পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ਦੋਹਾਂ কল্যাণের মধ্যে এই যে কল্যাণ প্রবেশ, তাহাই এক মহ ধোগ । মৃত্যুর দ্বার খুলিয়া যে নবজীবনের মধ্যে আজ প্রবেশ, সেই জীবনের কোনো সম্ভাবনাই আমাদের জ্ঞানের গম্য নহে । তবে এই কথা বুঝি যে এই জীবনে যখন আসিয়াছিলাম তখনও তো কিছু জানিয়া বুঝিয়া চুক্তি করিয়া আসি নাই । তপ যে প্রেম আনন্দ ও পূর্ণত এই জীবনে পাইলাম তাহ। তে চিন্তীরও অতীত ছিল। আর এমন যে পরিপূর্ণ এই জীবন তাহার পরিসমাপ্তি ঘটিবে কি এক মহাশূন্ততায় ? তাঙ্গ কি এই জীবনের মধ্যে এত প্রেম, এত আনন্দের আয়োজন ? ইহা অসম্ভব । অতিবড় নাস্তিক্য বুদ্ধিতেও এ-কথা মনে আসে ল । ঋষির জীবন ও মৃত্যুকে একই বিরাটের মধ্যে যুক্ত করিয়ু দেথিয়াছেন । তাহাই হইল আসল প্ৰাণ । তাহ এক অবিচ্ছিন্ন বিরাট । প্রাণীয় নমো যন্ত সৰ্ব্ব মিদং বশে । যে ভুত: সৰ্ব্বস্তেশ্বরে যুস্মিন সৰ্ব্বং প্রতিষ্ঠিতম্ ॥ সেই প্রাণকে নমস্কার বিশ্বচরাচর যাহার অধীন। যাহ। নিখিল চরাচরের ঈশ্বর, যাহাতে সব কিছু প্রতিষ্ঠিত। বৎসরের যেমন দোল-লীল চলিয়াছে শীত-গ্রীষ্মে, তেমনি সেই বিরাট প্রাণের দোল-লীলা চলিয়াছে জীবন-মৃত্যুতে। যখন জীবনরূপে তিনি আসেন, তখন দেখি তার প্রসন্ন মুখ । পখন মৃত্যুরূপে তিনি দূরে যান তখন দেথি তার গহনরুষঃ ርቑሣ-°ሽoኖ ! এই দোল-লীলায় যখন তিনি জীবন রূপে নিকটে আসেন তখনও তাহাকে নমস্কার। যখন মরণরূপে তিনি দূরে সরিয়৷ ifল তখনও নমস্কার । নমস্তে অস্তু আয়িতে নমো অস্তু পয়tয়তে । নিকটে আসিতেছ যে তুমি, হে প্রাণ, তোমাকে নমস্কার । দূরে সরিয়া যাইতেছ যে তুমি, হে প্রাণ, তোমাকে নমস্কার । পুরাচীনীয় তে নমঃ প্রতিচীনায় তে নমঃ । দূরে যখন তুমি চলিয়াছ, হে প্রাণ, তখনও তোমাকে নমস্কার। আমার দিকে আসিতেছ যখন তুমি, হে প্রাণ, তখনও তোমাকে নমস্কার । প্রাণে মৃত্যু: প্রাণন্তস্থা প্রাণং দেব উপসিতে। স্বগীয় মনোরম দেবীর অগদ্য-শ্ৰাদ্ধানুষ্ঠান «\oა মৃত্যুও এই প্রাণ, দুঃখ-তাপ-রোগ-শোকও এই প্রাণ, এই বিরাট প্রাণকেই দেবতার করেন উপাসনা । কিন্তু দৃষ্টিশক্তিহীন মন আমাদের ভয় পায়। একটি স্তন যখন শূন্ত হইয়া আসে তখন মাতা শিশুকে আর একটি স্তনে সরাইয় নিতে চান ; শিশু কাদিয়া উঠে। মনে করে সবই বুঝি গেল। মৃত্যুতেও আমাদের ত্রাস ঠিক সেইরূপ । স্তন হ’তে তুলে নিলে কাদে শিশু ডরে । মুহূৰ্ত্তে আশ্বাস পায় গিয় স্তনাস্তরে । আবার রবীন্দ্রনাথের সেই বাণী--- তুমি ডান হাত হ’তে বাম হাতে লও বাম হতে হতে ডানে । আপনার ধন আপনি হরিয়া কি সে কর কেল। জানে ॥ জন্ম মরণ হইল তার শুধু এক দিকের ক্রোড় হইতে আর এক দিকের ক্রোড়ে নেওয়া । দক্ষিণ হইতে বাম ক্রোড়ে বাম হইতে দক্ষিণ ক্রোড়ে নেওয়া । জানি না বলিয়াই এই মিথ্য ত্ৰৈাস । এই সত্যই বলিতে গিয়া মহাত্মা কবীর বলিলেন জনম মরণ বীচ দেখ অংতর মঙ্গী দক্ষ ঔর বাম য়ু এক আহি । ” "চাহিয়া দেখ জনম মরণের মধ্যে কোনই প্রভেদ নাই, মায়ের দক্ষিণ আর বাম কোল তো একই কথা ।” তাই তো ঋষি বলিয়াছেন— নমস্তে অস্তু আয়তে নমো অস্থ পরায়তে । তাই নমস্কার করিয়াছেন-- পর চীনায় তে নমঃ প্রতীচীনীয় তে নমঃ । ইহাই তো সত্য দৃষ্টি, যোগনেত্ৰে দেখিবার বিষয় । জন্ম মৃত্যুকে যে এমন ভাবে যুক্ত করিয়া দেখা তাহার জন্য চাই বিরাট ও মুক্ত দৃষ্টি। সেই দৃষ্টি সাধনা ছাড়া কি সহজে মেলে ? তাই এমন সময়ে আমরা ঋষি সাধক ও ভক্ত জনের বাণী খুজি। আমাদের দৃষ্টি যেখানে ভয়ে ত্রাসে দুঃখে দৈন্তে অবসঙ্গ, তাহদের দৃষ্টি সেখানে প্রেমে অভয়ে আনন্দে ভরপুর। আজ তাই প্রাচীন কালের একটি সাকুপরিবারের শ্রাদ্ধতিথির কয়টি বাণী স্মরণ করা যাউক । * দাদুর পত্নী যখন পরলোকগমন করিলেন তখন তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র গরীবদাস ও কনিষ্ঠ পুত্র মস্কিন দাস র্তাহাদের মাতার