পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्ववश्येंशं উপরে বর্ণিত ইতালীয় একচক্ৰী পলু ব্ৰহ্মদেশে পাচ বৎসর পালিত হইতেছে । ইহাদের পালনের সাফল্যের জন্ত প্রয়োজন (১) নিরোগ ডিম, (২) ডিমগুলিকে চারি-পাচ মাস ৪• ডিগ্রি ফারেনূহিট ঠাও খাওয়ান, (৩) বসন্তকালে পালন, (৪) পলুদিগকে তেকলপের পর হইতে কিংবা অন্ততপক্ষে রোজে উঠিলে গাছতু তের পাতা থাওরান । ( পলু ডিম হইতে ফুটিবার পর যেমন বড় হয় কয়েকদিন পর পর খোলস ছাড়ে থেলিস-ছাড়াকে কলপ বলে, প্রথমবার খোলস-ছাড়াকে মেটে-কলপ, দ্বিতীয়বারকে দো-কলপ, তৃতীয়বারকে তে-কলপ এবং চতুর্থবারকে সোদর-কলপ বলে । সোদর-কলপ ছাড়িয়া উঠিলে রোজে-উঠা বলে । রোঙ্গে উঠিয়া কয়েক দিন খাইয়া পলু গুটী করে )। জাপানে সাধারণ ক্ষেতে জন্মান ঝুপি তু তের পতি৷ খাওয়াইয়াই প্রায় সমস্ত পলু পালিত হয়। কিন্তু জাপানী ঝুপি তুত বঙ্গদেশের মত ডাটা হইতে জন্মান হয় না, কলম হইতে উৎপন্ন হয় এবং কলমের গুড়ি বেশ পরিপক্ক ও মোটা হইতে দেওয়া হয় । অতএব এই কলমের পাতা গাছতুতের পাতার মতই উত্তম । এইরূপ কলমের প্রচলন বাংলায় প্রয়োজন । তাহা হইলে একচক্ৰী পলু পালনেfপযোগী পাতা প্রায় তিন বৎসরের মধ্যেই পাওয়া যাইবে । সাধারণ ভাবে গাছ জন্মাইয়া পাতা পাইতে সাত-আট বৎসর সময় লাগে । পতিত স্থান থাকিলে সাধারণ গাছও জন্মান উচিত, কারণ ইহাতে পাতা উৎপাদনের খরচ কম পড়ে। এইরূপ গাছও কলম হইতে জন্মান উচিত । ইহাই জাপানে প্রথা । এইরূপে উপযুক্ত থাস্তের বন্দোবস্ত করিতে পারিলে বৎসরে অন্ততঃ এক বন একচক্রী এবং প্রথম বংশ-সঙ্কর পালন করা যাইতে পারে । বৎসরের যে সময়ে একচক্ৰী পলু-পালন শেষ হইবে তখন গরম পড়িবে এবং পলু-পালন উত্তম হইবে না । কিন্তু সন্ধর প্রথম বংশ এবং বহুচক্র সঙ্কর পালিত হইতে পারে। এই বহুচক্ৰী উত্তম খাদ্য পাইলে মান্দালয়ের মত উষ্ণ স্থানেও জুলাই আগষ্ট মাসে এমন গুটী করে বে তাহাতে তিন সাড়ে তিন গ্রেন রেশম থাকে । ইহা ছাড়া জাপানে আজকাল ঠাণ্ডা এবং হাইড্রেীক্লোরিক এসিড, প্রয়োগ দ্বার সময়-মত ডিম ফুটাইয়া ংলার রেশম-উৎপাদন শিল্পের উন্নতি ●ግ একচক্ৰী পলুর দুই বন্দ পালিত হয় । দ্বিচক্রী এবং একচক্রীর সঙ্করতা দ্বারা আর এক বন্দ উত্তম গুটী উৎপন্ন হয়। এইরূপে উত্তম গুটী-উৎপাদন-প্রথা পরীক্ষাদ্বারা আমাদের দেশে প্রথমে স্থির করিয়া লইতে হইবে। সাধারণ পলু-পালক বা বসনীরা একচক্ৰী বা দ্বিচক্ৰী পলুর সংরক্ষণ দ্বারা সময়মত ডিম জোগাড় করিতে পারিবে না বা প্রথম বংশ-সঙ্কর উৎপাদন করিতে পাfরবে না । • প্রয়োজনমত গবেষণা, পরীক্ষণ ও কৰ্ম্মকেন্দ্র গঠন ব্যতীত এই কাৰ্য্য হওয়া অসম্ভব । জাপানে সমস্ত দেশের নানা স্থানে স্থাপিত ৪৯টি গবেষণাগারের এবং ইহাদের ২৭টি শাখার প্রধান কাৰ্য্যই হইল এইরূপ পলুর উন্নতিসাধন ও সংরক্ষণ এবং সময়মত ডিম উৎপাদন করিয়া প্রায় আট হাজার ডিমউৎপাদকদিগকে এই ডিম সরবরাহ । ডিম উৎপাদকের এই ডিম পালন করিয়া বাড়tহয়া যে ডিম পান তাহাই সাধারণ পলু-পালকদিগকে বিক্রয় করা হয় । প্রথম প্রবন্ধে ডিম-সরবরাহের বিষয় আলোচনা করিবার সময় পলুদের পেত্রিন নামক পৈতৃক রোগের কথা বল। হইয়াছে । মাতার শরীরে এই রোগের বীজ থাকিলে সস্তানদেরও হয় । মাতার রক্ত অনুবীক্ষণ-যন্ত্ৰ-সাহায্যে পরীক্ষাদ্বারা পেত্রিমূহীন ডিম উৎপাদন করা যায়। প্রত্যেক বারই সমস্ত চোকুড়ীর রক্ত পরীক্ষা করিয়া পলুদিগকে নীরোগ রাখা প্রয়োজন। এইরূপে ডিম উৎপাদন অতি ব্যয়সাধ্য, এই কারণে কোন দেশেই সাধারণ পলু-পালকেরা এইরূপ ডিম পালন করে না । পরীক্ষাদ্বারা দেখা গিয়াছে এইরূপে প্রত্যেকটি পরীক্ষিত ( সেলুলার ) ও সংরক্ষিত পলুর প্রথম বংশ ভালভাবে পালিত হইলে নীরোগ থাকে । এই প্রথম বংশের প্রত্যেকটি পরীক্ষা না করিয়া শতকরা দশটি পরীক্ষা করিয়া দেখার প্রথা আছে । ইহাদ্বীরাই বুঝা যায় ইহাদিগকে পালন করিলে কিরূপ ফল পাওয়া যাইবে । এইরূপ ডিমকে পালন-ডিম বা পালন সঞ্চ (ইনডাষ্ট্ৰীয়াল লিড, ) বলে । রোগের প্রতিকার পেখ্রিনশূন্ত ডিম হইলেও যদি পেত্রিনদুষ্ট ঘরে বা ঐৰূপ যন্ত্রপাতি লইয়া বা পেত্রিনদুষ্ট পলুর সহিত পালন