পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাঁজ স্বৰ্গীয়া মনোরম। দেবীর আদ্য-শ্ৰাদ্ধানুষ্ঠান (J33 দ্বারাই আমরা পরলোককে উপলব্ধি করি, তাই পরলোকের জন্য প্রাব । তপণ আজ যিনি পরলোকগত তিনি আর তাহার ব্যক্তিবিগ্রহের মধ্যে নাই। বিশ্ববিগ্রহের মধ্যে র্তাহার ব্যক্তি-বিগ্ৰহ আজ নিমজ্জিত। তাই তাহার তৃপ্তির জন্ত আমাদিগকে আজ বিশ্বকে তৃপ্ত করিতে হইবে। ইহাই হইল তৰ্পণ । তাই আমাদের তর্পণ-মন্ত্র— “দেবী যক্ষ স্তথা নাগ গন্ধৰ্বীপসরসোইস্করাঃ । কুৱা সৰ্প হপাশ্চ ভরবাে জিঙ্কা খা । বিদ্যাধর জলাধার স্তথৈখবাকাশগামিনঃ । নিরাহারাশ্চ ষে জীব পাপে ধমেরিতাশ্চ ষে।” সকলেই আজ তৃপ্ত হউক । দেব যক্ষ হইতে আরম্ভ করিয়৷ দীন হীন সৰ্ব্ব প্রাণী আজ তৃপ্তি লাভ করুক। ক্ষুধিত তৃষিত পাপ-রত ধৰ্ম্ম-রত সবারই আজ তৃপ্তি হউক । "আব্ৰহ্মভুবনালোক দেবসিপিতৃমানবা । তৃপ্যন্তু পিতর সর্বে মাতৃমাতামহাদয়ঃ ॥ অতীত কুলকোটীণাং সপ্তদ্বীপনির্বাসিনাম।” সবারই আজ পরম তৃপ্তি হউক। (কালে ) যে সব কোটি কোটি কুল বিগত হইয়াছেন এবং ( স্থানে ) আজও নানা দেশের নানা দ্বীপের র্যাহারা অধিবাসী, সবারই আজ তর্পণ হউক। সবার তৃপ্তিতেই তার তৃপ্তি, কারণ র্তাহার বিগ্ৰহ আজ বিশ্ববিগ্রহেই বিলীন । পিতৃগণকে নমস্কার हेक्९ श्रिङ्कुडा नम्भ। अच्च अक्षा যে পূর্বাসে৷ ষ উপরাস ঈয়ু । যে পাখিবে রঞ্জসি জী নিষত্ত ষে বা নূনং স্বৰুজনাঙ্ক বিষ্ণু । র্যাহারা পরলোকগত তাহারাই পিতৃগণ। তাহাদের মধ্যে যাহারা আমার জ্যেষ্ঠ বা র্যাহারা আমার কনিষ্ঠ তাহাদের সকলকেই আজ নমস্কার। র্তাহাদের কেহ বা ঐশ্বর্ঘ্যের মধ্যে অধিষ্ঠিত কেহ বা ঐশ্বৰ্য্যহীন । আজ র্তাহারা সকলেই এখানে সমাগত, তাহাদিগকে আজ নমস্কার । যে চ ইহ পিতয়ে যে চ নেহু যাংশ্চ বিগ্ন স্বী উ চ ন প্রধিদম । আজ যে-সব পিতৃগণ এখানে সমাগত আর র্যাহারা এখানে উপস্থিত নাই, যাহাঁদের জানি আর ধাহীদের না জানি, তাহাদের সকলকেই আজ নমস্কার। उ अांनंभढ़ उठ हेंह थदख् অধিক্রবন্তু তে অবস্তু অন্মান। তাহারা আজ সকলেই এই প্রাদ্ধক্ষেত্রে আগমন করুন, র্তাহারা আমাদের অস্তরের কথা শ্রবণ করুন। আমাদের বাণী যদি অন্তরের কথা প্রকাশে অসমর্থ হয় তবে আমাদের হইয়া তাহারাই আজ বলুন, তাহারা আমাদিগের অন্তরের কামনা পূর্ণ করিয়া আমাদিগকে রক্ষা করুন। র্তাহারা আজ আমাদের অস্তরে সত্য চেতনা ও বাণী প্রেরণ করুন। আজ আমাদের চেতনাকে বিশ্বসত্যে প্রতিষ্ঠিত রাখুন। শ্রদ্ধায় সাত্ত্বিকতায় আমাদিগকে সার্থক করুন | পরলোক-প্রয়াণ হে পরলোকগত তুমি তো কায় মাত্র নও। তুমি প্রাণ। এই প্রাণলোক হইতে নবপ্রাণলোকে তুমি আজ উত্তীর্ণ। সেখানে কি তুমি এক ? সেখানে সকল পরলোকবাসী পিতৃগণ প্রেমে ও আত্মীয়তায় তোমাকে আজ বরণ করিয়া লইবেন। প্রেহি প্রেহি পপিভিঃ পূর্ব্যেক্তি ধত্র নঃ পূর্বে পিতর পরেয়ু । যে চিরন্তন পথে আমাদের পিতৃগণ চিরদিন প্রয়াণ করিয়াছেন সেই পথেই আজ তুমি অগ্রসর হইয়া যাত্রা কর । সংগচ্ছন্ধ পিতৃভিঃ সংঘমেনে ষ্ট পূৰ্ত্তেন পরমে ব্যোমন্‌। সেই পরম বোমধামে তুমি আপন পুণ্য কমের বলে গিয়া পিতৃগণের সহিত মিলিত হও। - , ছিত্বরবিদ্যং পুনরস্তমেছি সংগচ্ছস্ব তস্ব সুবর্চাঃ । যাহা কিছু মলিন তাহ আজ ত্যাগ করিয়া যাও, আজ শোভন দীপ্ত পুণ্য তস্ক লইয়া সেই স্বৰ্গলোকে গিয়া তাঁহাদের সহিত মিলিত হও । শ্রাদ্ধ জীবন ও মৃত্যুকে যদি পরস্পরে যুক্ত করিয়া দেখি তবেই হয় সত্য দৃষ্টি । জীবন ও মৃত্যুকে বিযুক্ত করিয়া দেখিলে