পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مواسوانا প্রৰণসী ১৩৪২ হাবলী-সৈন্তের মেশিন-গান চালনা শিখিতেছে হাবলী সন্ধান্ত নেতাদের সৈন্তগণও সম্রাটের আহবানে যোগ দিয়াছে । করিয়াছেন যে ক্রীতদাসরুপে বাচিয়া থাকা অপেক্ষ মৃত্যুই বরণীয়। যুদ্ধ সংঘটিত হইলে আবিসনিয়ার শেষ অধিবাসীটি পৰ্য্যস্ত যুদ্ধ করিবে। সম্রাট তফারী বলিয়াছেন— “Soldiors, follow tho exuimplo of your warrior anoostors and young and old, united, face the invader. Your sovoreign will be anong you and will not hesitute to shed his blood if necessary for Ethiopia and her indopondence.” অর্থাৎ, “সৈপ্তগণ, তোমরা তোমাদের পূর্ব-পুরুষগণের বীরত্বকাহিনী অনুসরণ করিয়া বৃদ্ধ ও যুবক সম্মিলিতভাবে শক্রপক্ষের সম্মুখীন হও ; তোমাদের সম্রাট তোমাদের সঙ্গেই থাকিবেন এবং প্রয়োজন হইলে ইথিয়োপিয়ার স্বাধীনতারক্ষণকল্পে আপনার শোণিতদানে কুষ্ঠিত র্তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া সম্রাট ঘোষণা হইবেন না।” স্বৰ্গীয়া মনোরম দেবীর আদ্য-শ্ৰাদ্ধানুষ্ঠান [ গত ১০ই শ্রাবণ ৪৩ নং ওয়েলেসলী স্ট্রীট ভবনে স্বৰ্গীয় শ্ৰীমতী মনোরম দেবীর আদ্যশ্ৰাদ্ধ অনুষ্ঠান তাহার স্বামী ও ঠাহীর পুত্রকষ্ঠা পুত্রবধূ জামাতা পৌত্রী ও দৌহিত্রীগণের দ্বারা সম্পন্ন হয়। আচাৰ্য্য ঐযুক্ত সতীশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী উপাসনা করেন। তাহার অঙ্গস্বরূপ শ্ৰীমতী মনোরম দেবীর প্রিয় কয়েকটি গান গীত হয় । তাহার পর তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র প্রমান কেদারনাপ চট্টোপাধ্যায় মাতৃদেবীর সম্বন্ধে তাহার ও উাহার ভাইভগিনীদের লিখিত কিছু জীবনকথা পাঠ করেন। অতঃপর খ্ৰীযুক্ত রামানঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ভগবচ্চরণে প্রার্থনা নিবেদন করেন। তদনন্তর পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্র ও ভক্তবাণী পাঠ ও ব্যাখা। করেন। খ্ৰীযুক্ত মাণিকলাল দে ও ঠাহীর সঙ্গীদিগের দ্বারা কীৰ্ত্তনের *ग्न अछूछेन ८*रु झग्र । ] উদ্বোধন ঐসতীশচন্দ্র চক্রবত্তা", যিনি চরিত্রগুণে, সেবাগুণে, ক্ষে বাসার গুণে, এই শোকৰ্ত্ত সস্তানগণের, পতির ও বন্ধুজনের জীবন যেন ক্রয় করিয়া গিয়াছেন, যিনি গৃহিণীরূপে, গৃহের সম্রাঞ্জীরূপে, এবং তদপেক্ষাও পবিত্রতর যে সহধৰ্ম্মিণীর পদ, সেই সহধৰ্ম্মিণীরূপে স্বদীর্ঘ কাল আমাদের পূজনীয় চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের গৃহকে অলঙ্কত করিয়াছিলেন, আজ তাহার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধভক্তির পুপাঞ্জলি লইয়া সকলে এখানে উপস্থিত হইয়াছি। পৃথিবীতে থাকিতে যিনি এই গৃহের আলোকস্বরূপ, জ্যোতিঃস্বরূপ ছিলেন, আজ তিনি আদেহী আত্মাগণের সঙ্গে, দেবদেবীগণের সঙ্গে, জ্যোতিৰ্ম্ময় আত্মারূপে বিদ্যমান। কিন্তু তিনি দূরে নহেন। দেহে থাকিতে তাহার হাস্যময়ী আনন্দময়ী মূৰ্ত্তি এই গৃহের সকলকে স্বর্থী রাখিত, সকলের সেবাতে নিরস্তর নিযুক্ত থাকিত ; এক সময়ে তাহার সেই হাস্যময়ী আনন্দময়ী মূৰ্ত্তি আমাদের সকলের মধ্যে বিশেষ উল্লেখের বিষয় ছিল। আজ তিনি তাহার অশরীরী চিন্ময়ী মূৰ্ত্তিতে এখানে উপস্থিত হইয়া প্রিয়জনকে প্রীতি ও সন্তানগণকে স্নেহ দান করিতেছেন, বন্ধুজনকে অভ্যর্থনা করিতেছেন। এক দিকে কোমলতা ও প্রফুল্লতা, অপর দিকে সাহস, স্বাধীনতা ও মৃঢ়তা—এই উভয় গুণের সমাবেশে ভূষিত র্তাহার আত্মা, এখন দেহের বাধ হইতে মুক্ত হইয়া আমাদের সম্মুখে প্রকাশিত। চক্ষু এখন র্তাহাকে দেখিতে পায় না বটে, কিন্তু তথাপি তাহার চিন্ময় উপস্থিতি সত্য। কর্ণ এখন তাহার স্বর শুনিতে পায় না বটে, ঝলক এই পৃথিবীর প্রিয়জনদের দিকে আসিতেছে, ইহা সত্য। আমাদের মুখের কথা তাহার কাছে বলিবার উপায় নাই বটে ;