা আগমন-সংবাদ পাঠাইলে বোনার্জি সাহেব কক্ষান্তর হইতে আমাদের কক্ষে আসিয়া বাৰাকে নমস্কার করিলেন । বাৰ মনে করিয়াছিলেন যে বোনার্জি সাহেৰ বোধ হয় সাহেবী কেতায় ‘গুড মর্ণিং বলিয়া সেলাম করিবেন এবং ইংরেজীতে কথা কহিবেন । কিন্তু বেনার্জি সাহেব পুরাদপ্তর দেশীয় প্রথায় করজোড়ে কপাল স্পর্শ করিয়া নমস্কার করিলেন এবং বাঙ্গালাতে কথা কহিয়াছিলেন । আমরা প্রায় এক ঘণ্টা তাহার কাছে ছিলাম, তন্মধ্যে আদালত-সংক্রান্ত দুই-একটা শব্দ ব্যতীত একটিও ইংরেজী শব্দ বলেন নাই । তাহার পোষাকটা কিন্তু সাহেবী ছিল—সাদা ফ্রানেলের পাণ্ট লান ও কামিজ । তিনি বাবার কাছে তাহার খুড়ার কুশল সংবাদ জিজ্ঞাসা করিয়া আমাদিগকে বিদায় দিলেন । আমরা চেয়ার ছাড়িয়া উঠিয়া দাড়াইলে তিনি আবার বাবাকে নমস্কার করিলেন, আমরাও প্রতিনমস্কার করিয়া চলিয়া আসিলাম । এখনকার বোধ হয় সতের-আঠার বৎসর পূৰ্ব্বে চুচুড়ায় বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন হইয়াছিল। সেই অধিবেশনে কুমিল্লার শ্ৰীযুক্ত অখিলচন্দ্র দত্ত সভাপতি হইয়াছিলেন । অখিল বাবুকে সভাপতির আসন প্রদানের প্রস্তাব করিয়াছিলেন যশোহরের সুপ্রসিদ্ধ নেতা রায় যদুনাথ মজুমদার বাহাত্র । তিনি ঐ প্রস্তাব উত্থাপনকালে বক্তৃতায় বলিয়াছিলেন— “ আমি কিছু দিন কলিকাতায় সংস্কৃত কলেজে মাষ্টারী করিয়াছিলাম। আমি সপ্তরে বাঙ্গাল, তাই কলিকাতায় একটা অকালপক ছাত্র এক দিন আমাকে প্রশ্ন করিল—sir.বাঙ্গাল কোন gender ? আমি তাহাকে *firmin—ztofon masculine gender, so feminine বাঙ্গালী ; তোমরা যtহাদিগকে বাঙ্গালী বল, তাহার' ত স্ত্রীলোক। যদি দেশে কেহ পুরুষমানুষ থাকে তবে সে বাঙ্গাল । আজ আমি এই সভাতে এক জন পুরুষের মত পুরুষকে সভাপতির আসন দিবার পস্তাব করিতেছি ।” “হিতবাদীর” ভূতপূৰ্ব্ব সম্পাদক পণ্ডিত চন্দ্রোদয় বিস্তাবিনোদ মহাশয় সংস্কৃত কলেজে যদুনাথ বাবুর ছাত্র ছিলেন । যশোহরে বলীয়-সাহিত্য-সম্মেলনের পর একদিন তিনি কি