পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র তৎসত্ত্বেও তো যুগে যুগে কোটি কোটি বর্ষ ধ'রে প্রাণ আপনাকে প্রকাশিত ক’রে আসছে। মৃত্যুই মায়। এই কথা মনে ক’রে দুঃখকে যেন সহজে গ্রহণ করি ; দুঃখ আছে, বিচ্ছেদ ঘটল, কিন্তু এর গভীরে সত্য আছে এ কথা যেন স্বীকার ক’রে নিতে পারি। আশ্রমের তরফ থেকে দিনেন্দ্রনাথের সম্বন্ধে যা বলবার আছে তাই বলি। নিজের ব্যক্তিগত আত্মীয়বিচ্ছেদের কথা আপনার অস্তরে থাক—সকলে মিলে তা আলোচনা করার মধ্যে অবাস্তবতা আছে, তাতে সঙ্কোচ বোধ করি । আমাদের আশ্রমের যে একটি গভীর ভিত্তি আছে, তা সকলে দেখতে পান না । এখানে যদি কেবল পড়াশুনোর ব্যাপার ষ্ট'ত তাহ’লে সংক্ষেপ হ’ত, তা হ’লে এর মধ্যে কোনো গভীর তত্ত্ব প্রকাশ পেত না । এটা যে আশ্রম, এটা ধে অষ্টি, গাঁচ নয়, ক্ষণিক প্রয়োজন উত্তীর্ণ হ’লেই এখানকার সঙ্গে সম্বন্ধ শেষ হবে না সেই চেষ্টাই করেছি। এখানকার কৰ্ম্মের মধ্যে যে-একটি আনন্দের ভিত্তি আছে, ঋতু-পর্যায়ের নান বর্ণ গন্ধ গীতে প্রকৃতির সঙ্গে যোগস্থাপনের চেষ্টায় আনন্দের সেষ্ট আয়োজনে দিনেন্দ্র আমার প্রধান সহায় ছিলেন । প্রথম যখন এখানে এসেছিলাম তপন চারিদিকে ছিল নীরস মরুভূমি—আমার পিতৃদেব কিছু শালগাছ রোপণ করেছিলেন, এ ছাড়; তখন চারিদিকে এমন স্যাম শোভার বিকাশ ছিল না । এই আশ্রমকে আনন্দনিকেতন করবার জন্য তরুলতার স্যাম শোভা যেমন, তেমনি প্রয়োজন ছিল সঙ্গীতের উৎসবের । সেই আনন্দ উপচার সংগ্রহের প্রচেষ্টায় প্রধান সহায় ছিলেন দিনেন্দ্র । এই আনন্দের ভাব যে ব্যাপ্ত হয়েছে, দিনেন্দ্রনাথ ♥6ቅጫ আশ্রমের মধ্যে সজীবভাবে প্রবেশ করেছে, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে চলেছে এর মূলেতে ছিলেন দিনেন্দ্ৰ— আমি যে সময়ে এপানে এসেছিলাম তথন আমি ছিলাম ক্লান্ত, আমার বয়স তখন অধিক হয়েছে- প্রথমে যা পেরেছি শেষে তা-ও পারি নি । আমার কবি-প্রকৃতিতে আমি যে দান করেছি সেই গানের বাহন ছিলেন দিনেন্দ্র। অনেকে এখান থেকে গেছেন সেবাও করেছেন কিন্তু তার রূপ নেই ব’লে ক্রমশ তার বিস্মৃত হয়েছেন । কিন্তু দিনেন্দ্রের দান এই যে আনন্দের রূপ এ তে যাবার নয়---যত দিন ছাত্রদের সঙ্গীতে এখানকার শালবন প্রতিপানিত হবে, বর্ষে বর্ষে নানা উপলক্ষ্যে উৎসবের আয়োজন চলবে, তত দিন তার স্মৃতি বিলুপ্ত হ’তে পারবে না, তত দিন তিনি অভ্রমকে অধিগত ক’রে থাকবেন--আশ্রমের ইতিহাসে র্তার কথা ভুলবার নয়। এথানকার সমস্ত উৎসবের ভরি দিনেন্দ্র নিয়েছিলেন, অক্লাস্ত ছিল তার উৎসাহ । তার কাছে প্রার্থনা ক’রে কেউ নিরাশ হয় নি—গান শিখতে অক্ষম হ’লেও তিনি ঔদার্ষ্য দেখিয়েছেন—এই ঔদার্ষ্য না থাকলে এখানকার স্মৃষ্টি সম্পূর্ণ হ’ত না । সেই সৃষ্টির মধ্যেই তিনি উপস্থিত থাকবেন । প্রতিদিন বৈতালিকে যে রসমাধুৰ্য আশ্রমবাসীর চিত্তকে পুণ্য ধারায় অভিষিক্ত করে সেই উৎসকে উৎসারিত করতে তনি প্রধান সহায় ছিলেন । এই কথা স্মরণ ক’রে তাকে সেই অর্ঘ্য দান করি যে-অর্ঘ্য তার প্রাপ্য। [ শান্তিনিকেতনের মন্দিরে ৫ই শ্রাবণ, ১৩৪২, শযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ७ ११ ] ఇు Жуткажжжжжжжжжжжжахвоккиокий :"ম","ণ্ঠে "Agax:1;