পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さにF תל v0 S নয়। পাছে ওকে তুলে নিয়ে কাপড়-জামার আলনার কাছে গিয়ে পরীতে গেলে ঠাণ্ডা লাগে, সেই ভয়ে মাথার কাছে সব গুছিয়ে রাখছি। শহরে ঘরে ঘরে ইনফ্লুয়েঞ্জা হচ্ছে, কি সে হবে তাই ভাবছি।” “অত কেন যে ভাব বুঝতে পারি নে। ওসব কিছুই হবে না খেtকার । ও কেবল তোমীর কল্পনার ভয় ।” 6t তাহার পরে দিন-পনর কাটিয়া গেছে । কয়েক দিন হইতে দুর্জয় শীত এবং তাহার সঙ্গে গু"fড়গুড়ি বৃষ্টি পড়িতেছে । সস্তোষের বাড়ির সামনে একখানা মোটর দাড়াইল । বাহিরের সদরের ঘরে আলো জ্বলিতেছে, কিন্তু ঘরে কেহ নাই । গৃহস্বামী অত্যন্ত অস্থির হইয়া বারান্দায় পায়চারি করিয়া বেড়াইতেছিলেন । মোটর দ্বীড়াইবার শব্দ শোনামাত্র সন্তোষ তাড়াতাড়ি গেটের কাছে নামিয়া আসিল । সিভিল সার্জেন এবং এক জন নাস গাড়ী ইহতে নামিলেন । “আপনি আরও এক জন নাসের জষ্ঠ আমাকে ফোন করেছিলেন মিঃ বসু ?” “হ্যা, আর এক জন নাস ভারি দরকার । আমার স্ত্রী আর কিছুই পেরে উঠছেন না । তিনি মনের ভয়ানক উৎকণ্ঠায় এক রকম পাগলের মত হয়ে গেছেন । তার ওপর নির্ভর ক’রে সেবা-শুশ্রীধার কোন কাজই আর তার হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না ।” “খোকা এখন কেমন আছে ?” “ख्ञांमि কিছুই বুঝতে পারছি নে । চলুন, ভিতরে গিয়ে দেখবেন চলুন। আমার মনে হচ্ছে ওর নিঝুম ভাবটা আরও বেড়েছে।” নাসকে আহবান করিয়া বলিল, “অম্বিন মিসেস রায় । উ: কি শীত আর বাদল পড়েছে, রোদ না উঠলে মনে একটুও আশা হচ্ছে না। আপনি মনে করছেন আমাদের কুসংস্কার, কিন্তু তা নয় । আমার কেন জানি না থালি থালি মনে হচ্ছে রাদ না উঠলে—” “কি বাজে বকছেন মিঃ বহ, নিজের ছেলের অমুখ হয়েছে বলেই কি এত উতলা হয়ে পড়তে হয় । আপনি নিজে এক জন শিক্ষিত পুরুষমানুষ হয়ে যদি এমন করেন তাহ’লে আপনার স্ত্রী যে আরও করবেনই । আসুন ।” তিন জনে নিঃশব্দ পদসঞ্চারে ভিতরের দিককার একথানি ঘরে ঢুকিল । সে ঘরে স্তিমিত আলো । শুভ্র বিছানার উপর একটি ক্ষুদ্র শিশু ঘুমাইয়া আছে, এক জন নাস আলোর নিকট ঝু"কিয়া হাতের রিষ্টওয়াচটার সেকেণ্ডের কঁtটার দিকে চাহিয়া শিশুর নাড়ীর স্পন্দন গুণিতেছে ।

    • কেমন দেখলেন ?” “আমার মনে হচ্ছে ক্রমশঃ ভালর দিকে যাচ্ছে । আপনি দেখুন। এই খাতাটায় টেম্পারেচারের চাট এবং আরও অন্তান্ত বিষয় সমস্তই লেখা রয়েছে ।”

“দেখছি। দেখুন, আপনি ততক্ষণ একটু গ্লুকোজ, তৈরি করুন।” ডাক্তণর শিশুর শধ্যাপাশে বসিয়া বহুক্ষণ নিবিষ্ট চিত্তে তাহাকে পরীক্ষা করিয়া কহিলেন, “মিঃ বোস, আর কোন ভয় নেষ্ট । ভগবানের দয়ায় আপনার ছেলের জীবনের আশঙ্কা কেটে গেছে । আপনি ধেটাকে নিঝুম ভাব ব’লে ভয় করেছিলেন, সেটা আর কিছুই নয়, ক্লাস্ত শরীরের গাঢ় ঘুম । আপনার স্ত্রী কই ? এ ঘরে তাকে দেখতে পাচ্ছি নে । যান তাকে শীগ গীর খবর দিয়ে আহন। আমি বলছি, কাল সকালবেল উঠে নিশ্চয় দেখবেন, পুব দিকের ঐ খোলা জানালাটা দিয়ে আপনার ঘরে রোঙ্গ এসে পড়েছে ।” সন্তোষ স্ত্রীর খোজে গিয়া দেখিল, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মাঝে সেই দুৰ্জ্জয় শীতে কাপড়ের অঞ্চল মাত্র গায়ে দিয়া অৰুণা তুলসীতলায় ধ্যানগুদ্ধের মত বসিয়া আছে। “কি পাগলামি করছ ? শেষে নিজে অমুখ বাধিয়ে একটা কণও ক’রে বসবে নাকি ? ঘরে চল, শোন, ডাক্তার গুপ্ত এসেছেন । বললেন, তোমাকে শুনিয়ে দিতে, থোক ভাল আছে । তার আর কোন ভয় নেই ।” “তুমি এইমাত্র খোকার ঘর থেকে আলছ ?” 'देश] יין t “সে আমার বেশ শাস্তভাবে ঘুমোচ্ছে তো ?”