পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ولا انه وقا আর ক্যাবিনের চাকররা সাধারণতঃ একটু রোগ পাতলা, অপেক্ষাকৃত বেঁটে চেহারার । মোটের উপর এদের ব্যবস্থা ভাল । ইটালীয়ানরা অtগে অত্যন্ত নোংরা, কুড়ে আর অকেজো জাত ব’লে পরিচিত ছিল ; এর কথার ঠিক রাখতে পারত না । মুসসোলিনী এসে এই জাতকে চাবুক মেরে চাঙ্গা ক’রে তুলেছেন । আগে ইটালীয়ানদের স্বাত্রী-জাহাজ ছিল না ; দেখতে দেখতে এই কয় বছরে ইটালীয়ান যাত্রীর জাহাজগুলি খুব লোকপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আর সব জাহাজের চেয়ে শীগ্‌গির নিয়ে যায়, ভাল খাওয়ায়, আর সস্তা ; লোকপ্রিয় হবে না কেন ? ইংরেজের জাহাজে পী. এগু-ও প্রভৃতিতে—জাহাজ কোম্পানী কোনও অভদ্রত না করলেও, ওসব জাহাজে রাজার জাভ ইংরেজের একাধিপত্য ; ভারতীয়দের বাঁধে-বাধে ঠেকে, রাজপুরুষ বা রাজার মেজাজের ইংরেজ যাত্রীদের পক্ষে ভারতীয় প্রজার সঙ্গে সমান-সমানকে যেমন তেমনি ব্যবহার করা ধাতে সন্ন না । আমার নিঞ্জের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অবগু কখনও খারাপ হয় নি, তবে অন্ত ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে থিটিমিটি হবার কথা শুনেছি। পক্ষাস্তরে, ইউরোপের ইটালীয়ান বা অন্ত জাতের সঙ্গে আমাদের রাজা-প্রজার সম্বন্ধ নেই ; আর তাদের মধ্যে ইউরোপীয় ব'লে একটু অহমিকাভাব থাকলেও, প্রকৃতিতে ইংরেজদের বিপরীত, অর্থাৎ দিল-খোলা মিশুক জাত ব’লে, তারা আমাদের সঙ্গে মেলামেশা করতে প্রস্তুত থাকে । ইংরেজ ছাড়া জাপানী, ডচ, ইটালীয়, ফরাসী— এতগুলো জাতের বাত্রী-জাহাজ চলছে ; প্রতিষোগিতার বাজারে মানুষকে ভদ্ৰ ক’রে দেয়। ভারতীয় যাত্রীদের মধ্যে যারা হিন্দু তাদের অনেকে নিরামিষাশী ঃ তাই এরা ঘটা ক'রে বাইরে প্রচার করে, নিরামিষভোজীদের জন্ত এদের ভাল ব্যবস্থা আছে। মোটের উপর ইটালীয়ান লাইন ভারতবাসীদের কাছে প্রিয় হ’য়ে উঠছে বলে মনে হ’ল । আমাদের এই জাহাজটি একটি ক্ষুদ্র জগৎ, বিশেষ ক’রে এই শস্তার সেকেণ্ড ক্লাস । প্রথম আর দ্বিতীয় শ্রেণীতে বোধ হয় এত বেশী জাতের আয় এত রকমারী লোক নেই। প্রথম, ইউরোপীয় ধরা যাক ঃ ইটালীয়ান মেয়ে আৰু পুরুষ প্রবাসী S\తి8R श्रांtछ् श्रtनक७णि, इं९८ब्रख श्रांtछ् ; ७5 श्रf८छ्, छांभनि, নরউইঙ্গীয়, হঙ্গেরিয়ান, ফরাসী আছে । আমেরিকানও আছে । চীনা আর ভারতীয় ; ভারতীয়দের মধ্যে গুজরাট, মারহাট্ৰী, পাঞ্জাবী, তামিল, কানারী, মালায়ালী, বাঙালী, আসামী, হিন্দুস্থানী । স্মোকিং-রুম বা সাধারণ বৈঠকখানায় যেখানে যাত্রীর চুরুট খায়, তাস থেলে, কিছু পান করে, গল্পগুজব করে, চিঠি লেখে, বই পড়ে, সেখানে আর তিনটে খোলা ডেক আমাদের জন্ত আছে । সেখানে একটু ঘুরে ফিরে বেড়ালেই নানা ভাষার ঝঙ্কার কানে আসে ; ইটালীয়ান যাত্রী আর থালালীর ইটালীয়ান বলছে : ভাষাটা স্বরবর্ণের বাহুল্যে এমনিই মোলায়েম যে যতই তড়বড় ক’রে বলুক না কেন, এর পূর্ণত আর মিষ্টতা যায় না ; ফরাসীর মিঠে আওয়াজও কানে আসছে ; আমেরিকানের ইয়াংকি-হলভ নাকী স্বরে বলা ইংরেজীও কর্ণপীড়া উৎপাদন করছে ; গুটিকতক ডচ আর জামান পরিবার চলেছে, তাদের বয়স্ক পুরুষ আর মেয়েরা, আর ছোটো ছোটো ছেলেমেয়ের ডট আর জামান বলছে ; সপরিবারে কতকগুলি চীনা যাত্রী চলেছে, তার প্রায়ই এক কোণে নিজেদের মধ্যেই থাকে,—আপসে তারা উত্তর-চীনায় অথবা ইংরেজীতে কথা কয়, ইংরেজীতে কথা কয় কারণ চীনারা আবার অনেকে পরস্পরের প্রাদেশিক ভাষা বোঝে না, আমাদেরই মতন । এ ছাড়া বাঙলা, হিন্দুস্থানী, তামিল, গুজরাট,মারহাট্ৰীও শোনা বায়। একেবারে ইহুদী-পুরাণোক্ত বাবেল-এর আকাশগামী স্তম্ভ আর কি ? কিন্তু এতগুলি ভাষা হ’লে কি হয়,—সব তfষা ছাপিয়ে, এমন কি জাহাজের মালিক আর কৰ্ম্মচারী আর কমিগারদের ভাবা ইটালীয়ান ভাষাকেও ছাপিয়ে, একটি ভাষারই জয়জয়কারই দেখা ধাচ্ছে ; গোট হ’চ্ছে ইংরিজী তাষ । ইংরিল্পী যে একমাত্র অন্তির্জাতিক ভাষা, বিশ্বসভ্যতার বিশ্বমানবের প্রথম ও প্রধান ভাষা হ’য়ে দাড়িয়েছে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। ইংরিজী আয় খালি ইংরেজের সম্পত্তি নয়। জাহাজের সমস্ত ছাপী ৰা টাইপ করা নোটিল বিজ্ঞাপন প্রভৃতিতে ইটালীয়নের পাশে ইংরিজীকেও একটা স্থাম দিতে হয়েছে ; প্রায়ই সেটা ইটালীয়ানের তুল্যমুল্য। রোজানা খানার ফিরিস্তি রোজ রোজ জাহাজেই ছাপানে হয়, ছপুরের খাওয়া আর