পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র


مسس سے

সাঝের খাওয়ায় কি কি পদ দেবে,—তা সেটা ছাপানো হচ্ছে, এক দিকে ইটালীয়ানে, অন্ত দিকে ইংরিঙ্গীতে । জাহাজের থানসীমার চাকররা অল্পবিস্তর ইংরিজী সকলেই বলে । খালাসীরা যেখানে বসে ছুটির সময়টা আডড দিচ্ছে, সেখানে তাদের মধ্যে দু-এক বচন ইংরিজী শুনছি। রাত্রে যাত্রীদের অtমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থা হ'চ্ছে, সমস্ত ইংরিঞ্জী আশ্রয় ক'রে । বিভিন্ন জাতের লোকে পরম্পর কথা কইছে, বেশীর ভাগই ইংরিজীতে। ইংরিজীকে বর্জন ক'রে কেবল হিন্দী দিয়ে ভারতের ঐক্য বিধান করা কঠিন হবে, আমার মনে হয় অসম্ভব হবে। কারণ ওদিকে মৃতই হিন্দীর বঙ্গ আঁটুনি দেবীর চেষ্টা মহাত্মজী করুন না কেন, ভিতরে ভিতরে ইংরেজীর প্রভাব ঢুকে সব ভাষাকে —তাদের কথ্য রূপকে—ইংরিজী রসে ভরপূৱ ক’রে দিচ্ছে, তাদের নিজের সারকে বীর ক’রে দিয়ে নিজ বৈশিষ্ট্য থেকে তাদের বিচুত ক’রে দিচ্ছে, হিনীর বজ্র আঁটুনি ইংfরঞ্জীর সামনে ফস্কা গেরেণ হ’য়েই দাড়ীৰে । আমাদের fক ভাল লাগে না-লাগে সে কথা নয়, ব্যাপারটা কোন দিকে গতি নিচ্ছে সেইটেই বিচাৰ্য্য। আধুনিক সভ্যতা মানেই ইংরিজী—একে বাদ দিয়ে আর হয় না-আধুনিক সভ্যতার দেবী পায়ে হেঁটে চলেন না, তার বাহনকে খুশী মনে আবাহন না করি বর্জন করতে পারি না । এত বিভিন্ন জাতের লোক, কিন্তু অতি সহজেই এর তিনটি মুখ্য ভাগে পড়ে গিয়েছে—ইউরোপীয়, ভারতীয়, চীনা ঃ তিনটি বিভিন্ন সভ্যতার নিজ নিজ কোঠা বা কামর বা কোটবে খেন যে যার জায়গা ক’রে নিয়েছে। পৃথিবীতে এখন চারটে বিভিন্ন আর বিশিষ্ট সভ্যতা বা সংস্কৃতি বিদ্যমান ; গ্রীক অীর রোমান সভ্যতার আধারের উপরে প্রতিষ্ঠিত, জাৰ্ম্মানিক ও শ্লাব জাতির কৰ্ম্মশক্তি আর ভাবুকত দ্বারা পুষ্ট ইউরোপীয় সভ্যতা ; মুসলমান সভ্যতা, ভারতের মিশ্র আর্য-অনাৰ্য্য হিন্দু সভ্যতা আর চীনা সভ্যতা। মুসলমান সভ্যতাকে গ্ৰীক হেলেনিষ্টিক সভ্যতার উপর আরবের ধৰ্ম্মের প্রভাবের ফল বলতে পারা যায়, ইউরোপীয় সভ্যতারই একটি গ্রাম্য বা প্রাস্তিক সংস্করণ একে বলা চলে। হিন্দু সভ্যতা আর চীনা সভ্যতা একটু স্বতন্ত্র ; চীনের উপরে ছিন্দু মনের ছাপ পড়েছে, বৌদ্ধ +6سسد جمb পশ্চিমের যাত্রী ప్రిలక ধর্মের ভিতর দিয়ে, কিন্তু চীন সভ্যত মুখ্যতঃ বস্ততান্ত্রিক ; হিন্দু পরে যেমন ভাববিলাসী বা ভাবপ্রবণ হ’য়ে দাড়ায় চীনা সভ্যতা কখনও সেরকমটা হয় নি। যাক, এখন কিন্তু ইউরোপীয় সভ্যতারই জয়জয়কার ; মুসলমানী সভ্যতা আরবের মনোভাব থেকে মুক্ত হ’য়ে সৰ্ব্বত্রই ইউরোপীয় সভ্যতার সঙ্গে মিশে যাবার চেষ্টা করছে, তুর্ক, ইরাণে, এমন-কি মিসরেও সেই রকমটা দেথা যাচ্ছে । ভারতের মুসলমান পনের আন তিন পাই ভারতীয়, এক পাই যেটুকু সে আরব থেকে তার ইসলাম থেকে পেয়েছে সেটুকুও আবার ভারতের রঙে রঙে গিয়েছে। ভারতীয় আর চীনা সভ্যতার উপর ইউরোপের প্রভাব এখন ওতঃপ্রেতি ভাবে বিদ্যমান। তবুও বহুদিনের ইতিহাস, বহু দিনের সংস্কার ;–চীন আর ভারত একেবারে আত্মসমপণ করতে চাচ্ছে না, কিন্তু হেরে আসছে, সৰ্ব্বশ্বাস্ত হ’য়ে যাবার পূৰ্ব্বে এই দুই প্রাচীন জাভি চেষ্টা ক’রে দেখছে কতটা আপোস সম্ভব। একটু তলিয়ে দেখলেই স্বীকার করতে হবে আমাদের বাস্তব জগতে তো বটেই, ভাবজগতেও এবং এই ভাবজগতের প্রধান প্রকাশ, সামাজিক জীবনেও আমাদের এই অবস্থা ক্ৰত এসে পড়ছে। জাহাজে বা অন্তএ ইউরোপীয়দের লঙ্গে আমাদের অবাধ মেলামেশার নানা অন্তরীয় থাকায়, বাধা পাওয়ার দরুন আমাদের মধ্যে আত্মরক্ষার পক্ষে সহায়ক কুৰ্ম্মবৃত্তি একটু এসে যাচ্ছে ঃ গায়ের রং, ধৰ্ম্ম, সামাজিক রীতিনীতি, মানসিক প্রবণতা,— আর সব চেয়ে বড় আমরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হরিজন ; এই সব কারণেই ইউরোপীয়ান আমাদের সঙ্গে মিশতে পারে না, আমাদের দু-চার জন আত্মবিস্তুত হ’য়ে খুঁড়িয়ে বড়লোক হ’তৃে চেষ্টা ক’রে শেষটায় ঘা খেয়ে ফিরে আসে—মোটের উপর আমরা অনেকটা আলাদাই থেকে যাই, ঈসপের পাটীর হাড়ী—আর পিতলের হাড়ীর গল্পের মাটীর ধাড়ীর মত আমরা স’রে থেকেই ভাল থাকি । চীনা আর ভারতীয়ে বেশ মিল হওয়া উচিত, কিন্তু তাও যেন ততটা হয় না । যেটুকু হয়, তা প্রাচীন কিছুকে अवगइन क'cद्र नग्न-८बोक कौन्न चांद्र खांब्रउँौtजब भिग সেটা নয় । সেটা হ’চ্ছে ইউরোপীয় মনোভাবপ্রাপ্ত,